পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిఫిష్చి প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৬৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ঐগুলি পাইয়াছেন তাহার নাম একেবারে উল্লেখ করেন নাই । গানগুলি বিস্তু এখনো রসুল বক্সের বলিয়া অনেকে জানেন এবং সে-ঘরের ধ্রুপদ রামদাস-বাবুই গান ধরিতেন। আমি, নিমাই এবং উপেন্দ্রচন্দ্র রায় রামদাসবাবুর শেষ ছাত্র। দুষ্টজন পরলোকপ্রাপ্ত ; আমি বর্তমান আছি এবং বলিবারও সাহস রাখি । ৪০ বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ সকল ধ্রুপদের যে-অবস্থা ছিল এবং এক্ষণে যেঅবস্থা দেখা যাইতেছে তাহাতে এই প্রমাণ হইতেছে যে, স্বরলিপি সাহায্যে ধ্রুপদগুলিকে রক্ষা করিতে গিয়া কৃষ্ণধন-বাবু ধ্বংসই করিয়াছেন । তিনি আহম্মদ খার ( সেতারী ) নিকট শিক্ষা করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি কাহাকেও শিখাইতে পারেন নাই। তাহার পুস্তক দেখিয়া যদিও কেহ কেহ শিক্ষা করিতে সাহস করিয়াছেন তাহারা সফলকাম হইতে পারিয়াছেন বলিয়া আমার জানা নাই । আমার মনে হয় স্বরলিপি প্রথা প্রথম এই শিক্ষণ দেয় যে, "গুরু করণ প্রথা অনাবগুক” এবং দ্বিতীয় কাজ এই করে যে, স্বরগুলিকে তালের মধ্যে আনিয়া শুধু "তাল গান” করায় । রামদাস-বাবু যে-সমস্ত ধ্রুপদ গান করিতেন সমস্তই উৎকৃষ্ট এবং বাছিয়া বাছিয়া রসূল বক্সের নিকট শিখিয়াছিলেন। এই কথা তিনি বলিতেন এবং লোক-পরম্পরায়ও ইহা শুনা গিয়াছে যে, রস্থল বক্সের মত ধ্রুপদ আর শুনা যায় না। সেই বিশুদ্ধ সঙ্গীতের পরিবর্তন করিয়া কৃষ্ণধন-বাবুর যে কি লাভ হইল, তিনিই জানেন। কিন্তু গুরুর নাম স্বীকার না করায় তাহাকে গুরুধ্বংসী ভিন্ন আর কিছুই বলা যায় না। আমরা ইহাই জানি যে, একবর্ণ র্যাহার নিকট শিক্ষা করা যায় তাহাকে গুরু বলিয়া স্বীকার করা কৰ্ত্তব্য । আজকাল ইহার বিপরীত দেখা যায় । ( আগামী বারে সমাপ্য ) مباراتيجيابيعيم حين يجمع جي-ميتسببتيديو প্রকাশকের বিড়ম্বন ঐ সরসীবালা বসু تجہی নেলী আট-বছর-বয়সে পিঠের উপর বেণী ঝুলাইয়৷ থাত, পেন্সিল, শ্লেট, বই বগলে লইয়া যখন পাড়ার মিশনরী স্কুলে পড়িতে যাইত, তখন হইতেই সে পদ্য লিখিতে বা পয়ার বাধিতে শিখিয়াছিল। একদিন সে “কথামালা”র গল্প পড়িয়া নিজের বাদামী রঙের খাতায় বড় বড় অক্ষরে পদ্য লিথিয়াfছল ৪— কুকুর সে জলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে, ফেলে দিল মাংসখও যা ছিল তার মুখে। তার দাদা হিরন্ময় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-এ ক্লাসের ছাত্র এবং বাঙ্গাল, ইংরেজী সাহিত্যের রসজ্ঞ সমঝদার । হিরণ্ময় তাহার পেন্সিল হারাইলেই ছোট্ট নেলার খতাপত্র খানাতল্লাসী করিতে আসিত । চোরাই মাল কথনে ধরা পড়িত, কথনে পড়িত না ; ধরা পড়িলে সে নেগীকে ধমক দিয়া যখন বলিভ,—“পোড়ারমুখ মেয়ে, পরের দ্রব্য না বলিয়া লইলে চুরি করা হয়—এ নীতিবাক্য যদি দু’বছর না পড়তে পড়তেই ভুলে যাস, তা হ’লে তোর গতি কি হ’বে ?” নেলী ক্ষীপকণ্ঠে প্রতিবাদ করিত,-"বাঃ রে, আমি যে কুড়িয়ে পেয়েছি—দালানে পড়েছিল”। কথাটা মিথ্যাও নয়, কিন্তু নেগীর আইন ও হিরন্ময়ের আইন মিলিত না । নেলী বলিত-কুড়ান জিনিব যে পায় তার। হিরন্ময় বলিত—কখনই নয়, জিনিষ যার তারই দাবী, তা সে যে কেহই কুড়াইয়া পাকু না কেন। ইহাতেও নেলী হার মানিতে না চাহিলে সে উদাহরণ