পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] প্রকাশকের বিড়ম্বন৷ ృఫి? ভাক্তারবাবুর রাগ-বললেন, মেয়েমানুষ, কুলের কুলবধু হ’য়ে যার তার কাছে নাম বের করা, এসব ভারি দোব।” হিরন্ময় হাসিয়া উঠিয়া কহিল, “বেশ মানুষ ত। এ লোকের দেখছি নিজেরই ব্যায়রাম আছে, তা আবার অস্থ্যের চিকিৎসা করে কি ?” স্থধেন্দু ততক্ষণে খাতাখানি খুলিয়া প্রথম পৃষ্ঠা পড়িতে মন দিয়াছে । বেশ পরিষ্কার মেয়েলী অক্ষরে লাল কালীতে (ጫግ| :– "বড়দা, স্বধেন্দুদা— ছেলেবেলাক1র হিজিবিজি লেখা পড়ে হেসেছিলে কত ; আজিকে আবার কালীর আঁচড় ছড়ানে কুড়ান যত ; সব জমা ক’রে ধ'রে দ্বিচু পায়, হাসি মুখে লণ্ড তু’ল'; অপটু হাতের ভুল চুক্ৰ যাহা স্নেহ-ভরে যেও তুলি’ । —তোমাদের আদরের নেলী ।” স্বধেন্দু স্মিতমুথে পাতার পর-পাত। উণ্টইয়া যাইতে লাগিল । হিরন্ময় কহিল,—ছেলেবেলায় সেই শেয়ালকুকুরের কবিতা-লিখিয়ে নেলী দেখছি সত্যিই গল্প লিখতে শিখে গেছে । তোমার ভবিষ্যদ্বাণী সফল হ’য়ে গেল, হে স্বধেন্দু!” স্বধেন্দু কহিল,-“লিখতে হিজিবিজি ত সবাই পারে। এ দেখছি কলমের জোর আছে। বেশ ঝরঝরে ভাষা লিখতে পেরেছে। মেয়েটার ক্ষমতা আছে। বাড়ী নিয়ে গিয়ে আগাগোড়া পড়তে হবে।” হিরন্ময় কহিল,—“ন হে না, খাতাখানা নিয়ে যেয়ে না । ছেলেবেলাকার সেই ব্যাপার মনে আছে তো ? এখুনিত দেখলে প্রায় কেঁদে ফেলেছিল। ” মধেন্দু কহিল,-“এখনকার কায়ার ভেতর গলদ আছে—আমার কথা শুনলে তো ?” নেলী দুই খাল খাবার আনিয়া মেঝে রাখিয়া কহিল,-"মুখ-হাত ধুদ্ধে একটু জল খাও, দাদা। ভাতও চাপিয়ে দিচ্ছে । উনি আসবেন এইবার।”

  • পালাই আমি-"বলিয়া, আন্না প্রস্থান করিল। যাইবার সময় সার্থীর দিকে অর্থপূর্ণ কটাক্ষপাত করিয়৷ গেল। নেলী কিন্তু তার অর্থ বুঝিল না।

ভাক্তার ঘরে আসিয়া অতিথিদের সাদরসম্ভাষণ করিয়া তখন পৰ্য্যন্তও জলযোগ না করার জন্ত অঙ্কুযোগ করিলেন। অগত্য দুইবন্ধু থাবারের খালার সম্মুখে বসিয়া গেল । তার পর কথায়-কথায় হিরন্ময় নেলীকে লইয়া যাইবার প্রস্তাব করিল। অমনি ডাক্তারের অতিথিসৎকারের উৎসাহ নিস্তেজ হইয়া আসিল ; তিনি কহিলেন—“বাড়ীতে স্ত্রীলোক কেউ নেই, আমার ত রাত দিনের অধিকাংশ সময় ইাসপাতালেই কাটে । বিকাশ, প্রকাশ এদের দেখাশোনা করে কে ? তারপর ছোটখোকা এখানেই জন্মেছে,—হঠাৎ কলকাতায় গিয়ে সেখানকার জলহাওয়ায় লিভারের দোষ হওয়৷ খুব সম্ভব।” হিরন্ময় নিজের স্বগঠিত, বলিষ্ঠ দেহখানির দিকে তাকাইয়া কহিল—“কলকাতার জলবাতাসেই কিন্তু এই কাঠামোখানা তৈরী হয়েছে, মশাই । কলকাতার নিম্বে কোরো না—দিনকতকের জন্য যাবে বই ত নয় ।” ডাক্তার মুখ কালো করিয়া কহিলেন,—“একেত কলকাতায় আজকাল যে হুজুগ চলেছে । আপনার বাড়ীশুদ্ধ লোক ত নন-কো-অপারেশনে মেতে আছেন। এদের দেখাশোন৷”— বাধা দিয়া হিরন্ময় কহিল,—“ওহে, তোমার ৰুকি সেই ভয় । আমরা নন্‌কে-অপারেটার, তা বাড়ীর ভেতর মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক কি ?” স্বধেন্দু খোচা দিয়া কহিল, ”আহ, বুঝতে পার্ছ না, ইনি সরকারের চাকর। ওঁর স্ত্রী যাবে নন্‌-কো-অপারেটারদের বাড়ী, যদি সরকার একটা কৈফিয়ৎ তলৰ ক’রে বসেন ?” হালিতে ঘর ভরাইয়। হিরন্মস্থ কহিল,—“যত সব পাগ লামা ।” ডাক্তার বিরক্ত হইয়া কহিলেন, “আচ্ছা মশাই, ষে সরকারের অনুগ্রহে আপনার রামরাজত্বে বাস করছেন, জন-কতক লোক হৈ-চৈ ক’রে তাদের পেছনেই ফেউ"