পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yసిy প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ s ૨૧ન ভাগ, ১ম খণ্ড লেগেছেন কেন ? এগুলো কি পাগলামি বা মাতলামি নয় ?” হিরন্ময় আবার হাসিয়া কহিল,—“ডাক্তার, তোমার বুদ্ধি আছে। আমার পাগলামীটা তুমি মায় স্থাগুদ্ধো মাতলামি যোগ করে ফিরিয়ে দিলে। বাস এই পৰ্যন্ত– তোমার ঘরে ব’সে আর স্বদেশী-আন্দোলন ক’রে তোমায় বিত্রত করতে চাই না। আপাততঃ তুমি ধড়া চুড়োগুলো খুলে একটু বাঙালী সেজে বোসে। স্নানাহারের উদ্যোগ কর -কথাবাৰ্ত্ত পরে হবে । আমরা কিন্তু রাডের ট্রেণেই ফিরব।” তিন মাস-পাচ-ছয় পরে । হাসপাতাল হইতে বেলা একটার সময় ডাক্তার যখন বাঙলোয় ফিরিতেছেন সেইসময় ডাকপিয়ন কয়েকখানা চিঠি ও একটি রেজিষ্টি বুক পোষ্ট দিয়া সহি লইয়া চলিয়া গেল। ডাক্তার কৌতুতলভরে তিনখানি চিঠিষ্ট স্ত্রীর নামে অপরিচিত হস্তাক্ষরের দেখিয়া খুলিয়া ফেলিলেন। একখানিতে লেখা ঃ– মহাশয়, - অনুগ্রহপূর্বক আমাদিগের "সহযোগিনী" পত্রিকার জন্য একটি গল্প পাঠাইলে বাধিত হইব । বিনীত সম্পাদক আর একখানিতেও ঐ ধরণের লেখা । তৃতীয়খানির লেখক হিরন্ময়— নেলি ! বই পেয়ে তুমি খুব আশ্চৰ্য্য হবে জানি। সেইটেই চাই। তোমার খাতাখানি স্থধেন্দু আগাগোড়া প'ড়ে ভারী খুশী হ’য়ে একজন প্রকাশককে দেখাতে সে আগ্রহ ক’রে ছাপতে চাইলে, বললে বেশ লেখা, আর বেশ সময়োপযোগী, এ বাজারে খুব কাটুবে । বইখানা দু'মাস হ’ল বেরিয়েছে। আমরা কলকাতায় ছিলাম না, দেশের কাজে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম, তাতেই তোমায় এক কাপি পাঠানো হয়নি। ডাক্তারকে দেখিয়ো-সে নিশ্চয় পড়ে খুনী হবে । খোৰাবাৰু কেমন আছে ? ইত্যাদি। মুধেন্দু এককোণে লিখিতেছে— চিরায়ুষ্মতীযু— তোমার সাহিত্যসাধনা সফল হোক্‌ ! প্রথম রচনাই বেশ আশাপ্রদ। আশা করি বঙ্গবাণীর একণিষ্ঠ সেবায় তুমি দিন দিন কৃতিত্ব দেখাতে পারবে। বইর নাম “কালীর আঁচড়”ই রেখেছি ; এ আঁচড় কিন্তু সহজেই বুকে পড়ে । —স্থধেন্দুদা বইখানার আবরণ খুলিয়া ডাক্তার দেখিলেন মরক্কোচামড়ার বাধাইএর উপর সোনার জলে লেখা “কালীর আঁচড়” । লেখিকার নাম নীচে জলজল করিতেছে,— শ্ৰীমতী নীলা মিত্র। ডাক্তারের ও চক্ষু দু’টা জলিয়া উঠিল-আনন্দে নয়, রাগে—অভিমানে । তিনি যাহা ভালবাসেন না, অবিশ্বাসিনী পত্নী তাহাই করিয়া বসিল । অন্তঃপুরবাসিনী হিন্দুকুলবধু আজ হাজার লোকের আলোচনার বিষয়, তার পবিত্র নাম আজ যে-সে উচ্চারণ কংিবে! পরপুরুষ, অপরিচিত রাম-শুfম আজ স্বচ্ছন্দে তাহাকে সম্ভাষণ করিয়া পত্র লিথিয়াছে । হায়, হায়, নারীমধ্যাদা, সতীর পবিত্রত,— অকলঙ্ক শুভ্র ফুলের সহিত যাহার তুলন, এইসব বহির্জগতের উত্তাপে তার সে সৌন্দর্ঘ্য টিকিবে আর কি প্রকারে! মনের মধ্যে খুব খানিক উন্ম লইয়া ডাক্তার অস্তঃপুরে আসিলেন। নেলী তখন ঘরের মধ্যে বসিয়া সদ্য-জাগ্ৰত খোকাবাবুর তুষ্টিসম্পাদনে নিযুক্ত ছিল । তাহার কোলের কাছে বইখানা ও চিঠিগুলা ফেলিয়া দিয়া ডাক্তার রুক্ষকণ্ঠে কহিলেন,-“যা ভালবাসিনা ভাই। আমার ঘরে বসে, আমারই অন্ধ খেয়ে, আমার সঙ্গেই লুকোচুরি। এতো যদি নাম জাহির করবার ইচ্ছে, যাও কেন না থিয়েটারে, সার্কাসে, বায়োস্কে পে, খুব নাম হবে । -श्ःि हिः, अवtतtद चांभाद्र नाम छूराण-काफ़ै। भांब्र এইসব केशेन জেনানাদের মাথায় । দেশের লোক আবার এদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করছেন। গুঠির পিওি পাড় ছেন।” স্বামীর অকুযোগ বান পাতিয়া লইবার মধ্যেই চিঠিগুলি নেলী পড়িয়া শেষ করিয়া ফেলিল এবং বইখানি