পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা | প্রকাশকের বিড়ম্বন 는 이》 উচিত। আর, সত্যিই তাই, নইলে পাবলিশার লেখা পেলে কোথা ? শ্ৰীমতী কি বলেন ?” ভিতরের কথা ফাগ করিবার ইচ্ছ। ডাক্তারের আদৌ ছিল না। শু্যালকদের নিকটে গিয়া এসবের জবাবদিহি চাহিলে কোনো ফলই হইত না ; কেবল একটা হাসির গর্রা উঠিত মাত্র। ডাক্তারের উদ্বেগু—বইখানির প্রচার বদ্ধ করা। সেক্ষেত্রে প্রকাশককেই জব্দ করিবার ক্ষন্দি লইয়া তিনি কলিকাতায় আসিয়া হাজির হইয়াছিলেন। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু মতলব অনুযায়ী কাজ হইল না। প্রকাশক আদালতে হিরন্ময় ঘোষ ও মুধেন্দু রায়কে দায়ী করিতেছে। উপরন্তু আদালত লেখিকার সাক্ষ্য তলব করিয়াছে। “অগত্যা মহাবিপদ ” বন্ধুর প্রশ্নে বিবর্ণ মুখে ডাক্তার জবাব দিলেন । "শ্ৰীমতী আর কি বলবেন ? মোট কথা, বইখানার আমি বিক্রি বন্ধ করতে চাই । আর স্ত্রীকে দশের সামনে আনতেও আমি রাজি নই।” হিমাকরের চক্ষে আলোক ফুটিল, তিনি কহিলেন, “তুমি কি তোমার স্ত্রীর লেখার পক্ষপাতী নও?” ডাক্তার কহিলেন—“মোটেই না ; তুমি তো জানই গল্পের ওপর ছেলেবেলা থেকেই আমি চট। এখন সেই উৎপাত কি না আমারই ঘরে !” হিমাকর কহিলেন,—“বেশ, তা প্রকাশকের কাছে গিয়ে অাপোষে ব্যাপারটা মিটিয়ে নাও । মকদ্দমা চালাবার দরকার নেই। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি স্বভাব, আজ আমার তোমার ভাগ্যের ওপর হিংসে হচ্ছে। যদি বদলাবার ব্যবস্থা থাকৃত, তা হ’লে আমার গৃহিণীটিকে বুঝতে পাৰ্বছ কি না— তিনি পড়াশোনার নামেই আঁৎকে ওঠেন । ছেলের আখ্যানমঞ্জরীর পড়া, তাও ব’লে দিতে অক্ষম ।” - কাষ্ঠহালি হাসিয়া ডাক্তার কহিলেন-“নিশ্চয়ই তিনি রন্ধনে ত্রৌপদী,--তরকারীতে জুন মশলা নিশ্চয়ই তিনি । ওজন ক’রে দিয়ে থাকেন।” - হিমাকর কহিলেন, “সে-কথা অপলাপ করলে পাপ হয়। সে পাপ করতে আমি রাজি নই-কিন্তু একথাও মিথ্যা নয় যে, মধ্যে মধ্যে র্তার তরকারী হলেও পুড়ে

  • حسه وجهة

যায়, আলোনাও হ’য়ে থাকে । দুধ৪ ধ’রে যায় বা কুকুরেও হাড়ি খায়। তা উঠলে কেন হে ? শ্ৰীমতীর গল্প দু’একটা ক’রে যাওনা, শুনি ।” “আবার দেখা হবে”—বলিয়া ছাত লইয়া ডাক্তার ততক্ষণে বাড়ীর বাহির হইয়া প্রকাশকের দোকানের পথ ধরিলেন, প্রকাশক সৌভাগ্যবশতঃ একাই ছিলেন । ডাক্তারকে দেখিয়া নিতান্ত ভদ্রতার দায়ে কহিলেন,— “আসুন মশাই, কি খবর ?” ডাক্তার বলিয়া পড়িয়া কহিলেন, “দেখুন মশাই,মকদম আমি চালাতে চাই না। আপনি কেবল দয়া ক’রে “কালীর আঁচড়” বইএর সব কাগজ আমায় দিয়ে দিন। বই আমি বাজারে বিক্রী করতে রাজি নই।” নিৰ্ব্বাকৃ বিস্ময়ে কিছুক্ষণ ডাক্তারের মুথের দিকে তাকাইয়া থাকিয়া প্রকাশক কহিলেন,—“এই যদি আপনার উদ্বেগু হয়, প্রথম দিনেই তা আপনি এসে আমার একথা জানান্তে, পাবৃতেম।—মিথ্য আদালতের হায়ুরাণট। আর হ’ত ন –ছুদিন দোকান বদ্ধ করে আমায় সেই কোর্টে ছুটোছুটি করতে হয়েছে। বিক্রি-সিক্রি সব বন্ধ, বাজারেও দুর্ণাম রটেছে যে manuscript ( পাণ্ডুলিপি ) চুরি করে ছেপেছি। আমরা এই ব্যবসা ক’রে খাই মশাই—কত বড় বড় লোকের সঙ্গে কাজ-কারবার। মিথ্যে আমায় এ ঘুর্ণামের ভাগ করলেন। আজ সকালেই হিরন্ময়বাবুকে খুব দশ কথা শুনিয়ে এসেছি। আর চশমা চোখে সেই স্বধেলুবাবু, তার দ্ব-দুখান বই আজ তিন বছর নাগাদ ছেপে বিক্রি করছি—জিজ্ঞেস করুন তাকে আমার কথ{—* দীর্ঘ বক্তৃতার অবকাশে হাফাইয়া উঠিয়া ডাক্তার কহিলেন—“যা হবার তা হয়ে গেছে, মশাই । আমায় এখন আপনি কাগজগুলি দিতে পারবেন ?” —“স্বচ্ছন্দ্ৰে—এই যে বাধাই আছে। এই কাকামুটে এদিকে আয়তো ?” তৎক্ষণাৎ একটি মুটের মাথায় আবাধা কাগজের বোঝা প্রকাশক তুলিয়া দিয়া অালমারিতে যে পঁচিশখানা বাধাই বই ছিল তাহাও—দিয়া দিলেন।—অতঃপর হিসাবের বহি