পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ভারতবর্ষের পরাধীনতার স্বরূপ २२e". পূঃ) সেলুকাস ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সসৈন্তে উপস্থিত হইল ; কিন্তু এবার ভারতীয় বীর চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের নিকট দুৰ্দ্ধৰ্ষ গ্রীক শৌর্য্যকেও পরাভব স্বীকার করিতে হইল। তার প্রায় একশত বৎসর পরেই আবার স্বযোগ বুঝিয়া বিজয়-লোলুপ গ্ৰীক অস্ত্র ভারতের প্রতি উষ্ঠত হইয়। উঠিল। প্রথমেই (২•৭ খৃ: পূ: ) সিরিয়ার সম্রাট, এণ্টিওক্লাস হিন্দুকুশ অতিক্রম করিয়া স্বভাগ সেন নামক একজন ভারতীয় নরপতিকে পরাজিত করিয়াই প্রত্যাবৃত্ত হন। আর ঠিক এই সময়ই ভারতের ক্ষত্রিশক্তি নিৰ্ব্বাণোন্মুখ হইয়া আসিয়াছিল। কাজেই এটিও কাস্ এবার যে দ্বার উদঘাটন করিয়া দিয়া গেলেন, সেই দ্বারপথে বৈদেশিক আক্রমণের খরস্রোত দুনিবার বেগে ভারতের দিকে প্রবাহিত হইতে লাগিল। এই প্লাবন দীর্ঘ ছয় শতাব্দী ব্যাপিয়া ভারতের স্বর্থ-শাস্তিকে অপহরণ করি। লইয়াছিল। এই সময়ই ডিমিটিওস্, ইউক্রে. টাইডিস প্রমূখ "যুদ্ধভূক্ষ্মণা:” “যুগদোষত্ত্বরাচার" তুষ্টবিক্রস্ত যবনের সমগ্র উত্তর ভারতকে বিপর্যন্ত করিয়া তুলিয়াছিল। উত্তর-ভারতের কেন্দ্ৰ বৰ্ত্তী মধ্যমিকা ( চিতোর ) এবং সাকেত ( অযোধ্যা ) ও ইহাদের আক্রমণ ও লুণ্ঠনের হাত হইতে নিস্তার পায়ু নাই। তার পর ইহাদেরই পদাহ পূরণ করিয়া ছুটিয়া আসিল শক, পহলব, ইউচি-কুবণ, হুণ গুর্জর ও তুর্ণ। ইহাদের আক্রমণের ইতিহাস ভারতের অতি গভীর বেদনার কাহিনী । সে-বেদন ভারতবর্ষকে বহু যুগ ধরিয়া পরম ধৈর্য্যের সহিত সহ করিতে হইয়াছিল । সে কাহিনীর পুনরাবৃত্তি করিয়া লাভ নাই । শুধু এইটুকু মনে রাখা প্রয়োজন যে, স্বলতান মহ মুদের আক্রমণ অথবা মোহাম্মদ ঘোরীর ভারত-বিজয়ের পূৰ্ব্বেও ভারতবর্ষকে বার ব্যরই বৈদেশিক বাহুবলের নিকট পরাজয় স্বীকার করিভে হইয়াছিল ; বারবারই ভারতবর্ষকে বিজেতার হস্ত হইতে অধীনতার দুঃখ-যন্ত্রণ গ্রহণ করিতে ইষ্টয়াছিল। পারসীকদের আক্রমণ রাজপুতানার মরুভূমির সীমা-প্রাস্তেই ব্যাহত হইয়াছিল ; কিন্তু আলেকজাণ্ডার গ্রীকৃবাহিনী-সহ বিপাশার পশ্চিম তটে পদার্পণ করিয়াছিলেন এবং সে-স্থান হইতে সিন্ধুনদের মোহনা পর্যন্ত সমগ্র দেশকে অন্ত্রাঘাতে জর্জরিত করিয়া গিয়াছিলেন । পরবর্তী গ্রীকৃগণের (ডিমিট ওস্, মিনাদার প্রভৃতি) আক্রমণ কিন্তু আরও অগ্রসর হইয়া দক্ষিণে চিতোর এবং . পূৰ্ব্বে অযোধ্যাকে পর্যন্ত স্পর্শ করিয়াছিল। তৎপরে শঙ্কর উত্তরাপথে গদ্ধার, পঞ্জাব, সিন্ধু, রাজপুতান, মথুরা, মালব ও গুজরাত এবং দাক্ষিণাত্যে মহারাষ্ট্র ও কোঙ্কণ প্রদেশ পর্যন্ত করায়ত্ত করিয়া লইয়াছিল। আর পশ্চিমে হিন্দুকুশ হইতে পূৰ্ব্বে গাজিপুর পর্যন্ত সমগ্ন দেশ এক সময় কুষণদের বগুত। স্বীকার করিয়া লই ছিল, শুধু তাই নয়, অসভ্য বৰ্ব্ব হুণরাও এক সময় উত্তরে কাশ্মীর হইতে দক্ষিণ মধ্য ভারত পর্যস্ত সমগ্রদেশের উপর এক বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছিল । , সুতরাং দেখিতেছি পরাধীনতার দুঃখভোগ ভারতবর্ষের ভাগ্যে নূতন নয় ; পারস্যরাজ কুরুবের (খৃ: পূ: ৫৫৮-৫২৯) সময় হইতে গজনীপতি সুলতান মহমুদের খু: ৯৯৭) সময় পর্য্যন্ত ভারতবর্ষ বহুবার পরাধীনতার লাঞ্ছন! ভোগ । করিয়াছে। কিন্তু একথা ভূ ললে কিছুতেই চলিবে না ধে, দুঃখই । দু:খের শেষ নহে ; দুঃখ মাত্রই অকল্যাণ নহে। দু:থকে আমরা কি ভাবে গ্রহণ করি তাহার উপরই আমাদের কল্যাণ ও অকল্যাণ নির্ভর করে। পরাধীন হওয়াটাই তেমনি চরম দুৰ্গতি নয়। চরম দুৰ্গতি হয় তখনই, যখন আমরা দুঃথকে সাধনার দ্বারা পরিশুদ্ধ করিয়া লইতে পারি না। পরাধীনতাৎ মৃত্যু বহন করিয়া আনে তখনই, যখন আমরা তাহাকে আমাদের শুভ সাধনার দ্বার। কল্যাণগামী করিয়া লইতে অসমর্থ হই । এখন দেথা যাক, ভারতবর্ষ তাহার এই পৌনঃপুনিক পরাজয় ও পরাধীনতাকে কি ভাবে গ্রঃণ করিয়াছে। ভারতবর্ষ কখনও দুঃখকে একান্ত করিয়া স্বীকার করে নাই ; ভারতবর্ষ চিরকালই আত্মাকে দুঃখের উপর জয়ী বলিয়। মানিয়া লইয়াছে । তাই ভারতবর্ষের অন্তর হইতে এই শাশ্বত-বাণী উদেঘাষিত হইয়াছিল— “নহি কল্যাণক্লং কশ্চিং দুর্গতিং তাত গচ্ছতি ।” কল্যাণকৃৎ কখনও দুৰ্গতি প্রাপ্ত হয় না। আমরা দেখিতে পাই রাষ্ট্রীয় জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রেও ভারতবর্ষ তার कलाॉ१८क क५न 8 ग्नान श्रङ cनम्न नाहे । कणTां*४.