পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] জীবনদোল: २€> কেবল পোড়া বাসন মঞ্জিয়৷ fদবার ও বাজার করিয়া দিবার জন্য একটি ঝি আছে ! গেীরীর এত কাজ কৰ্ম্ম করা ও এমন ভাবে থাকা কোনো দিন অভ্যাস ছিল না। তবু সে ইহাতেই রাঞ্জি হইল ; ভাবিল স্বাবলম্বন ও সরল জীবনযাত্রাপ্রণালীই তাহার মত মেয়েদের আদর্শ হওয়া উচিত ! আশ্রমের কত্রী সধবা । তাংশকে দেখিয়াই কিন্তু গেীরীর প্রথম খটুক লাগিল । মেয়েদের কাপড়-চোপড় সবই মোট থান, মার্কিনের সেমিজ ও বোম্বাই চাদর ; কিন্তু কত্রীর পরণে রঙিন ঢাকাই সাড়ী, লেস-দেওয়া পেটিকেট, জরিদার ব্লাউস ইত্যাদি । জুতা, মোজা, গহনা, এসেন্স, পাউডার পমেটম কিছুরই ক্রট নাই। চেয়ার টেবিল, আয়ন আলমারি, খাট, সকল আসবাবই ঘরে শোভা পাইতেছে । শ্মশানে বাসরের মত ইহা গেীরীর চোখে বিসদৃশ ঠেকিল । মেয়েগুলির সবই অল্প বয়স, তাহাদের দীনবেশের ও স্নান মুখের পাশে তাহাদের মাতৃস্থানীয়ার এরকম সালঙ্কার মূৰ্ত্তি দেখিলে মনে হইভ কে যেন একটা প্রহসন অভিনয় করিবার জন্য এই মা ও মেয়েগুলিকে সাজাইয়া আনিয়াছে । চোখের দৃষ্টিতে যাহা কিছু মন্দ লাগে তাহাকেই বর্জন করিতে গেলে সংসার চলে না । সুতরাং গৌরীকে থাকিতেই হইল। কিন্তু সে দেখিল একত্রে বৈধব্যের নিষ্ঠ ও স্বাবলম্বন চর্চা করিতে গেলে বিদ্যাচর্চাট। তাহাকে বাদ দিয়াই চলিতে হয়। ব্রহ্মণের মেয়ে বলিয়া রান্নার পালাটা তাহারই বেশী করিয়া পড়িত, কারণ অন্ত জাতের মেয়েদের হাতে সকলে থায় না । বি চাকর নাই, কাজেই কত্রীর ঘরের কাজ-কৰ্ম্ম, চী দেওয়া, এমন-কি মাছ রাধা পৰ্য্যস্ত মেয়েদেরই করিতে হইত। তাহার উপর ছিল কাপড় কাচার পালা, শেলাইয়ের পালা ও হিসাব রাখার পালা ইত্যাদি । যে মেয়েরা সেইখানে থাকিয়া সেইখানেই পড়িত তাহার কাজ-কৰ্ম্ম সারিয়া সময়মত নিজেদের পড়াশুনা করিতে পারিত। কিন্তু যাহাকে সারাদিন ইস্কুলে কাটাইতে হয় তাহার পক্ষে ইহা শক্ত হইয়া উঠিল। কিন্তু কুদৃষ্টাৰে মেয়েদের অপকার হইবে বলিয়া কী গৌরীকে একটা কাজও মাপ করিতেন না। তিনি বলিতেন, “এক জায়গায় থাকৃতে হ’লে সবাইকে একচালে চলতে হবে। তুমি বড় মানুষের মেয়ে ব’লে তোমার জন্তে ভ আমরা আলাদা নিয়ম করতে পারি না। এখানে সবাইকেই গরীব হ’তে হবে ।” এক হাত গহন বাজাইয়া কত্রী উপদেশ দিয়া চলিয়া যাইতেন ; গেীরীর তাহ পালন করিতেই নয়ট বজিয়া যাইত। ইস্কুলে যাইবার আগে অৰ্দ্ধেক দিন তাহার ভাত খাওয়া হইত না । পরীক্ষার সময় আসিয়া পড়িল । গৌরী আর এখানে কিছুতেই থাকিতে চায় না। তাহার বড় ভয় পাছে সে ফেল হইয়া যায়। শঙ্কর তাহার জন্য ভাবিয়া অস্থির হইয়া उठेिल । এমনই দিনে সঞ্চয় তাহার মালিমার খবর আনিয়া শঙ্করকে দিল । শঙ্কর ধেন আকাশের চাদ হাতে পাইয়া সেই দিনই হৈমবভীর সঙ্গে দেখা করিয়া গৌরীর বিষয় সমস্ত বন্দোবস্ত করিয়া আসিল । ( や) সকাল-বেলার রোদ আসিয়া ছাদে পড়িয়াছে । হৈমবতী মেয়েদের লইয়া আচার রেীত্রে দিতেছিলেন । ঘরের কোলের সরু বারান্দায় একটা পাটি বিছাইয়া নিস্তারিণী দক্ষিণের হাওয়ায় একটু আরাম পাইবার চেষ্ট৷ করিতেছিল। এইটি হৈমবতীর চিরকা পোবা। কাল রাত্রে তাহার বাতের ব্যথা ও ই পানি অভ্যস্ত বাড়িয়াছিল বলিয়। সারা রাত সে ঘুমাইতে পায় নাই। সকালে শরীরট। হাল্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রাস্তি ও তন্ত্রায় তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ অবশ হইয় পড়িয়াছিল । বারানার জার এক কোণে বসিয়া চপল ও চঞ্চলা একট। পোষাক তৈয়ারি করিতেছিল ; একজন কাটিয়া ও টাকিয়া দিতেছে আর একজন কঙ্গ চালাইয়া সেলাই করিতেছে। গৌরী সেইখানে দরজার মুখে একটা মোড়া পাতিয়া কলেজের বই ও থাত লইয়া নোট মিলাইভে ছিল । ४श्धवडौ यनिएलन, “5*ण, cडाभाब्र ऊ घाख डू;ि আছে । বাড়ীর কাজ-কৰ্শ্বগুলো একটু দেখো। আমাকে