পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] সম্পাদকের চিঠি Հ8e জেনীতার ফিরমেশন স্মৃতি-মূৰ্ত্তি জেলার জমী স্বভাবতঃ উৰ্ব্বর না হইলেও অধিবাসীদের পরিশ্রমে উর্বর হইয়াছে। এইজন্য তরি-তরকারীর বাগান, নানাবিধ ফলের বাগান, দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রভৃতি দ্বারা এই ক্যান্টনের লোকেরা খুব রোজগার করে। একদিন বিকালে ছোট একটি মোটর-নৌকায় হ্রদ পার হইয়া দক্ষিণতীরে অবস্থিত একটি চা-কফির দোকানে “জলযোগ” করিয়া বন্ধুদের সঙ্গে একটি সরু বাস্ত দিয়া অনেক দূর পর্য্যস্ত বেড়াইতে গিয়াছিলাম। তাহার ধারে কয়েকটি ছোট ছোট ফলের বাগান দেখিলাম। সামান্য এক আধ কাঠা জমীতে কত ছোট ছোট ফলের গাছে কত ফল ফলিয়াছে দেখিয়া বিস্মিত হইলাম। যে-সব গাছের ডাল লতানিয়া নয়, সেইরূপ অনেক গাছকেও বেড়ার তারের উপর দিয়া লতার মত শাখা বিস্তার করান হইয়াছে। এক একটি ভালে এত ফল ধরিয়াছে, যে, মনে হয় যেন ভাঙিয়া পড়িবে। বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে রুবিকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করাহয় বলিয়া সুইজারল্যাণ্ডে সব জেলাতেই স্বাক্ষাক্ষেত্র, ফলের বাগান প্রভৃতি প্রচুর *ब्रिभांटन मृहे श्द्र । श्हेन्द्रा कांव शफ़ चछ भन्नरू কাজের দ্বারাও উপার্জন করে ; যথা, ঘড়ি নিৰ্ম্মাণ, মৃৎপাত্ৰ নিৰ্ম্মাণ, গণিতযন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ, বাদ্যযন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ, ইত্যাদি । জেনীভা মোটের উপর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। অট্টালিকাগুলি মন্দ নয়। তবে, তাহাতে স্থাপত্যের সৌন্দৰ্য্য, নৈপুণ্য বা বৈচিত্র্য বেশী কিছু নাই। সহরটি যত বড়, সে হিসাবে হোটেলের সংখ্যা অনেক বেশী । তাহার কারণ, মুইজারল্যাণ্ডে পৃথিবীর সব মহাদেশ হইতে লোক আসে উহার সৌন্দৰ্য্য দেখিতে, স্বাস্থ্যলাভ করিতে, এবং নানা অস্তজাতিক সভাসমিত্তিতে যোগ দিতে । আমি যখন জেনীভা যাই, তখন তথাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির সময়। স্বতরাং আমি কেবল অট্টালিকাগুলির বহির্দেশ এবং কয়েকটি কামরা দেখিয়াছিলাম, কৰ্ম্মনিরত অধ্যাপক ও ছাত্রবৃদ্ধ দেখি নাই। হলে অনেক অধ্যাপকের আবক্ষ মূৰ্ত্তি দেখিলাম। র্তাহাদের মুখ বুদ্ধির পরিচায়ক । দেখিবার সময় মুখগুলির উগ্রতাবিহীন শাস্ত সংযত ধীর ভাব বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিয়াছিলাম। ভারভবর্ষে ইউরোপীয় ও ফিরিঙ্গীদের