পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফ্রান্সের মিঃ এলবার্ট টমাস–জেনীভার অন্তর্জাতিক শ্রমিকসঙ্ঘের সেক্রেটারী জেনারেল বাটলার ইংরেজ। টম সাহেবের সঙ্গে মূলাকাৎ শেয করিয়া ইহার নিকট গেলাম । ইহার সঙ্গে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘকাল কথা হইয়াছিল ; কিন্তু ইনিও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে নিজে হইতে আমাকে কোন প্রশ্ন করেন নাই । ইহাদের আনের মধ্যে জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে এই ভাব বিদ্যমান, যে, ভারত সম্বন্ধে থাটি খবর যাহা কিছু জানিবার আছে, তাহা শ্বেতাঙ্গদের মুখ ও লেখনী হইতে সম্পূর্ণরূপে জানিতে পারা যায় । কথাপ্রসঙ্গে আমি বাটুলার সাহেবকে বলিলাম, ভারত বর্ষ স্বশাসন-ক্ষমতা লাভের ষে রাষ্ট্রনৈতিক চেষ্টা করিতেছে, তাহাতে কলেজের বিতর্কসভাগুলি উহার যেরূপ সাহায্য করিতে পারে, লীগ ও [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সেইরূপ পরিবে। তিনি চুপ করিয়া রহিলেন, ই না কিছুই বলিলেন না। আমার বলা উচিত ছিল, লীগ তাহাও পরিবে না। কারণ, কলেজের বিতর্ক-সভাগুলিতে ছাত্রেরা তবু ভারতবর্ষের স্বরাজ, স্বাধীনতা প্রভৃতি বিষয়ের আলোচনা করিতে পারে, লীগ তাহাও পারে না। অন্তর্জাতিক শ্রম আফিস সম্বন্ধে আমি বলিলাম, এই আফিস যদি ঠিক ঠিক্‌ কাজ করে, তাহ হইলে ভারতবর্ষের শ্রমিকদের কিছু উপকার হইতে পারে। কলকারখানার শ্রমিকদের মধ্যে স্ত্রীলোকদের সংখ্যা কম নয়। সেইজন্য আমি বলিলাম, পুরুষেরা স্ত্রীলোকদের অভাব অভিযোগ দুঃখ সব সময় জানিতে বুঝিতে পারে ন, কিম্বা তাহা জানাইতে ইচ্ছুক বা ব্যগ্র হয় না ; এইজন্য স্ত্রীলোকদের পক্ষ হইতে তাহাদের কথা জানাইবার নিমিত্ত কোনও ভারতীয় শিক্ষিত ও যোগ্য স্ত্রীলোককে স্ত্রীজাতীয় শ্রমিকদের প্রতিনিধিরূপে জেনীভায় পাঠান উচিত। আমি বলিলাম, এ যাবৎ ভারতীয় পুরুষ ও স্ত্রীজাতীয় শ্রমিকদের জন্য পুরুষ প্রতিনিধির যে-প্রকারে যাহা বলিয়াছেন, শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডুর মত শিক্ষিতা মহিলা স্ত্রীলোকদের জন্য তাহা বলিতে পারিবেন। বাগ্মতা, সাহস এবং এতদ্বষয়ক জ্ঞান, কিছুরই তাহার অভাব হইবে না। কিন্তু, আমি ইহাও বলিলাম, ভারত গবন্মেন্টের ইহার মত কোন মহিলাকে পাঠাইবার সম্ভাবনা নাই। তখন মিঃ বাৰ্টুলার বলিলেন, শ্রমিক আ{ফস স্বাধীন ও সাক্ষাৎভাবে কোন মহিলা প্রতিনিধিকে আহবান করিতে পারেন। কিন্তু আমি দেখিতেছি, এ বৎসরও কোন ভারতীয় মহিলাকে আহবান করা হয় নাই । ভবিষ্যতেও হইবে কি না, বলা যায় না । সম্ভাবন কম। ভ্রমতা সরোজিনী নাইডুও যে নারী শ্রমিকদের প্রতিনিধি হইবার উপযুক্ত একমাত্র শিক্ষিত৷ নারী, তাহাও নহে, শ্রমিকদের সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ ও তাহাদের হিতসাধনে নিরত শিক্ষিতা নারীও আছেন। যেমন, আহমেদাবাদের শ্ৰীমতী অনস্বয়া বাই। ভারতীয় শ্রমিকদের কার্যক্ষমতা সম্বন্ধে কথা উঠায় আমি বলিলাম, তাহারা যে অপেক্ষাকৃত কম কাৰ্য্যক্ষম, তাহার একটা প্রধান কারণ নিরক্ষরতা ও অজ্ঞতা। অবশ্য যথেষ্ট