পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

←8Ꮔ অন্তর্জাতিক শ্রমিকসঙ্ঘের নবনির্শ্বিত গৃহ (জেনীতা) খাদ্যাভাব এবং অসুস্থতাও অন্যতম প্রধান কারণ । আমি বলিলাম, সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে অবৈতনিক শিক্ষাবিস্তার বিষয়ে গবন্মেষ্ট এপর্য্যস্ত কোন উৎসাহ দেখান নাই, বরং কখন কখন সাক্ষাৎ বা পরোক্ষভাবে বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছেন । যুদ্ধক্ষেত্রেও দেখা গিয়াছে, যে সৈন্যদলে শিক্ষিত সৈনিক বেশী, তাহার রণদক্ষত বেশী। সুতরাং শ্রমের ক্ষেত্রে যে শিক্ষা শ্রমিকদিগকে অধিকতর কাৰ্য্যদক্ষ করিবে, তাহা আর বিচিত্র কি ? মিস্টার বাটুলার বোধ হয় চতুর লোক ; কেন না, তিনি কথা বলিতেছিলেন কম, শ্রোতার কাজটাই ভাল করিয়া করিতেছিলেন । এখন কিন্তু তিনি জিজ্ঞাসিলেন, "ভারতে বাধ্যতামূলক অবৈতনিক সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষার চাহিদা ( demand ) আছে কি ?” আমি বলিলাম, “অাছে।” ইহার বেশী আমি তখন কিছু বলি নাই। কিন্তু প্রশ্নটা আমার মনে বিধিয়া আছে। বাস্তবিকই কি একটা তাল বা ভাল বলিয়। স্বীকৃত জিনিষের চাহিদা না থাকিলে গবন্মেণ্ট কোন দেশে তাহার বম্বোবস্ত করেন না ? ধরুন, বসস্তের জন্ত টীকা দেওয়া । ভারতবর্ষে ইহা চালাইবার খুব চেষ্ট হইয়া আসিতেছে ; কিন্তু অনেক প্রদেশে সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে ইহার চাহিদা ত নাই-ই, বরং প্রতিকুল ভাব আছে। ইংলণ্ডেও প্রথম প্রথম ছিল, এখনও কিছু কিছু আছে। শিক্ষার কথা ধরুন। জাপানে যে সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষার বন্দোবস্ত হইয়াছিল, তাহ চাহিদার দরুন নহে ; সম্রাট মুৎসহিতে৷ নিজেই তাহ করাইয়াছিলেন । ইংলণ্ডেও গত শতাব্দীতে যে জাতীয় শিক্ষার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়, তাহাও চাহিদার জন্ম নহে । মিঃ বাটুলার শ্রমিক আফিস হইতে প্রকাশিত কিছু বই ও রিপোর্ট দিতে চাহিয়াছিলেন ; তাহা দেশে ফিরিবার পর পাইয়াছি । শ্রমিক আফিস হইতে প্রকাশিত ইণ্টারন্যাশন্যাল লেবার রিভিউ নামক মাসিক পত্রের সহিত মডার্ণ রিভিউ ও ওয়েলফেয়াবের বিনিময়ে মস্য টমা রাজী হওয়ায় ঐ কাগজ আমি পাইতেছি এবং আমাদের দুখানি পাঠাইতেছি। অন্তর্জাতিক শ্রম আফিসের লাইব্রেরী মূল্যবান। শ্রম, শ্রমিক, পণ্যশিল্প, কলকারখানাদি বিষয়ক নানাদেশীয় পুস্তক, রিপোর্ট ও সৰ্ব্ববিধ সংবাদের ইহ সংগ্রহাগার। এইসকল বিষয়ে যাহারা গবেষণা করেন, তাহার এখানে