পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে নারীনির্য্যাতন ২৭৫ দেশে ছিলাম। অনেক সময় তথাকার খবরের কাগজও পড়িয়াছি, কিন্তু এরূপ একটি ঘটনার সংবাদ কোন কাগজে দেখি নাই । আমাদের দেশে যত অত্যাচার হয়, তাহার অনেকগুলার খবর কাগজে বাহির হয় না, মোকদ্দমা তদপেক্ষাও কম ঘটনা লইয়া হয়। কিন্তু তৎসত্ত্বেও, কাগজে যাহা বাহির হয়, তাহ অত্যস্ত বেশী । পক্ষাত্তরে, এরূপ ঘটনা ইউরোপে ঘটে না । ইউরোপেও আমাদের দেশে এই প্রভেদের কারণ কি, আমরা তাহার সম্পূর্ণ উত্তর দিতে হয় ত অসমর্থ। কিন্তু দুই একটা কারণ যাহা মনে হইতেছে, তাহা বলিৰ । পাশ্চাত্য দেশসকলে দুশ্চরিত্রত নাই, এমন নয় ; খুব আছে। সেই জন্ত সেই সব দেশেও বেস্তাবৃত্তি আছে, wist; as “crowth Josi" (White Slave Traffic) আছে। নানা উপায়ে ও কৌশলে অল্পবয়স্ক ও পূর্ণবয়স্ক যুবতীদিগকে ভুলাইয়া প্রতারণা করিয়া স্বদেশে ও বিদেশে নানাস্থানে চালান করিয়া তাহাদিগকে পাপব্যবসায় নিযুক্ত করা হয়। পাশ্চাত্য দেশসকলে নারীর এইপ্রকারের দুৰ্গতি আছে ; এবং তাহা অামাদের দেশেও আছে । ধাহ ইউরোপে নাই, তাহ এই বাংলাদেশের সেই সব ভীষণ পৈশাচিক বলপ্রয়োগসাধিত অত্যাচার যাহার এক বা একাধিক সংবাদ বাংলা কাগজের প্রায় প্রত্যেক সংখ্যায় পাওয়া যায় । ইউরোপ ও বাংলাদেশের এই প্রভেদেরই কারণ অনুসন্ধান করিতে হইবে । আমরা যে-সব কারণের কথা বলিব, তাহা সৰ্ব্ববাদিসম্মত হইবে, কিংবা আমাদের কোন ভ্রম হইতে পারে না, আমরা এরূপ মনে করি না। কিন্তু যাহার! আমাদিগকে ভ্রাস্ত মনে করিরেন, তাহাদের মতে যাহা প্রকৃত কারণ তাহা নির্দেশ করা তাহাদের কৰ্ত্তব্য হইবে । ইউরোপীয় সমাজে নারীরা এরূপ শিক্ষণ ও স্বধোগ প্রাপ্ত হন, যে, তাহার কেবল তাহাদের স্ত্রীত্ব দ্বারাই পরিচিত নহেন। অর্থাৎ কেহ ভাল লেথক বলিয়া পরিচিত, কেহ সাংবাদিক, কেহ শিক্ষক, কেহ টাইপলেখক, কেহ কেরাণী, কেহ কারিগর, কেহ দোকানদার, কেহ বণিক, কেহ দর্জি, কেহ দার্শনিক, কেহু বৈজ্ঞানিক, কেহ ঐতিহাসিক, কেহ অধ্যাপক, কেহ মন্ত্রী, কেহ ব্যথস্থাপক, কেহ ধর্মোপদেষ্ট, কেহ চিত্রকর, ইত্যাদি। এই জন্ত ইউরোপে, নারী দেখিলেই, বা কোন নারীর উল্লেখ হইলেই, সেই জীবটি যে কেবলমাত্র স্ত্রীজাতীয় জীব এবং সমাজে স্ত্রীত্বই তাহার একমাত্র বৃত্তি বা কাৰ্য্য, অস্তুত: সৰ্ব্বপ্রধান বৃত্তি বা কাৰ্য্য, একমাত্র এই চিস্তাই স্বাভাবিক ও অনিবার্ধ্য হয় না –যেমন পৃথিবীর কোন দেশেই কোন নর দেখিলে বা তাহার উল্লেখ হইলেই সে যে পুংজাতীয় দ্বিপদ প্রাণীবিশেষ, ইহাই একমাত্র স্বাভাবিক ও অনিবার্ধ্য চিস্ত নহে, বরং ইহাই জিজ্ঞাস্ত হয়, যে, এই দ্বিপদ প্রাণীটির সমাজে স্থান কি, কাজ কি, ইত্যাদি। এই অবস্থায় আমাদের দেশের চেয়ে ইউরোপে নারীর স্ত্রীত্ব অপেক্ষা মনুষ্যত্বের দিকে চিত্ত৷ কিছু অধিক ধাবিত হইবার কথা । পুরুষের পুংজাতীয়ত্ব ও নারীর স্ত্রীত্বের দিকেই যদি চিন্তা বেশী ধাবিত হয়, তাহ হইলে মঙ্গুষ্যত্ব না বাড়িয়া জাস্তবতা বাড়ে, স্বতরাং ইন্দ্রিয়পরায়ণতাও বাড়ে। অন্যদিকে, বদি সমাজে নারীর স্ত্রীত্ব ছাড়া অন্ত কাৰ্য্য ও বৃত্তিও থাকে, তাহা হইলে আত্মা ও হৃদয়মন বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসাবে নারীর মধ্যাদা নির্ণয়ের দিকে দৃষ্টি পড়ে। বলা বাহুল্য, আমরা নারীদিগকে সহধৰ্ম্মিণীত্ব ও মাতৃত্ব ত্যাগের হাস্যকর উপদেশ দিতেছি না । পুরুষরা পরিবারের কৰ্ত্ত হইলেও যেমন কেবল তাহাই নহেন, নারীদেরও তেমনি পত্নীত্ব ও মাতৃত্ব ছাড়াও মনুষ্যত্ব কিছু অাছে, তাহাই বলিতেছি। অনেকে ইউরোপের সামাজিক অবস্থা অতি জঘন্ত মনে করেন। তাহা হইতে পারে। কিন্তু তাহা হইতে প্রমাণিত হয় না, যে, আমাদের অবস্থা খুব ভাল। কে ভাল, কে মৰ্ম্ম, সে চিন্তু আপাতত: মন হইতে দূর করিতে আমরা সকলকে অনুরোধ করিতেছি। কেবল আমাদেরই দুৰ্গতি ও দূরবস্থার কারণ শাস্ত ও ধীর ভাবে নির্ণয় করিতে সকলকে অকুরোধ করিতেছি । ইউরোপে অবরোধ প্রথা নাই, ঘোমটা দিবার প্রথা नांदें । ५ऐं फूहे ८थीब्र ग*८क श्वाश दल शाग्न, डांश অবগত আছি। ইহা হইতে যে কুফলের উৎপত্তি হইয়াছে এখন ডাহাই আমাদের বক্তব্য । ইহা ব্যতিরেকেও ষে হিন্দুত্ব থাকিতে পারে, মহারাষ্ট্র, অদ্ভদেশ, সারা দাক্ষিণাত্য