পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२५. ९ প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড এই সকলের প্রতি সৰ্ব্বসাধারণের ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া প্রভিকার চেষ্টা করিবার নিমিত্ত একটি প্রস্তাব হয়, যে, ৪ঠা মে ভারতবর্ষের সর্বত্র এইজন্য সভা হইবে । বোম্বাইয়ের সভায় বহু লোকসমাগম হইয়াছিল। তথা করি সমিতির লোকবল এবং আয়ও বেশ আছে । কলিকাতার সভায় লোক খুব কম হইয়াছিল। বিখ্যাত বক্তাদের মধ্যে কেবলমাত্র শ্ৰীযুক্ত বিপিনচন্দ্র পাল উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করিয়াছিলেন। রেলের যাত্রীদের অস্থবিধা দূরীকরণার্থ তিনি যাহা যাহা করা কর্তব্য বলিয়াছিলেন, সবগুলিই সমীচীন। সকল রাজনৈতিক দলের বর্হিভূত বাগিতাবিহীন প্রবাসী-সম্পাদককে সভাপতি নিৰ্বাচন করা সভাস্থলে লোক বেশী না-হওয়ার একটি কারণ । অন্ত কারণ, আলোচ্য বিষয়টি রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক কোন প্রশ্ন বা সমস্ত নহে, স্বতরাং তাঁহা হইতে কোন উত্তেজনা ও হুজুকের উৎপত্তি হইতে পারে না । কিন্তু আমাদের মনে হয়, ইহার একটা রাজনৈতিক দিকৃও আছে। সভাস্থলে তাহার উল্লেখও করিয়াছিলাম । আমাদিগকে যদি স্বাধীনতা লাভ করিতে হয়, তাহা হইলে এমন কোন অবস্থ-ব্যবস্থা মানিয়া লওয়া উচিত নয়, যাহাতে অপমান, লাঞ্ছনা, দুববিহার সহ করা আমাদের অভ্যস্ত হইয়া যায় । কারণ, তাহা অভ্যস্ত হইয়া গেলে, যে-সব অপমান, লাঞ্ছনা ও দুব্যবহার পরাধীনতার আহ্ববঙ্গিক, মাস্থ্য প্রকারাস্তরে তাহাতেই অভ্যস্ত হইয়া যায় ; স্বতরাং তাহার হেঁট মাথাট উচু এবং বাকা শিরদাঁড়াটা সোজা হইতে চায় না। রাজনৈতিক স্বাধীনতাটা আকাশ হইতে পড়িবে না। পরাধীনতাট। অবশু সব-চেয়ে বড় জাতীয় অপমান । কিন্তু ছোট ছোট অপমান অত্যাচারগুলা দূর করিবার চেষ্টা যদি আমরা না করি, তাহা হইলে সকলের চেয়ে বড় অপমানটাকে ষে আমরা সত্য সত্যই অপমান মনে করি, তাহার প্রমাণ কি ? অপমান, লাঞ্ছন, দুব্যবহার সহ করিতে করিতে মাছুষের তেজস্বিত লুপ্ত হইয়া যায়, ব্যক্তিগত ও জাতীয় আত্মসন্মান-বোধ সম্বন্ধে সে অসাড় হইয়া যায়। সেইজন্য রেলওয়ের টিকিট ক্রয় হইতে আরম্ভ করিয়া অতিরিক্ত স্বাস্ত্রীতে ঠাল গাড়ীতে মালের মত বোঝাই হওয়া পৰ্য্যস্ত তৃতীয় ও অনেক সময়ে মধ্যম শ্রেণীর বাত্রীদিগকে ধাক্কfধাঙ্কি, গালাগালি, প্রভৃতি যাহা সহ করিতে হয়, তাহার প্রতিকার-চেষ্ট না করিলে আমরা যে দাসত্ব ভিন্ন, অন্য কোন অবস্থার উপযুক্ত তাহা প্রমাণ করা দুঃসাধ্য इड्रेटद । তৃতীয় ও মধ্যম শ্রেণীর গাড়ীতে পায়খানা, জল, ও আলোর স্ববন্দোবস্ত হওয়া একান্ত আবখ্যক । গ্রীষ্মকালে বৈদ্যুতিক পাখা থাকা উচিত। হাবড়ার মত DD BB BBB BB L0 BB DDS JBESS BBBBS প্লাটফৰ্ম্মে যাহবার ফাটক খুব বড় কারয় দিয়া ঠেলাঠেলি এবং পাহারাওয়াল ও টিকেট দ্রষ্টাদের ব্যবহার নিবারণ করা উচিত। রেলওয়ের কর্তৃপক্ষদের সহিত যাত্রীদের fবক্রেতা ও ক্রেতার সম্পর্ক । তোমাদের যাতায়াতের বন্দোবস্তের বিনিময়ে আমরা তোমাদিগকে পয়সা নি । অন্ত সব ব্যবসাতে বিক্রে তারা ক্রেতাদের সহিত ভদ্র’ ব্যবহার করে । কিন্তু রেল ও ষ্টীমার কোম্পানীর এক একটা পথে একচেটিয়া ব্যবস থাকায় বিক্রেত হইয়াও তাহাদের কৰ্ম্মচারীরা টিকিটক্রেতা ধাত্ৰাদিগকে অপমান ও কখন কখন প্রহারও করে । একচেটিয়া ব্যবসাই অবশু) ইহার একমাত্র কারণ নহে। রেল ও ষ্টীমারের কর্তৃপক্ষেরা রাজার জা’ত বলিয়া উদ্ধত এবং দুর্ব্যবহার করিতে সাহসী । এইজন্য যাত্রীদের দুঃখ-গান্ধনার চূড়ান্ত প্রতিকার পূর্ণ স্বরাজ লাভে । কিন্তু তাহার জন্য ইt. করিয়া বসিয়া থাকিলে চলিবে না। খ-ট্রেণ অর্থাৎ যে-সব ট্রেন বহুদূরগামী এবং যাহাতে যাত্রীদিগকে রাত্রিযাপন করিতে হয়, তাহাতে তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদেরও শুইবার বম্বো বস্ত থাকা উচিত । ইহাদের টিকিটের পয়সাতেই যাত্ৰীগাড়ীর লাভ হয় । ইহাঙ্গের স্বাস্থ্য নষ্ট করিয়া লাভ দেখাইবার কোন অধিকার রেল কর্তৃপক্ষের নাই। বাসগৃহ, আফিদ, আদালত, স্থলযান, জলযান, আকাশযান, কোনটিরই এমন কোন ব্যবস্থা চূড়ান্ত বা অপরিবর্তনীয় বলিয়। মানিয়া লওয়া উচিত নয়, যাহাতে মামুষের স্বাস্থ্যহানি হয়। বিলাসের উপকরণ না থাকৃ, কিন্তু স্বাস্থ্যরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চয়ই চাই। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীর ষে ভাড়া