পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*O8 o' প্রবাসী-আষাঢ়, 88(אמי [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মজুমদার সাহেবদের মতন না হউক, ইহারাও গণ্যমাপ্ত জমিদার ছিলেন। হরমণি দস্তিদার মহাশয় ইহাদেরও জ্ঞাতি ছিলেন। তখন আমরা জানিতাম মজুমদার এষং দস্তিদার, উভয় পরিবার একই বংশের। এক শাখা কোন কারণে মুসলমান হইয়া পড়েন, আর-এক শাখা হিন্দুই থাকিয় যান। দস্তিদারদের তখনকার একমাত্র কুল-প্রদীপ নবকৃষ্ণ দস্তিদারের এক ক্লাশে আমি পড়িয়াছি। তথন ইহার সঙ্গে স্বল্প-বিস্তর ঘনিষ্ঠ বান্ধবতাও জন্মিয়াছিল। কিছু দিন হইল নবকৃষ্ণ দস্তিদার মহাশয় দেহত্যাগ করিয়াছেন। श्रुओंद्र नक्कुरु पछिन्नांग्न তাহার পুত্রদের মধ্যে এখন বোধ হয় একজন আসামে হাকিমি করেন, প্রাদেশিক সার্ডিস ভুক্ত। আর একজন কিছু দিন পূর্কে নূতন আসাম ব্যবস্থাপক সভার সভাপতি ছিলেন। মজুমদারের ষে এককালে ইহাদের জ্ঞাতি ছিলেন, দস্তিদারেরা ইহা স্বীকার করিতেন । সেকালে মজুমদারেরাও এসম্বন্ধ প্রত্যাখ্যান করিতেন না । বাল্যকালে আমরা জানিতাম যে, ঐহট্টের মুসলমান মজুমদারের এবং হিন্দু দস্তিদারের উভয়েই হবিগঞ্জের অন্তর্গত দাস পাড় গ্রাম হইতে আসিয়া সহরতলীতে वॉफ़ी क८ब्रन । ( २> ) সহরের দক্ষিণে নদী। এই নদীর নাম স্বৰ্ম্ম, স্বরম নহে। অনেকে স্বৰ্খাকে স্বরম ভাবিয়া থাকেন। স্বৰ্ম্ম ফাসী শব, অর্থ কাজল। এই কাজল অর্থ-দ্যোতক ফাসী স্বৰ্ম্মা শবের নামেই আমাদের নদীর নাম হইয়াছিল। এই নদী যথন মুসলমানদিগের নিকট প্রকাশিত হয় তখন তাহার জল নাকি কালিনীর জলের মতন কজ্জল বর্ণের ছিল । শ্রীহট্টের দক্ষিণ দিয়া এই সুৰ্ম্মা নদী প্রবাহিত । নদীর পরপারে খিত্তা নামে একটা বড় গও মুসলমান গ্রাম আছে। থিত্তার মুসলমানের সে অঞ্চলে অতি প্রসিদ্ধ লাঠিয়াল বলিয়া পরিচিত ছিল । তাহাদের লাঠির প্রতাপে নিকটবর্তী হিন্দু মুসলমানেরা উভয়েই সৰ্ব্বদা শঙ্কিত থাকিত। মহরমের সময় ইহারা যখন ভাবোত্মত্ত হইয়া লম্ব লম্বা লাঠি উচাইয়া, দীন দীন রবে সহরের মাঝখান দিয়া তাজিয়ার কবর দিবার জন্য ইদগার ময়দানের দিকে ছুটিয়া যাইত, তখন বাস্তবিকই লোকে ভয়ে কঁপিয়া উঠিত। অন্যান্য গ্রামের তাজিয়ার সঙ্গে পাঁচজন কনেষ্টবল ও একজন হেড, কনেষ্টবলই শাস্তিরক্ষার জন্য থাকিতেন, কিন্তু খিত্তার আখড়ার তাজিয়া যখন বাহির হইত তখন পুলিশসাহেব স্বয়ং এবং মাটি দিবার দিনে আপনি ম্যাজিষ্ট্রেট পৰ্য্যস্ত ঘোড়ায় চড়িয়া এই মুসলমান-বাহিনীর সঙ্গে ছুটিতেন । এই উপলক্ষে মাঝে মাঝে দাঙ্গ-হাঙ্গাম যে হইত না তাহা নহে, কিন্তু সে মাথা ফাটাফাটি হইত মুসলমানে মুসলমানে, লাঠালাঠি হইত এক আথড়ার সঙ্গে আর-এক আখড়ার, হিন্দু মুসলমানে কোন দিন কোন বিবাদ হইয়াছে বলিয়া শুনি নাই। আমরা সহরের অন্যান্ত হিন্দুদিগের সঙ্গে ইদগার ময়দানের চারিদিকের ছোট ছোট টিলাতে যাইয়া জনতা করিয়া বসিতাম। মাঝখানে লাঠিখেলা আগুনখেলা প্রভৃতি হইত। নিৰ্ভয়ে, শাস্তিতে, ছোট ছোট বালকবালিকাদিগকে লইয়। এই তামাসা দেখিতাম ।