পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] همبسهمیه তখন যথারীতি মাথা মুড়াইয়া প্রায়শ্চিত্ত করিয়া সমাজচুতির নিদারুণ দ্বগু হইতে অব্যাহতি পাইলেন। সমাজপতিগণের মনের গতি যখন এরূপ ছিল, তখন ঐ ট্টের হিন্দু বালকের দলে দলে মুসলমানের তৈয়ারী সোড়ালেমনেড পান করিতেছে—একথাটা রাষ্ট্র হইলে শ্রীহট্রেও একটা স্বল্পবিস্তর হলুস্কুল বাধিয়া যাইত। ( ১১ ) সহরে রাষ্ট্র হয় নাই বটে, কিন্তু দুদৈব-বশে আমার এই দুষ্কর্ণের কথা বাবার কানে উঠিতে বেশীদিন লাগিল না । আমার ষোল বছর বয়স পর্যাস্তু এক কপর্দকও বাবা আমার হাতে দেন নাই। তখন যাহা প্রয়োজন হইত cजांक निग्ना दांखांद्र श्ट्रे८ङ उॉश चांनाईबा निरडन । মা’ও এবিষয়ে অত্যন্ত কড়া শাসন করিতেন । হাতে পয়সা পড়িলে ছেলে নষ্ট হইয়া যায়, তখনকার সমাজের সুশিক্ষিত অভিভাবকদিগের মধ্যে এই আশঙ্কট অতিশয় প্রবল ছিল। এইজন্ম ষোল বছর বয়স পর্য্যস্ত আমি কোন দিন হাতে পয়সা পাই নাই । অথচ লোভে পড়িয়া অন্যান্ত বালকদিগের সঙ্গে স্কুলে লেমনেড খাইয়াছিলাম । সে লেমনেডের পয়লা দেওয়া হয় নাই । একদিন বাবার কাছারী যাইবার সময়, তিনি কাছারীর পোষাক পরিয়া বসিয়া তামাক খাইতেছেন, এমন সময় এক অপরিচিত মুসলমান আসিয়া আমার খোজ করিল। বাবা জিজ্ঞাসা করিলেন, কেন ? সে বলিল, স্কুলে লেমনেড খাইয়াছিলাম তার দাম বাকী আছে । বোধ হয় ফু আনা কি তিন আনা তার পাওনা ছিল । বাবা আমাকে ডাকিয়া তাহার মোকাবেল করাইয়া তখনই তাহার প্রাপ্য পয়সা তাহাকে দিয়া দিলেন । আর সে চলিয়া যাইবা মাত্র আমাকে বেদম্ প্রহার করিলেন। সেদিন হইতে আমার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হইয়া গেল । ধৰ্ম্ম নষ্ট হুইবে বলিয়া পাত্রী স্কুল হইতে তুলিয়া জানিয়া নিজেদের প্রতিষ্ঠিত নূতন হিন্দু স্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়া দিয়াছিলেন। এখানেও যদি জাত-ধৰ্ম্ম না থাকে, তাহা হইলে, ইংরেজী পড়াই বন্ধ করিতে হইবে । আমার স্কুল বন্ধ इहेल । সত্তর বৎসর AMMMMMMeAMMMeeMAeAMMMMMAeMMMMMMAeeMMMeeMMMA AMeMeAMMAMA AMMBMAMMAAA AAAA AAAA AAAA AAAAJAAASAAAS ર૮ ( २२ ) - সেবারে, কি কারণে মনে নাই, পূজার পরে মা বাবার সঙ্গে সহরে আসেন নাই । তাহার অনুপস্থিতিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মা যতদিন না সহরে আসিয়াছেন ততদিন আমার স্কুল যাওয়া বন্ধ ছিল । বোধ হয় মা চার পাচ মাস গ্রামের বাড়ীতেই ছিলেন । ইহার পরে যখন সহরে আসিয়া আমার লেমনেড খাওয়ার কাহিনী শুনিলেন ও এই অপরাধে আমার যে দগু হইয়াছে দেখিলেন, তখন তিনি বাবাকে বুঝাইয়া আমার এই দণ্ড খণ্ডন করিলেন । ছেলেটাকে মুখ করিয়া রাখিয়া ফল কি ? আর কালের গতিকে সমাজে কতই অনাচার ত চলিঃ। মাষ্টতেছে, লেমনেড খাওয়া ত সামান্ত কথা । এইজন্য ছেলেটার ভবিষ্যৎ নষ্ট করা কিছুতেই কৰ্ত্তব্য নয়। সমাজের স্বাধন কতটা যে ভাঙ্গিভে আরম্ভ করিয়াছিল মা ধতট। জানিঙেন তখনও বাবার ততট। জানিবার অবসর হয় নাই । আমার মাতুলেরা এবং জোঠতুত ও খুড়তুত ভায়ের যে-সকল কখ। মায়ের কাছে কহিতেন বাবার কাছে তাহ মুখে আনিবার সাহস হইত না। ( כיצ ) এসম্বন্ধে একটা ঘটনা মনে আছে। একবার নবদ্বীপের একজন গোঁসাই শ্রীহটে গিয়াfছলেন । ইনি পদাবলী কীৰ্ত্তন করিতে পারিতেন । বোধ হয় ভাগবতেও কিছু কিছু দখল ছিল । বাহিরে বৈষ্ণবের আচরণীয় তিলক বন্ঠ প্রভৃতি ধারণ করিতেন। ব্রাহ্মণ বলিয়া উপবীতও ছিল । কিন্তু জাতটাত মানিতেন না। বৈষ্ণব গোসাইরা নিরামিষাশী । কিন্তু এই গোসাই ঠাকুর দেখিতে যেমন স্বপুরুষ ছিলেন ভিত্তরেও তেমন সেখান ছিলেন এবং রূপের অনুৰূপ নাগরিক প্রবৃত্তি এবং ভোগ-লিঙ্কাও তেমনি ছিল । মদ্যপান করিতেন কি না জানি না। আমাদের জানিবারও অবসর ছিল না। কারণ বাবা সাত্ত্বিক বৈষ্ণব ছিলেন । আমাদের বংশে বোধ হয় সে হ কখন মদ্যপান করেন নাই। গোঁসাই ঠাকুর কিন্তু স্ববিধ মত পাইলে মাছ মাংস ছাড়িতেন না। ঐঃtট্রর ভক্স সমাজে বন্ত-বরাহের মাংস একেবারে বর্জনীয় ছিল না।