পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HH8 শুক বিহিত ছিল, তাহার পঞ্চভাগ লওয়ারও একটা বিধান ছিল । তাছার সংগ্রহের ভার দ্বারাধ্যক্ষের উপর অর্পিত ছিল । এবং সেইজন্যই এই করের নাম ছিল “দ্বারাদেয়” । তবে উপরি উল্লিখিত শুষ্ক-সম্বন্ধে কাহাকেও কোন প্রকার অল্প গ্ৰছ করিষার ক্ষমতা রাঞ্জাতে ন্যস্ত থাকিত। সেকালে অনেকগুলি শিল্প-বাণিজ্য রাজসরকারের আয়ত্ত ছিল। নৌনিৰ্ম্মাণ, খনি, দারু প্রভৃতির বন, হস্তিবন ও অন্যান্য আরও কতকগুলি বিভাগের কেবল যে রক্ষণাবেক্ষণের ভার রাজসরকারের আয়ত ছিল তাহ! নহে, সেইসমস্ত বিভাগে উৎপন্ন দ্রব্যাদির দ্বারা প্রস্তুত পণ্যদ্রব্যাদির কারবারও রাজকীয় ছিল, এমন-কি ইহার মধ্যে বত কারবার রাজার একমুখ অর্থাৎ একচেটে ছিল। রাজার হন্তে ন্যস্ত এইসকল একমুখ কারবার দ্বারা প্রজার বহুমুখ উপকার সাধিত হইত। রাজকীয় কারখানা বা কৰ্ম্মান্তে অনেক লোক কৰ্ম্মকর নিযুক্ত হইয়া জীবিকা অর্জন করিতে সমর্থ হইত। বর্তমানকালীন মধ্যবিত্ত «fsif3 «f(Çitof *RGiri (unemploymeni question) বোধ হয় এই কারণেই তদানীন্তন রাজাদের আলোচন ও পূরণ করিতে হইত না । সে যাহা হউক, খনিজ দ্রব্যসমূহের মধ্যে লবণ একটি প্রধান দ্রব্য ও মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুজাতের মধ্যে অন্যতম। প্রত্যেক প্রজাকে যেমন এখন রাজপ্রণীত লবণ-গুদ্ধের কিছু পরিমাণে ভাগ অপ্রত্যক্ষভাবে বহন করিতে হয় প্রাচীনকালেও প্রায় তদ্রুপই ছিল। লবণ কিম্ব অন্য বস্তুর আকর কৰ্ম্মাস্তের কার্য্য বহুব্যয়সাধ্য ও বহুলোকের প্রযত্নমাধ্য বিবেচিত হইলে রাজারা তাহা ভাগে বা প্রক্রয়-প্রথায় পত্তন বা ইজারা দিতেন এবং লঘু ব্যয়সাধ্য ও লঘু "প্রযত্নসাধ্য আকরগুলি নিজ অধ্যক্ষগণের পর্যবেক্ষণেই রাখিয়া দিতেন। আকরজাত লবণ কৰ্ম্মান্ত হইতে ব্যবহারোপযোগী হইয়। নিম্পন্ন হইলে লবণাধ্যক্ষকে নিয়মিত ভাগ সংগ্ৰহ করিতে হইত ও নিজ বিভাগে প্রস্তুত লবণের বিক্রন্থের বন্দোবস্ত করিতে হইত। পূৰ্ব্ব-বর্ণিত নির্দিষ্ট ভাগ ও প্রক্রয়লব্ধ লবণ সম্বন্ধে ব্যাজী নামক শুষ্ক তাহাকেই সংগ্ৰহ করিতে হইত। এই ত গেল রাজার নিজ রাজ্যোৎপন্ন লবণ r} প্রবাসী—অষাঢ়, ১৩৩৪ { ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সম্বন্ধে বিধি। আগন্তু অর্থাৎ পরদেশজাত লবণের কারবার স্বীকার করিত তাহারা প্রথম ক্রয়-সময়ে ব্যান্ধী ও রূপিক নামে প্রসিদ্ধ শুষ্ক দিয়াই খরিদ করিত এবং প্রজাদের মধ্যে যাহারা পরদেশ-জাত লবণ ব্যবহার জন্য খরিদ করিত তাহfরাও শুষ্ক দিয়া ও রাজপণ্যের ছেদ-জনিত ক্ষতির পূরণার্থ বৈধরণ নামক একথকার শুল্ক দিতে বাধ্য ছিল । বান প্রস্থ ব্যতীত অন্ত কেহ রাজার অনুমতি ব্যতিরেকে লবণের কারবার করিলে ভাংকে উত্তমদও অর্থাৎ ১০০০ পণ মুদ্রা অর্থদণ্ড পে দিতে স্বদেশজাত আকরজ ও থনিজ দ্রব্যাদি ও তন্নিৰ্ম্মিত পণ্য দ্রব্যাদির রক্ষণ ( protection ) সম্বন্ধে পূৰ্ব্বতন রাজগণ বিশেষ দৃষ্টি রাখিতেন বলিয়াই প্রজার জীবন-যাত্রা নিৰ্ব্বাহে তত কিছু ক্লেশ ভোগ করিত না । তাহার প্রমাণ এই লবণের কারবার। تنها を授意l রূপ-বিভাগ (Mint) ও লক্ষণtধ্যক্ষ পণ্যাদির ক্রয়-বিক্রয় ব্যবহারেও রাজদেয় করদণ্ডাদির পরিশোধে ধাতু-নিৰ্ম্মিত মুদ্র বা টাকার ব্যবহার ভারতে চিরকালই চলিয়া আসিতেছে। স্থবৰ্ণ, রজত ও তাম্রময় মুদ্রার ব্যবহারই প্রাচীন কালে বহুলভাবে প্রচলিত ছিল। দীনার, পণ, অৰ্দ্ধপণ, পাদপণ, অষ্টভাগ " পণ, মায, অৰ্দ্ধ মায, কাকণী, অৰ্দ্ধ কাকণী প্রভৃতি মুদ্রার বহুবিধ নাম ছিল—স্বরূপতঃণ্ড ভারতের নানা প্রদেশে ততং মুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে ও হইতেছে । দীনার স্ববর্ণ-নিৰ্ম্মিত, পণ্যাদি চতুষ্টয় রূপ্যনিৰ্ম্মিত এবং মাবাদি তাম্র-নিৰ্ম্মিত ছিল। বিশুদ্ধ সুবর্ণাদি দ্বারা কখনই মুদ্র প্রস্তুত করা হইত না। রাজদগুদি পণ-নামক মুদ্র দ্বারাই অধিকতর ভাগে সংখ্যাত হইত। এই পণ নামক “রূপান্ধণে” (অর্থাৎ রূপার মুদ্রাতে ) চারি ভাগ তাম্র ও কালায়ুস রঙ্গ (রঙ) সীস বা রসাঙ্গনের এ* ভাগ এবং একাদশ ভাগ বিশুদ্ধ রৌপ্য থাকিত । উল্লিখিত অন্তাষ মুদ্রাতেও এই অনুপাতেই খাদ মিশ্রিত থাকিত। বিশুদ্ধ ধাতু দ্বারা মুদ্রাসকল নিৰ্মিত হইত না বলিয়া লক্ষণাধ্যক্ষ বা টঙ্ক্যশালাধ্যক্ষের বিভাগ হইতেও अवधि c२* आघ २३उ । ५थनe प्रजाब बना निि