পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] অগুস্ত রদ্যার শিল্প-পরিচয় JNG করিয়া উঠিলেন, “রষ্ঠাকে সামূলাও”—জোল ফরাসী সাহিত্যে যে ঘুর্ণীতির প্রচার করিয়াছেন, রপ্ত। আর্টে তাহাই করিতেছেন। আমেরিকায় এই অভিযোগই প্রতিধ্বনিত হইল। শিকাগোতে তাহার “চুম্বন" মূৰ্ত্তি একটি গোপন প্রকোষ্ঠে অর্গলবদ্ধ করিয়া সাধারণের দৃষ্টি হইতে নিৰ্ব্বাসিত করিয়া রাখা হইল। ষ্টকহোলমের প্রদর্শনী রদ্যার স্বেচ্ছার একটি দান অগ্রাহ করিয়া ফেরৎ পাঠাইলেন। কিন্তু একদিকে যেমন এই অজস্র নিম্বা ও গালিবর্ষণ, অন্যদিকে তেমনি যুরোপের একপ্রাস্ত হইতে অন্যপ্রাস্ত পৰ্য্যস্ত খ্যাতি ও প্রশংসা। ইংলণ্ডে এক বিরাট শিল্প সম্মিলনীতে র্তাহাকে প্রকাস্তে অভিনন্দিত করা হইল ; প্রাগের মন্দির-চত্বরে তাহার অপূৰ্ব্ব শিল্পস্থষ্টি ‘চিন্তামগ্ন’ বিরাটু সমারোহে প্রতিষ্ঠা লাভ করিল, তথাকার শিল্পীকুল রদ্যার গাড়ীর ঘোড়া বন্ধনমুক্ত করিয়া নিজেরাই টানিয়া লইয়া গেল । মহাযুদ্ধের ভেরী-নির্ঘোধে সমগ্র যুরোপীয় জগৎ যখন কম্পিত তখন ফরাসী দেশ তাহার শ্রেষ্ঠ শিল্পীসস্তানকে শ্রেষ্টতম সম্মান প্রদান করিল সরকারী চিত্রশালায় (Museum) তাহার মৰ্ম্মরমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়া এবং র্তাহার শিল্পস্থষ্টিগুলিকে একটা বিশেব স্থান দান করিয়া। চিরাচরিত পস্থার অনুসরণ ও অমুক রণকেই যাহারা শিল্পচর্চার একমাত্র পথ বলিয়া জানিয়াছেন, তাহাদের দৃষ্টি ও বিচার নূতন স্বষ্টি, নূতন বিকাশ এবং প্রতিভার প্রথম চরণপাতে এমনি করিয়াই ভয়ে আঁৎকাইয়া উঠে ; কিন্তু ছিদ্রাম্বেষী বিচারকের উদ্ধত বাক্য ও ম্পর্কিত লেখনী জলস্ত প্রতিভার সমক্ষে লজ্জায় অবনমিত হইয়া পড়ে। আসল কথা হইতেছে, সূক্ষ্ম শিল্প ও সাহিত্য সাধনায় ‘ডেমক্রেসী’ বলিয়া কোন জিনিস নাই, জনসাধারণ কখনও প্রতিভাবান রসম্রষ্টার স্ববিচারক হইতে পারে না কিংবা স্বক্ষ রসাম্বাদনের স্বতঃস্ফূৰ্ত্তবৃত্তি আয়ত্ত করিতে সমর্থ হয় না। শিল্পী কিংবা কবির স্বষ্টি জনসাধারণের বোধশক্তির কিংবা গ্রহণ শক্তির পরিমাপকে গ্রাহ করিয়া চলে না, সে চলে আপন পন্থা জহ্নুসরণ করিয়া। পাঠক ও দশক যদি তাহার সঙ্গে সমপদবিক্ষেপে চলিতে না পারে এবং সেই জন্যেই নিদায় শতমুখ হইয়াও উঠে তাহাতে শিল্পী কিংবা কবির কিছু যায় আসে না। তাহাকেই বলি শিল্পীগুরু অথবা কবিগুরু যিনি পাঠকের বোধ-শক্তির বা গ্রহণ-শক্তির সমভূমিতে নামিয়া আসেন না বরং শত নিদামুখর কণ্ঠকে অগ্রাহ করিয়া দিনে দিনে জনসাধারণকে আপন প্রতিভাস্বারা আকর্ষণ করেন এবং সৰ্ব্বশেষে তাহাদিগকে স্বীয় বোধ ও অনুভব-শক্তির সমুন্নত শিখরে উন্নীত করেন। সেই হিসাবে রদ্যাকে বলি শিল্পীগুরু। রেপেন্সাস যুগের শিল্পসাধনার মুক্তধারা বদ্ধ হইয়া গিয়াছিল ; মরানদীর বদ্ধজলে যে পাশ্চাত্য শিল্প বিকাশ লাভ করিল প্রাণরস বলিয় তাহার কিছু ছিল না। যাহা কিছু আপাতমধুর, যাহা কিছু তালে লয়ে মুহূৰ্ত্তে মনকে চঞ্চলতায় নাচাইয়া তুলে, যাঙ্গ কিছু সহজবোধ্য এবং বর্ণে জল, যাহা কিছু কৌতুহলোদ্দীপক, যাহা কিছু পৌরাণিক তাহারই মধ্যে শিল্পসাধন বন্দী হইয়া পড়িয়াছিল ; জনসাধারণের সৌন্দৰ্য্যবোধ সেই সীমার মধ্যেই আত্মপ্রসাদ লাভ করিতে অভ্যস্ত হইয়। পড়িয়াছিল। প্রত্যেক দেশেই শিল্প ও সাহিত্যে এমন সময় আসে যখন তাহার স্বাধীন মুক্তধারা কতকগুলি ব্যাকরণের নিয়মসূত্র এবং গতানুগতিক পন্থার মধ্যে আবদ্ধ হইয় পড়ে এবং তাহারই মধ্যে রস ও সৌন্দর্ঘ্যের সন্ধান লাভ হইয়াছে মনে করিয়া শিল্পী সাহিত্যিক ও জনসাধারণ আত্মপরিতৃপ্তি লাভ করে । খৃষ্টপূৰ্ব্ব তৃতীয় শতাব্দী হইতে আরম্ভ করিয়া সুদীর্ঘ চারিশত বৎসর রোমকশিল্পের ইভিহাসে এই ব্যাপারটিই ঘটিয়াছিল। দশম একাদশ শতাব্দী হইতে আরস্ত করিষু মোগলশিল্প সাধনার বিকাশ পৰ্য্যস্ত ভারতবর্ষের শিল্পইতিহাসে ইহারই शूनब्रादूf ख श्हेण । eथांल्लेौन ८ब्राप्भ श्रथवां श्लूि डांब्रर७ ধ্বসের প্রন্থি নিবৃত্তি আর হইল না, কিন্তু বর্তমান যুরোপে রদ্যা প্রমুখ প্রতিভাবানু শিল্পীর। সেই ধ্বংসপথযাত্রী শিল্পধারায় মৃভসঞ্জীবনীম্বধ সঞ্চারিত করিয়া তাহাকে যাচাইয়া তুলিলেন। রদ্য বুঝিলেন, সমসাময়িক শিল্পীকুল শিল্পের জীবন-উৎস হইতে অনেকদূরে সরিয়া পড়িয়াছে। তিনি দেখিলেন, জীবনের চারিধারে যাহা অতি তুচ্ছ