পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] অগুস্ত রদ্যার শিল্প-পরিচয় vరిNt রক্তমাংসের ষে দেই তাহ রূপ লইয়াছে পশুর দেহে । মানব দেহরূপী যে, আত্ম তাহা কি প্রচণ্ড শক্তিতে পশুদেহ হইতে মুক্তি কামনা করিতেছে! ছুটি হাত সজোরে উৎক্ষিপ্ত করিয়া সমস্ত দেহটিকে তাহারই সঙ্গে নিক্ষেপ করিয়া পশুদেহ হইতে বিচ্যুত হইবার কি অদ্ভুত প্রয়াস ! সমস্ত মুখটির উপর শক্তি ও সংগ্রামের কি অপূৰ্ব্ব লীলা ! সমস্ত শিরা উপশিরা ও ও মাংসপেশীগুলির কি অদ্ভুত নৰ্ত্তন। আর পশুদেহটির —মানুষের মধ্যে যাহা অমুর—ঠিক উণ্টে৷ গতি। সে কিছুতেই আত্মাকে তাহার মধ্য হইতে মুক্তি দিতে চাহিতেছে না ; পিছনের পা দু’টি দিয়া সজোরে মাটি অঁকড়াইয়া ধরিয়া সমস্ত দেহভার পশ্চাতে নিক্ষেপ করিয়া সে আত্মার উৰ্দ্ধমূখীন গতিকে ব্যাহত করিতেছে। ঐ সম্মুখ ও পিছনের পা চারিটির এবং তাহার পশ্চাদ্ভাগের মাংসপেশীগুলির গড়নে প্রতিরোধের ইঙ্গিত অদ্ভুত রূপ লাভ করিয়াছে । আত্মার উৰ্দ্ধগতির সঙ্গে দেহ যেন কিছুতেই প্রতিরোধের সমতা রক্ষা করিতে পারিতেছে না। প্রচুর শক্তি প্রয়োগ করিয়াও পশুর পা গুলি কিছুতেই যেন স্থিতিলাভ করিতেছে না। ভাষা এই শিল্প স্বষ্টিটি বর্ণনার কতটুকু দাবী রাখে ? “দেহ ও আত্মা” যদি হইয়া থাকে রূপক, “ঝড়কে” তাহা হইলে বলিব ঝড়েরই সত্যরূপ। ঝড়ের মে বিকট উল্লাস, প্রচণ্ডবেগ, বাধাবন্ধকার উদামগতি তাহাকে এমন করিয়া পাথরের মধ্যে রূপ দিল কে ? শিল্পে ত নটরাজ ছাড়া ইহার তুলনা কোথাও খুজিয়৷ পাই না । স্থিতিশীল অচল পাথরের মধ্যে এমন গতিবেগের সঞ্চার শিল্পীর কি অভূত ক্ষমতার পরিচয় । সম্মুখ পানে ইহার গতি, চোখে মুখে কপালের কুঞ্চনে সৰ্ব্বত্র ইহার উৎকণ্ঠার উৎকট লীলা, মুখের গড়নে ক্লিষ্টতার স্বপরিস্ফুট আভাস, পশ্চিমের ঝড়ো বাতাস ইহার উজ্জাম ८क*द्रांभिक जड़ेब्र! कि छैब्रांप्त नृङाहे ना छूफ़िग़ा शिाह, ८कांथांश् ८कांन् निशख cधन हैंशtनब्र नय ऎक्लोहेष्ठां जड़ेब्र যাইবে। অথচ থোকা থোকা চুলগুলির ফাকে ফাকে আলোছায়ার লুকোচুরী এই ঝড়ের উদ্ধামতার মাঝেও যেন একটা একটানা স্বরের মতন বাজিতে থাকে। বুঝ গেল রূদ্যার আর্টের প্রথম বিশেষত্বই হইতেছে শিল্পবস্তুর সঙ্গে দ্রষ্টার সহজ আত্মীয়তা বোধ ; শিল্পী যাহা বলিতে চাহেন, যে ভাব প্রকাশ করিতে চাহেন অতি সহজেই কি করিয়া তাহ মানুষের মৰ্ম্মে গিয়া সাড়া জাগায়, কি করিয়া সে ভাবজগতে শিল্পীর সহিত এক হইয়া যায়, রদ্যার শিল্প স্বষ্টিগুলি দেখিলে তাহ সহজেই উপলব্ধি করিতে পারা যায়। এই যে সহজ ও সরল ভাব-বোধ, ইহা সকল দেশের সকল শ্রেষ্ঠ শিল্পের মধ্যেই লক্ষ্য করিতে পারি। ইহাকেই রূপ দিতে গিয়া ব্লদ্য দেহের সৌন্দর্ঘ্যের দিকেও আকৃষ্ট হইয়াছিলেন এবং এই সৌন্দৰ্য্যকে তিনি আবিষ্কার করিয়াছিলেন মানুষের দেহের সহজ গতি ও লীলা-ভঙ্গিমার মধ্যে এবং চৰ্ম্মের শুভ্র আলোকৌজল্যের মধ্যে। নগ্ন দেহের উপর সুর্ধ্যালোক যে আনন্দে নাচিয়া বেড়ায়, শুভ্র চর্মের উপর যে স্বচ্ছ ঔজ্জ্বল্য দিনের আলোকের প্রতি মুহূৰ্ত্তের পরিবর্তনের ভিতর দিয়া আপন ধৰ্ম্ম বজায় রাখে, তাহাকেই তিনি অপূৰ্ব্ব কৌশলে রূপ দিতে শিখিয়াছিলেন দেহের প্রতি অঙ্গের গঠন ভঙ্গিমার ( Modelling) ভিতর দিয়া। এই শিল্প কৌশল তাহাকে ভাবস্বষ্টির দিক দিয়া বেশীদূর অগ্রসর করিয়৷ দিতে পারে নাই সত্য, কিন্তু মানব-দেহের যেসহজ দৈহিক সৌন্দর্ঘ্য চিরকাল মাতুষের চোখ ও মনকে পরিতৃপ্ত করিয়া আসিয়াছে সেই সৌন্দৰ্য্যকে রদ্যা কখনও তুচ্ছ বলিয়া ভাবেন নাই। নানাভাবে নানারূপে দেহের সেই সৌন্দৰ্য্যকে ফুটাইয়া তোলার প্রচেষ্টা, তাহার স্বষ্টিতে কি অপূৰ্ব্ব সার্থকতাই না লাভ করিয়াছে। এই হিসাবে তিনি কোথাও কোথাও গ্রীকৃ অথবা রেণেদাস শিল্পীদিগকেও অতিক্রম করিয়া গিয়াছেন। রদ্যা কথনও সৌন্দর্ঘ্যকে পৃথক পৃথক ভাবে পদার্থতত্ত্ববিদের মত অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা বিশ্লেষণ করিয়া দেখেন নাই ; তাহার শিল্পবৃষ্টি মাহুষকে দেখিয়াছে সমগ্র ভাবেসেই সমগ্র ভাষ ও সৌন্দর্যটিকে মনের মতন করিয়া প্রকাশ করিতে গিয়া হয়ত কোনো অঙ্গ বিশেষ অথবা ভঙ্গি বিশেষকে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রাধান্ত দিতে হইয়াছে। এই হিসাবে রদ্যা বিশেষ করিয়া ভারতীয় শিল্পপদ্ধতিকেই অকুসরণ করিয়াছিলেন, এবং এইখানেই