পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] জীবিনী"র প্রতি লক্ষ্য করিয়া বলা যাইতে পারে; কুজগৃষ্ঠ, লোলচৰ্ম্ম, বিগত-সৌন্দর্ঘ্য, পঙ্ক রুক্ষকেশ এই বৃদ্ধ মরণ সমুদ্রের বেল-ভূমিতে বসিয়া অতীতের কত কথাই না ভাবিতেছে। তাহার বেদনাময় স্মৃতি তাহাকে পীড়িত করিতেছে, সমস্ত মুখটির উপর তাহারই ছায়া। যে কুশীতার একটা স্বচ্ছ আবরণ ইহার সমগ্ৰ দেহকে ঢাকিয়া রাখিয়াছে এবং যাহা সাধারণ দৃষ্টিকে হঠাৎ বিদ্রোহী করিয়া তোলে তাহাকে শুধু কুঞ্জ বলিয়া উড়াইয়া দিতে পারা যায় কি ? ইহার লোল কুঞ্চিত তাপদগ্ধ চৰ্ম্ম কত বৎসরের কত ঘটনাবছল ইতিহাস আপাত-কুৎসিত আবরণের আড়ালে ঢাকিয়া রাখিয়াছে ; ইহার শুভ্র রুক্ষ বিরঙ্গকেশ মস্তিষ্কের উপর দিয়া কত গ্রীষ্মের থর রোস্ত্র, কত বর্ষার ঝড় ও বারিপাত, কত শীতের কুহেলি-সম্পাত, বহিয়া গিয়াছে। তাহারই স্তব্ধ ইতিহাস ইহার প্রতি অণুতে অণুতে মুখর কণ্ঠে ধ্বনিত হইতেছে। হয়ত ইহার সঙ্গীতে, ইহার নৃত্যে, ইহার আঁখির চপল কটাক্ষে, ইহার দেহের বিলোল ভঙ্গীতে কত রাজার বিলাস মজলিস, কত ধনীর প্রাসাদ, কত রসিকের প্রমোদ ভবন মত্ত ও মথিত হইয়াছে—হয়ত ইহার সেবtয়, ইহার আত্মবিলোপে, ইহার পরিচর্ধ্যায় কত ক্লিষ্ট ও পীড়িত জন শান্তি পাইয়াছে। কিন্তু এসব আজ দূর অতীতের কথা ; জীবনের যাহা সব চাইতে ভয়ানক, সব চাইতে ভীষণ যে জরা আজ তাহারই ছায়া ইহার উপর পড়িয়াছে ; মরণ-সমূত্রের উত্তাল তরঙ্গ ইহার জীবনতটে আসিয়া আছড়াইয়া পড়িতেছে। রবীন্দ্রনাথের “কঙ্কাল” যেমন করিয়া তাহার চিকিৎসাবিদ্যার পাঠকটিকে বলিয়াছিল তার বিগত যৌবনের কথা, এই মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধাও তেমনি করিয়া আমাদের বলিতে পারে, সময় ছিল যখন আমার ছিল এই পটল চেরা চোখ, যাহার বিলোল कारक शूक श्ब्रा cडांभारमब्र भउ कऊ १उष याभाद्र রূপ-বহ্নিতে ঝাপ দিয়া মরিতে আসিয়াছে। আমার এই শুভ্র দেহের মধু-স্বগদ্ধে কত কুঞ্জৰীখিক ভরিয়া উঠিয়াছে, আমার প্রাণরসের উচ্ছ্বসিত পেয়াল কত তৃষ্ণাৰ্ত্তজন পান করিয়াছে । মাঞ্জ ডোমরা যাহা দেখিতেছ চিরকাল श्रांभि ऊांशंदें झिलांभ ना’ । किरू डाँहे रुजिम्ना हेश्ॉब्र অগুস্ত রদ্যার শিল্প-পরিচয় రిట్ట রূপ-সৌন্দৰ্য্যময় যেীবনই সত্য, আর এই জরাগ্রস্ত বাৰ্দ্ধক্য ইহাই মিথ্যা একথা কে বলিবে ? দুইই সত্য, যৌবনকে যদি স্বীকার করি, মৃত্যু-প্রতীক্ষায় স্থির বাৰ্দ্ধক্যকেই বা তাহা হইলে অস্বীকার করিব কি করিয়া ? রদ্যাও তাহাকে অস্বীকার করেন নাই, এবং করেন নাই বলিয়াই বাৰ্দ্ধক্যের এই আপাত-কুৎসিত রূপ র্তাহার নিকট সত্যই কুৎসিত বলিয়া প্রতীয়মান হয় নাই। ইহার জরাগ্রস্ত রূপ যে ভাবরহস্তকে নিরস্তর দেখা দিতেছে, রদ্যা সেই রহস্যেই মুগ্ধ হইয়াছেন এবং তাহাকেই সকলের সমক্ষে রূপদান করিয়াছেন। “রূপোপজীবিনী"র মূৰ্ত্তিটি দেখিয়া কাহারও চিত্ত যদি ভয়ে ভীত হইয়া থাকে, “বিদায়ের” বিষাদ প্রতিমাটি দেখিলে তাহার চিত্ত করুণায় শাস্ত ও মাধুর্ঘ্যে মুগ্ধ হইবেই। একটি রুক্ষ কর্কশ প্রস্তরখণ্ড ভেদ করিয়া যে মুখ-পদ্মটি ফুটিয়াছে, কি করুণ কি বিষাদময় তাহার দৃষ্টি। বাক্য তাহার স্তব্ধ, দৃষ্টি তাহার সজল, যে প্রিয়বস্তু হইতে সে বিদায় লইতেছে তাহার চক্ষু তাহারই উপর নিবন্ধ, কম্পিত ওষ্ঠপুটের উপর অঙ্গুলি দুটি রাখিয়া এক দুষ্টে সে তাহারই দিকে চাহিয়া আছে : সমস্ত প্রস্তরখগুটির, তাহারই মধ্যে রূপায়িত অবিস্তস্ত কেশদামের এবং সমস্ত দেহটির গতি ঐ প্রিয় বস্তুটির দিকে, কিন্তু তাহার নিকট হইতে বিদায় তাহাকে লইতেই হইবে। বাহিরে এই শাস্ত মুখশ্ৰী এবং ভিতরে এই বিচ্ছেদের দুঃসহ বেদন এই মূর্তিটিকে কি অপূৰ্ব্বরূপে মণ্ডিত করিয়া আছে ! প্যারির রদ্যা-মিউজিয়মটি না দেখিলে, তাহার শিল্প-স্বষ্টিগুলির অতীন্দ্রিয় রহস্যের মধ্যে চিত্তকে স্বেচ্ছাবিহার করিতে না দিলে শিল্পাচার্য রদ্যাকে বিছুতেই ভাল করিয়া বুঝিতে ও বুঝাইয়া উঠিতে পারা যায় না। যুরোপীয় ভাস্কর্ঘ্যের ইতিহাসে, নবোম্বোধন যুগের এঞ্জেলোর পরে যদি কোনো ভাস্করের নাম করিতে হয় তবে রদ্যার নামই করিতে হুইবে । এ ক্ষেত্রে আজও কেহ এই শিল্পাচাৰ্য্যকে অতিক্রম করিয়া যাইতে পারেন নাই। অনাগত যুগের কোলে হয়ত রদ্যা অপেক্ষাও প্রতিভাবানু শিল্পী নীরবে