পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిగిe প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড বিপুল হাত ছোড়া—ও-জায়গাট মুখস্ত করে এসেছিল নিশ্চয়ই। রুথ-এর গল্প কি, বাইবেলের সঙ্গে কোথায় তার অমিল এই নিয়ে তুমুল তর্ক, তুমুল আক্ষালন । ‘খুব সোজা' বলে বই মুড়ে কোঁটোর থেকে গোট চার পান মুখে পুরে প্রায় দৌড়েই বেরিয়ে গেলেন আলপাকার পাল তুলে। বোধ হয় অনেকদিন বাদে একট। মোকদ্দমা পেয়েছিলেন —তখনো ভালো ছাত্রেরা বইয়ের ধারেধারে মাষ্টারের শব্দার্থ টুকে রাখছে ও পরস্পরে রুথের শ্বশুরবাড়ী নিয়ে পরামর্শ করছে। ভাই সরোজ, আর জ্যোৎস্নারাতে কীটস পড়া চলবে না কোনোদিন । পরে মাকে দুই বাহু দিয়ে জড়িয়ে ধ'রে বল্লে—তুমি ভাবছ মা যে তোমার ছেলে বি-এ পাশ করতে পারল না ব'লেই ব’য়ে গেল ? নয় ম, নয় । জান ?-যারা খুব বড় হয়েছে তাদের শব্দের অর্থ জানতে মা’র গয়না বন্ধক দিয়ে কলেজে পড়তে আসতে হয়-নি। এ দিন যাবে, এ কথাত তুমিই বেশি বিশ্বাস কর। দিন যাবে নিশ্চয়ই, কিন্তু যদি তারপর কালে ঝড়ে রাত্রিই আসে, তাতেও ভড় কাবার কিছু নেই। আমাকে জন্ম থেকে এমন পঙ্গু পক্ষাহত ক'রে বানিয়েছেন ব’লে জবাবদিহি দিতে হবে বিধাতাকেই। ম। মিশ্রির জল ছেকে দুই কাচের গ্লাসে ক’রে দুই বন্ধুকে তাগ ক’রে দিলেন। বল্লেন—আর একটা গধুনাও ত নেই— —খবরদার মা । অামার কলেজে পড়া এইথেনে থতম্। আমি এই ফাট। ফুসফুস নিয়েই লড়ব । তুমি আমার মা, আর ঐ তালগাছট। আমার ছেলেবেলার বন্ধু, —কতকালের চেনা । সরোজ জিজ্ঞেস করলে—কি করবে তা হ’লে এখন ? —কবিতা লিখব। তুমি হেসে না, সরোজ ! কথাটা ভারি বেতাল শোনাচ্ছে, জানি। কিন্তু আমি সত্যিই লিখব এবার । আমার সমস্ত প্রাণ চেচিয়ে উঠতে চাইছে। সরোজ হেসে বল্লে—তা হ’লে আর কবিতা হবে না । —ন হোক। সোণ সত্য কথা বুক ঠুকে আমি খুলে ৰ’লে দিতে চাই। সৌদর্ঘ্যের আবরণ দিয়ে কুৎসিত নগ্নভাকে ঢেকে রাখার জন্তেই না তোমরা ভগবান বানিয়েছ! যে কথা কনফুসিয়াস, বায়ুরণ, স্বইন্‌বাৰ্ণ বঃ হুইটম্যান পৰ্যন্ত ভাবতে পারেনি— তেমন আবার কি কথা আছে ? —দেখে। যে কথা ভেবেছিল খালি চ্যাটার্টন্‌। সরোজ ইঙ্গিত বুঝতে পেরে সহসা পাংশু হ’য়ে বল্লে— খবরদার, অমর। ও রকম মারাত্মক ঠাট্ট করোন । অমর উদাসীনের মত বল্লে—মারাত্মক ঠাট্রাই বটে । জান, বিধাতা যদি তোমাদের প্রকাও কবি হন ত এই পৃথিবীটা তার প্রকাগু ছন্দপতন । কিন্তু না, সত্যি সত্যিই সে রাতে অমর কালি কলম আর কাগজ নিয়ে বস্ল কবিতা লিখতে। মেটে মেঝের ওপর ছেড়া মাছর বিছিয়ে মা ঘুমিয়ে পড়েছে, মান বাতির আলোয় সেই মুখখানির যেন তুলনা নেই। ঐ মা’র মুখখানি নিয়েই একটা কবিতা লেখা যায় হয়ভ,–যেন বহু छtन्म द्र शॉनि-काँग्नाँद्र शुन ! সলতে ধীরে ধীরে পুড়ে যাচ্ছে,–কিন্তু একট। লাইনও কলমের মুখে উক মারছে না। বিটু’-এর পুলিশ খানিক আগে চেচয়ে পাড়া মাখ ক’রে জুতোর ভারী শব্দ ক’রে চ’লে গেছে। আবার সেই নিঃশব্দত,-প্রকাশ করতে ন পারার ব্যাথার মতোই অপরিমেয়। অমরের মনে হ’ল, ভাষা ভারি দুর্বল, খালি ভেঙে পড়ে। লিখতে চাইছিল—এই জীর্ণ পৃথিবী, এই দানবী সভ্যতা,—সব কিছুই প্রকাও ভুল বিধাতার,—এ চড়েপাকা ছেলের ছিবলামি। এঞ্জিন-ড্রাইভার যেমন ভুল পথে গাড়ি চালিয়ে হায় হায় ক’রে ওঠে,—তেমনি অকারণে ভুল ক’রে খেলাচ্ছলে এই পৃথিবীটা বানিয়ে ফেলে ভগবান তারায় তারায় চীৎকার ক’রে উঠেছেন, —অষ্ণুতাপে দগ্ধ হচ্ছেন। এত বড় যে ব্যবসাদার,—সেও দেউলে হ’ল ব'লে। কবে লালবাতি জলবে,-প্রলয়ের । তারই কবিতা । লেখা যায় না। খালি সলতেটা পুড়ে পুড়ে নিঃশকে হ’লে দীপ নিবে যায়। বিকেলের দিকে অমর সরোজের বাড়ী গেল। পাশেই | বাড়ী-লাগাও টিনের ঘরে একট। গাড়ি পর্যাঙ আছে।