পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بياسو{{2ي দিয়া ঝর ঝর করিয়৷ জল ঝরিয়া পড়িল । আবার বৃষ্টি জোরে নামিয়া আসিল । গাছপালা ফুলিয়া ছলিয়া মাথা নাড়া দিয়া বিশ্বকে যেন পথে বাহির হইতে মানা করিতেছিল। সঞ্জয় তাহারই ভিতর বাহির হইয়া পড়িল । কোনো মাতুষ তাহাকে বারণ করিল না। কেবল তীব্র বৃষ্টিধারা বাতাসের সঙ্গে স্বর মিলাইয়া বলিতে লাগিল—“ন’ ‘না’ না” । পূবে হাওয়ার দাপটে পুঞ্জ পুঞ্জ কালে মেঘ একবার প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৪ { ২৭শ ভাগ; ১ম খণ্ড উড়িয়া যায়, এক টুকরা নিৰ্ম্মল আকাশের আলো হাসিয়া উঠে ; আবার উন্মত্ত বর্ষণে সমৰ্থ বিশ্ব কুয়াসায় লুপ্ত হইয়া যায়। পথ নাই, আলো নাই, সঙ্গী নাই। সঞ্জয় একবার থামে একবার চলে। ভিতর-বাহিরের এই অশাস্ত ঝটিকা জলধারায় ক্ষণে ক্ষণে স্কিন্ধ হইয়া আসিতেছিল ; মনে পড়িতেছিল চঞ্চলার আরক্ত মুখের উপর অশ্রুর প্লবিন । (ক্রমশঃ) مجيدججحت كيتيتيتضد কাব্য-আলোচনাঞ্চ অধ্যাপক শ্ৰীসুশীলকুমার দে, ডি-লিট্‌ (লগুন), পি-আর-এস কবি মোহিতলাল তার নূতন কাব্যগ্রন্থ ‘বিস্মরণীতে যে স্বতন্ত্র স্বরটি জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন, তার গতি ও প্রকৃতি দু-একটি কথায় নির্দেশ করা যায় না। পাঁচ বৎসর পুৰ্ব্বে যখন তিনি তার প্রথম কবিতার জধ্য রচনা করে সস্তুপণে বঙ্গবাণীর মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন, তখন তিনি অতি বিনীতভাবে আত্ম-পরিচয় দিয়েছিলেন করি দ্বারে স্বারে স্বপনের ফিরি— স্বপন-ব্যাপারী অামি । তখন কৰি শুধু ভাব-বিলাসী গীতি-কল্পনার আনন্মে আত্মহারা। কিন্তু এই স্বল্পমুগ্ধ স্বপন-পসারী তার নিঃসঙ্গ হৃদয়-বীণায় যে আনন্সের স্বয় বাজাতে স্বয় করেছিলেন, আজ সেটি ধেন বেদনার মুচ্ছনার মুচ্চিত হয়ে অপরূপ ঝঙ্কার তুলেছে— ত্রিঘাম যামিনী খুজে-খুজে ফিরি মণি সে বিস্মরণী! কামনার ফুলে গাধিলম মাল৷— বেদনার বন্ধনী ! এ কথা স্বীকার করতে হবে যে, তার সমস্ত আনশের স্বধারস এই বেদনার প্রাণস্পর্শ নিগুঢ় আভাসে আরও স্বন্দর হয়ে উঠেছে, কিন্তু এইটি বিস্ময়কর ও অচিন্তনীয় যে, কবি-জীবনের প্রারম্ভেই তিনি কামনার শতমী-হারে বেদনার বিস্মরণী-মণি গঁথতে চেয়েছেন । শিব-সাধনার চেয়ে শব-সাধনার নেশা তাকে অধিকতর আকুল করেছে স্বখের সোৱাদ পাইনে মোটে, দুখের নেশার যুর লেগেছে ; আলোর অংশ আর করিনে, অন্ধকারে স্বর জেগেছে। *छ-मब्रॉब्र भू५ cष शंtम-cकांशांग्र व्ञांtझ cङअन शनि ? শিবের চেয়ে শবের শোভ –শিব যে হেথায় মুচ্ছ গেছে। এই অধ্যাক্সগতীর নৈরাপ্তের ছায় ঠার প্রথম রচনার যে পড়েনি,

  • বিস্মরণ-স্ত্রমোহিতলাল মজুমদার প্রণীত। প্রবাণ-কাৰ্যালয়। মূল্য ২• টাকা ।

এ কথা বলা যায় না; কিন্তু উীর নবীন হারের স্বতঃক্ষপ্ত জানঙ্গ সেই মনোরম ছায়ার উপর অমৃতের রেখা টেনে দিয়েছিল। কিন্তু এই ভাবাতিরেকের যে অধগুস্তাবী পরিণাম, তার আভাসও তিনি তার গ্রখম রচনায় অনুভব করেছিলেন। স্বপ্নের মধ্যে বাস করলেও, স্বপ্নের পর যে নিৰ্ম্মম জাগরণ আছে, সেই আসন্ন জাগরণের আশঙ্কাও উকে নিশ্চিন্তু হতে দেয়নি।

  • ई यां★क, w३ मृब्रिश्छि cदलनाञ्च झांग्ना छैाने वर्डभान ब्रध्नांब्र श्राद्र७ ঘনিরে উঠেছে। প্রথম গ্রাটের খাম-সমারোহ, মেঘমত্ত শ্রাবণের স্নিগ্ধ-নিবিড় অন্ধকারে পরিণত হয়েছে। ‘বিস্মরণীয় কবি এখনও স্বপন-পসারী ; কবি-প্রকৃতির অনুবন্ধী কল্পন-প্রবণতাকে তিনি সম্পূর্ণ এড়াতে পারেননি। ছন্দ ও তাবার অপূৰ্ব্বতার ভিতরে এই ছন্দকুশলী ও শিল্পী-কবি কাব্য-লক্ষ্মীর যে রঙ্গীন রসরূপটি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন, তার চিরচঞ্চল প্রতিচ্ছায়, আকাশের বহুরূপী নীলিমার মত, গানের মুকুরে স্পষ্ট ও জাগ্রতরূপে প্রতিফলিত হ’লেও, উল্পে নিজের কাছে চিরদিন জনায়ত্ত ও অপরিমেয়--

গানের আড়ালে সাড়া দেয় শুধু সে অন্সর, বাহির ভুবনে এই বাহুপাশে मिश्र न शब्र। ! ইহাই বুঝি সমস্ত কল্পনাবিলাসী কবির, ভাবপ্রাণ idealist-এর অস্তরের আক্ষেপ। অন্তর ও বাহিরের, বাস্তব ও অবাস্তবের এই স্বস্ব চিরন্তন, কিন্তু এই দ্বন্দ্র তখনই প্রবল হয়ে ওঠে যখন স্বপনবিলাসী ওঁর ধ্যান-সাধনার অশরীরী বাণীকে অন্তরের পদ্মাসন থেকে বাহিরের স্থখদুঃখের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে ইচ্ছা করেন। স্বপন-পসারী হ'লেও কবি রূপের উপাসক, তিনি জীবনকে সৌন্দর্ঘ্যের চক্ষে দেখেছেন ; কারণ তিনি রূপের মধ্যেই রূপতীতের, জীবনের মধ্যেই মহাজীবনের জাভাস পেয়েছেন। তিনি শুধু নিজের মনোয়াজ্যে অপূর্ব ৭ঙ্গলোক স্বষ্টি করে,