পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@సిe প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৪ [२१* छां★, sञ ५७ এই জন্ম-মালিকার—স্বত্যু হুটী, ডোর ভালবাসা— প্রকৃতি যোগায় ফুল নারী গাখে করিয়া চয়ন— পুরুষ পরিয়া গলে, চেয়ে থাকে মুখে তার অতৃপ্ত-নয়ন। এই কবিতা ছুটয় আলোচনা একটু বিস্তৃতভাবে করা গেল, তার কারণ এই মূলভাবটি অবলম্বন করে কবির অনেকগুলি রচনা বিচিত্রভাবে ফুটে উঠেছে। "স্পর্শরসিক” কবিতার এই ভাবটিই নুতন পাত্রে নূতন ক’য়ে পরিবেশন করা হয়েছে। অন্ধের কাছে সমস্ত জগতের অনুভূতি রূপে নয় স্পর্শে, গন্ধে, শব্দে। কিন্তু শুধু স্পর্শের মধ্যে যার সমস্ত চেতন সীমাবদ্ধ এইরূপ কোন দৃষ্টিহীন স্পর্শরসিককে কল্পনা করে কৰি তার মুখে ইঞ্জিয়-চেতনায় চেতন দেহীয় স্নিগ্ধ বেদনার আভাস नििश्म-- অন্ধ আমি, গন্ধ তাই দিশে দিশে করে দিশাহার, চিরদিন মধু করে মধুর যঞ্জনাকরাঙ্গুলি ক্ষত হয়, হেরি না যে কাটার পাহার, দৃষ্টিহীনে করে সবে বৃথাই গঞ্জন। সে বেদন কণ্ঠে মোর গীত হ’য়ে বাজে, ব্যথায় বৃহৎ হ’য়ে সে ফুল বিরাজে, অশ্রুজলে জয় হয় জীবনের এ মর সাহার, প্রাণের পারিতি মোর হয় নিরঞ্জন | কৰি তার মৃত্যু-শোক কবিতার এই দেহদেবতার যে-বন্সন করেছেন তাহা বাঙ্গালা সাহিত্যে অপূৰ্ব্ব । দেহ লম্বর, কিন্তু প্রেম কেন দেহের কাঙ্গাল । প্রত্যেক দেহের একটি যে নিজস্ব গঠন আছে, ওীর মত সুন্দর জগতে আর কিছু নেই, তাই— একবার হ’লে গত, এ ছায়া-জালোকে আর গড়িবে না কায়াখানি তার মত | সেইজগুই মনের মমতা দেহেয় জন্ত পাগল । তোমারেই চিনি হে দেহু-দেবতা । &वंशंङ्ग १ङ्iङ्iझ . তুমিই রুধিছ বহুবিধ রূপে তোমারে নমস্কার। দেহে দেহে তুমি এত অভিনব। দেহের বাহিরে কোঁখ বাস তব ? হাসি ক্ৰন্দন তব উৎসব । পারিতির পারাবার। অধরে, উরসে, চরণ-সরোঞ্জে আরতি যে অনিবার। আর্টের দিক থেকে, এই দেহ-বাদ বা দুঃখ-বাদ আমাদের কবির রচনায় সোনার ফসল ফলিয়েছে । এই বেদনার প্রেরণা কবিকে বহিজগতের দিকে উদ্বুদ্ধ-ও উন্মুখ করে দিয়েছে ; অনুভূতির শক্তি dis wrote to Pre-Raphaelite of to Me &H soft আরও তীক্ষ হ’রে উঠেছে। সেইজন্ত তার ধ্যান স্বল্পময়, তার চিন্তু চিত্রময় হ’য়ে উঠেছে। To think in terms of the concrete Woło Cool 8 বর্ণের সীমানার মধ্যে ধরা, চিরচঞ্চল কল্পনার প্রতিচ্ছবি ভাষা ও ছলের পটে প্রত্যক্ষ করে তোলা,-উরি আর্টের এই বিশেষত্বটি তার পূৰ্ব্বোক্ত তাৰচিন্তার জন্মৰক্ষী। এই অপূৰ্ব্ব চিত্রাণশক্তি উর রচনার সৰ্ব্বত্র দেখা যায়, কিন্তু ইহার সবচেয়ে সুন্দর নিদর্শন পাওয়া যায়, স্টার দুইট কবিতার। "শিউলির বিয়েতে শুধু স্বভাবাঙ্কন নয়, সমস্ত কবিতাটি পড়তে পড়তে যে মধুর চিত্রটি সঙ্গীৰ হ’য়ে ফুটে ওঠে, তার পরিকল্পনার মিষ্টতা ও নিৰ্ম্মাণ-শিল্পের নৈপুণ্য দুএকটি উজ্জ্বত ছত্র থেকে বোঝা যাবে না। “দীপশিখায়" সমস্তটি কতকগুলি নিপুণ চিত্রের সমাবেশ । এইরূপ অনেকগুলি কবিতায় এই রূপরসমুদ্ধ আৰ্টিষ্ট চেষ্টা করেছেন শুদ্ধ একটা ছবি আঁকতে—সেই ছবির মধ্যে ভাবটি ধীরে ধীরে দীপ্ত হয়ে আপনি ফুটে উঠেছে। র্তার “বাধন” “মৃতপ্রিয়|” “যুযুর ডাক” “কন্তু শরৎ” ও “কালাপাহাড়” এই শ্রেণীর রচনা। এইসকল কবিতায় তার উদেষ্ঠ একটি অবস্থা, একটি mood বা একটি atmosphore-এর আলেখ্য-স্বটি । ইতিহাস-বর্ণিত কালাপাহাড়কে to won of so march of the Iconcelasto ob. ছবি আঁকতে চেষ্টা করেছেন। মানুষের জীবনে, সমাজে ও ধৰ্ম্মে স্তপাকার আবর্জনার মত, যে-সব প্রাণশক্তিরোধী অনাচার ও কুসংস্কার যাকে বেঞ্চন idol বা অসত্যের প্রতীক বিগ্রহ বলেছেন— আদি হ’তে যত বেদন জমেছে বঞ্চনাহত ব্যর্থশ্বাস সেই সমস্ত পুঞ্জীভূত অসত্য ও অপমান এই বিগ্রহধ্বংসী, কালপুরুষের মত নিৰ্ম্মম, অসত্যদেবতার চিরন্তন শত্রুর করলে দণ্ডের আঘাতে झुर्व श्'tछ योप्झ ভেঙ্গে ফেল মঠ-মন্দির-চুড়, দ্বার শিল কর নিমজ্জন! বলি-উপচার ধূপ-দীপাতি রসাতলে দাও বিসর্জন। नाई अझ१ cझछ् गुरुन, नांश् ७१बांमृ-ठरु महेि, যুগে যুগে শুধু মানুষ আছে রে । মানুষের বুকে রক্ত চাই। যা ভঙ্গুর তা’ ঝটিকার মুখে ভেঙে যাচ্ছে, কিন্তু এই প্রলয়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অপূৰ্ব্ব ধ্বংসলীলার মধ্যে নব হষ্টির আয়োজনও রয়েছে। ব্রাহ্মণ-যুব যবনে মিলেছে, পবন মিলেছে বহি সাথে । এ কোন বিঘাত বজ্র ধরেছে নবহুষ্টির প্রলয়-রাতে। মরুর মৰ্ম্ম বিদারি যহিছে স্বধীর উৎস পিপাসা-হর । কল্পোলে তার বস্তার রোল। কুল ভেঙ্গে বুঝি ভাসায় ধরা। ওরে ভয় নাই। মুকুটে তাহার নবারণ ছট, ময়ুখ-হার । কাল নিশিখিনী লুকায় বসলে । সবে দিল তাই নাম তাহার কলাপাহাড়। Rfечан stavi Iva imaginative interpretation-a: চেষ্ট উর নূরজাহান ও জাহাঙ্গীর কবিত্তাতেও দেখা যায়। পূৰ্ব্বে যা বলা হয়েছে তা থেকে বোঝা যাবে যে, কবির মনের মধ্যে যে objectivity বা বস্তুপ্রাণত রয়েছে, তাতে উার স্বভাবসিদ্ধ কল্পনাপ্রবণতার এক অভিনব পরিণতি ঘটেছে। একদিকে কেবলমাত্র ভাবোন্মাদন, আঞ্চদিকে কেবলমাত্র বস্তুমোহ... এই বাস্তব কল্পনার বিবাদ উত্তীর্ণ হয়ে উার আর্ট একটি সরল ও সুস্থ ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাব্যলক্ষ্মী তার চক্ষে কল্পনার দিব্যঞ্জন মাখিয়ে দিয়েছেন সত্য, কিন্তু দেহ বাস্তবের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ সংযোগ ওঁকে অপূৰ্ব্ব শিল্পী ক'রে তুলেছে। কবির স্বভাব-ধৰ্মকে তিনি খাটো করেননি, কিন্তু সেইসঙ্গে শিল্পীর সংযমকেও তিনি বরণ ক’রে নিয়েছেন। সেইজন্স, মুখ্যতঃ কাঠামোট lyric হ’লেও, ঠার wful wool narrative at dramatic as for so I স্বতরাং “নুরজাহান ও জাহাঙ্গীয়” “মৃত্যুও নচিকেতা" প্রভৃতি কবিতার তিনি অসামান্ত সিদ্ধিলাত করেছেন। খুব উচু কখ, খুব স্বল্প ৰিচায়,