পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা] বিবিধ প্রসঙ্গ—রবীন্দ্রনাথের ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ যাত্রা 8& 3 শ্ৰীনিকেতনে শিক্ষানবিশ গ্রহণ বিশ্বভারতীর অন্তর্গত শ্ৰীনিকেতনে উন্নতপ্রণালীর কৃষি, পল্লীগ্রামের স্বাস্থ্যরক্ষণ ও স্বাস্থ্যোন্নতি, হাতের তাতে ধুতি সাড়ী তোয়ালে সতয়ঞ্চ আসন বোন, ভেড়ার লোম হইতে কম্বল বোন, রঙে কাপড় ছোপান, বৃন্দাবনী জয়পুরী প্রভৃতি ধরণে কাপড় চিত্রিত করা, চামড়া কষ করা, ডিমের ব্যবসা, প্রভৃতি শিক্ষা দেওয়া হয়। এই সকল কাজের শিক্ষানবিশ লওয়া হয়। বিশেষ বৃত্তাস্তু ঐনিকেতনের প্রযুক্ত সন্তোষবিহারী বন্ধকে বীরভূম জেলার স্বরুল ডাকঘরের ঠিকানায় চিঠি লিখিলে পাওয়া যাইবে । রবীন্দ্রনাথের ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ যাত্রা কিছুদিন পূৰ্ব্বে বঙ্গের ও ভারতবর্ষের অন্যান্ত প্রদেশের অনেক কাগজে এই সংবাদ বাহির হয়, যে, ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডচগবন্মেণ্ট জাভা দ্বীপে আগমন করিতে নিমন্ত্রণ করিয়াছেন এবং তিনি সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথের মত লোককে ডচ, গবন্মেণ্টের নিমন্ত্রণ করা কিছুই আশ্চর্য্যের বিবন্ধু নহে। কিস্ত ডচ. জাতি শাসকশোবক সাম্রাজ্যাধিপতি জাতি এবং জাভাতে গতবৎসর বিক্ৰোহ ও হুইয়। গিয়াছে। তাঁহাদের আদর্শের সহিত রবীন্দ্রনাথের বিশ্বজনীন মানবিক আদশের কোন মিল নাই। এইজন্য এ বিষয়ে ঠিক খবর জানিবার নিমিত্ত আমরা রবীন্দ্রনাথকে শিলঙে চিঠি লিখি । জানিতে পারি, যে, ডচ, গবন মেন্টের নিমন্ত্রণ ও তাহার তাহা গ্রহণের সংবাদ মিথ্যা। প্রকৃত সংবাদ যাহা তাহ আমরা মডান রিভিউ কাগজে ছাপিয়াছি। কিন্তু আমরা যত দূর জানি, র্যাহারা আগে ভুল সংবাদ ছাপিয়াছিলেন, প্তাহার কেহই ভ্রম সংশোধন করেন নাই। একমাত্র ঢাকার ঈষ্ট বেঙ্গল টাইম্স্ মডান রিভিউয়ে মুক্ৰিড ঠিক খবর ছাপিয়াছেন। প্রকৃত সংবাদ নীচে জিতেছি । बजौ दौc१ श्लूिगङाङ थाप्नाळ्नांब्र थछ cकांन नरङ्कउस्त्र भ७ि७एक उषांग्न गदेब्र पाइँबाच्न चडियाम्न ब्रदौवनाष चानक निन श्रेष्ठ ८नाद१कबिच्चा चांगिद्वज्रह्म। সেখান হইতে ভারতীর ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহ ও সে সম্বন্ধে তথায় গবেষণার স্থায়ী ব্যবস্থা করিবারও তাহার ইচ্ছ। আছে। তিনি নিজে বোধ হয় সেখানে অল্প দিনই থাকিবেন ; সম্ভব হইলে কোনও উপযুক্ত ব্যক্তিকে ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের জন্য রাখিয়া দিয়া আসিবেন। কাজটিকে তিনি গুরুতর প্রয়োজনীয় মনে করেন। জাভা গবন্‌মেণ্ট তাহাকে নিমন্ত্রণ করেন নাই। সেখান হইতে ৰtহারা এই বিষয়ে উৎসাহ দেখাইতেছেন, তাহারা পুরাতত্ত্ববিৎ ; আমাদের দেশের পণ্ডিতের সহযোগিতা পাইলে তাহাদের সন্ধান কার্ষ্যের স্ববিধ হইতে পারিবে । রবীন্দ্রনাথ যভই ভিন্ন ভিন্ন দেশ দেখিবেন, তাহাতে ংলা দেশের এবং জগতের সাহিত্যিক ও আধ্যাত্মিক লাভ হইবে। এইজন্য, তাহার বিদেশ ভ্রমণের অন্ত কোন উদ্বেগু না থাকিলেও, তাহা বাঞ্ছনীয়। বলী দ্বীপের হিন্দুসভ্যতা আলোচনা, তথা হইতে ভারতীয় ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহ ও তথায় সে সম্বন্ধেগবেষণার স্থায়ী ব্যবস্থা করা উপযুক্ত কৰ্ম্মী সংগ্রহের উপর নির্ভর করিবে । যাহাদের এবিষয়ে অমুরাগ, বিদ্যাবস্ত, কাৰ্য্যতৎপরতা এবং ঐতিহাসিক প্রমাণ বিচার করিবার শক্তি আছে, এরূপ লোক অপ্রাপ্য ন হইলেও খুব সহজে প্রাপ্য নহে। আশা করি, রবীন্দ্রনাথ এইরূপ অন্ততঃ দুইএক জন লোকও পাইয়াছেন। তিনি যে নিজে বেশীদিন বাহিরে থাকিবেন না, ইহাও ভাল খবর । কারণ, বিশ্বভারতীর বিধিব্যবস্থা প্রস্তুত হইয়া থাকিলেও, আমাদের দেশের অঙ্ক অনেক কাজের মত ইহারও সাফল্য এখনও ইহার প্রতিষ্ঠাতার মনোযোগ এবং কৰ্ম্মক্ষেত্রে উপস্থিতির উপর নির্ভর করে। তিনি ইহার প্রাণ, এবং তাহাতে কশ্মিষ্ঠত, বিদ্যাবৃত্তা, মনস্বিত, কবিপ্রতিভ, সাত্বিকতা ও মানবপ্রেমের একত্র সমাবেশ বশত: তিনি ইহার সকল কাৰ্য্য ও চেষ্টার ঐক্য ও সামঞ্জস্য বিধান করিতে সমর্থ। অধিকন্তু আমরা জানি, ইহার অধ্যাপক ও ছাত্রেরা তাহার সান্নিধ্যের আনন্দ ও উপকার হইতে দীর্ঘকাল বঞ্চিত থাকিতে চান না।