পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Hද්‍රි সংখ্যা ] বালিকা ও যুবতীদের ক্ৰন্দন ও দীর্ঘনিঃশ্বাস বাতাসে মিলাইয়া যাইতেছে। বঙ্গের অধিকাংশ পুরুষ বধির, বা শুনিয়াও শুনিতেছে না। অন্তঃপুরিকদের নিকট খবর পৌছাই কঠিন, পৌঁছিলেই বা পিঞ্জরের পার্থী র্তাহার। কি করিবেন ? শিক্ষিতা ও কতকটা অবরোধমুক্ত নারীর সংখ্যা বেশী নয়, এবং উtহার এখনও অধিকাংশ স্থলে শিক্ষিত পুরুষদের উপহাসবিদ্রুপের পাত্র। কেহ কেহ আবার নিজেদের আরাম ফ্যাশন প্রভৃতি লইয়া ব্যস্ত । এই নৈরাপ্তজনক অবস্থার মধ্যেও অল্পসংখ্যক ন্যায়বান সহৃদয় সাহসী লোকের অত্যাচার দমন চেষ্টা দ্বারা উৎসাহিত হইয়। নারীহিতৈষীদিগকে কাজ করিতে হইবে। সকল গ্রামে নারীরক্ষাসমিতি স্থাপিত হওয়া উচিত । “পাগল হরনাথ” “পাগল হরনাথ” বা “ঠাকুর হরনাথ” নামে পরিচিত স্বৰ্গীয় হরনাথ ষন্দ্যোপাধ্যায় বাকুড়া জেলার সোনামুখী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বোম্বাইয়ের “হরনাথ সমিতি” "পাগল হাখ' و ہنس2b) বিবিধ প্রসঙ্গ—সুভাষচন্দ্র ও উইণ্টার্টন 8@○ তাহার সম্বন্ধে যে ইংরেজী কাগজ পত্র পাঠাইয়াছেন, তদনুসারে তাহার জন্মের তারিখ ১৮৬৫ সালের ৩রা জুলাই। “বাঁকুড়াদর্পণ “সময়’ হইতে র্তাহার বে সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত উদ্ধৃত করিয়াছেন, তাহাতে তারিখ ১৮৭৯ সালের ১৮ই আবাঢ় লিখিত হইয়াছে। "সময়” বলেন :– ১৮৮৪ খৃঃ অন্ধে ইনি বাঁকুড় জিলার কুচিয়াকোল ইনষ্টিটিউসন হইতে এন্‌ষ্টান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েন এবং ১৮৮৭ খৃঃ জন্ধে বৰ্দ্ধমান রাজ কলেজ হইতে তদানীন্তন ফাষ্ট আর্টস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েন । ইহার পর তিনি কলিকাত মেট্রোপলিটন ইনষ্টিটিউশনে বি-এ পড়েন। কিন্তু ধর্মের দিকে তাহার চিত্ত এরূপ আকৃষ্ট হইয়াছিল, যে, লেখাপড় আর ভাল লাগিতেছিল না। ফলে তিনবার বি-এ পরীক্ষা দিয়াও তিনি কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই । অতঃপর তিনি বাঁকুড়া জিলার কোনও একটি স্কুলে ৬ মাসের জন্য শিক্ষকতা করেন। তৎপরে ১৯•৩ খৃষ্টাব্দে কাশ্মীর ষ্টেটে কৰ্ম্ম প্রাপ্ত হইয়৷ কাশ্মীর গমন করেন। এই কাশ্মীর হইতেই উহার ধৰ্ম্মজীবনের বিকাশ হয় ও তিনি সাধারণে পরিচিত হন। বহু ভক্ত র্তাহার নিকট উপদেশ গ্রহণ করিতেন। ক্রমে ভক্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পাইলে উহার আশ্রম স্থাপনের অবস্তকতা হয়। কলিকাতা, বোম্বাই, পুী প্রভৃতি স্থানে তাহtয় আশ্রম আছে। ইহার বাঙালী, গুজরাতী, মাম্রাজী, বিহারী ও হিন্দুস্থানী ভক্তেরা সৰ্ব্বসাধারণের জন্ত ইহার সম্বন্ধে অলৌকিকঘটনাবর্জিত বহি লিখিলে ভাল হয় । সুভাষচন্দ্র ও উইণ্টার্টন বিলাতী পালে মেণ্টে সহকারী ভারতসচিব লর্ড উইন্টার্টনের মুখ দিয়া বিনাবিচারে বন্ধীকৃত বাঙালীদের সম্বন্ধে অনেক বহুবার কথিত মিথ্যাকথা নিঃস্থত হইয়াছে। উইন্টারটন জানিয়া শুনিয়া মিথ্যাকথা বলিতে অসমর্থ সাধু পুরুষ কিন, তাহ আমরা জানি না। কিন্তু ইহ অসম্ভব নহে, যে, ভারতবর্ষের সবৃকারী অফিস-বিশেব হইতে র্তাহার কাছে যে-সব মিথ্যা কথা প্রেরিত হয়, তাহাই তিনি বাইবেলবাক্যের মত বিশ্বাস করিয়া আবৃত্তি : করেন। উইন্টারটন বলিয়াছেন, "এই সব বন্ধীদের । অপরাধ সম্পূর্ণরূপে । আপ টু দি হিন্ট ) প্রমাণিত হইয়া গিয়াছে।” ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এই সব রাজবন্দীদের বিরুদ্ধে কণামাত্র প্রমাণও কখনও কোন আদালত বা বিচারকের সম্মুখে স্থাপিত হওয়া দূরে থাকৃ, বন্দীদের নিকটও উপস্থিত করা হয় নাই। উইণ্টাৰ্বটন বলেন, অন্য বশীদিগকে একজন, স্বভাষ বস্থকে দুইজন জজের নিকট উপস্থিত করা হইয়াছিল। ইহাও সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা । সহকারী ভারতসচিব বলেন, “এই সব লোকের বিচার প্রকাশু আদালতে এই জন্ত করা হয় না, যে, তাহ। .