পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পরভৃতিক 8ፃፃ नभ cम८१३ cवादः। याप्ष्ह ।। ७। श्'cण थांब भी भद्भुउद्दे ধাত্রীর হাতে ফেলে সবাই স’রে পড়ত না। ভাবলে আমার কি যে রাগ হয় মামীম, কি বলব! মা বাপই না হয় ছিল না, তাদের তিনকুলেও কি কেউ ছিল না ? এমন ক’রে বিলিয়ে দিতে তাদের মনে একটু বাধল না। মালীম যদি আমায় না নিতেন,তাহ’লে তারা হয়ত আমাকে নর্দমাতেই ফেলে দিত। কে জানে, হয়ত বা কখনও দেশ বিদেশে ঘুরতে ঘুরতে আমার কোনো গুণবান আত্নীয়ের সন্ধান মিলে যাবে। যদি চিনি, তাহ’লে তাদের যা শোনান শোনাব তা আমি মনে মনেই ঠিক ক’রে . রেখেছি। মনে করেছি বিলাত হ’য়ে এসে ভাল কাজকৰ্ম্ম যদি কিছু পাই, টাকাকড়ি কিছু করতে পারি, তাহ’লে র্তাদের সন্ধানে খবরের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন দেব । বাঙালী ঘরের আত্মীয় ত, টাকার গন্ধ পেলে ঠিক এসে জুট বে।” লাবণ্য বলিল, “তা আশ্চৰ্য্য নয়। আচ্ছা, এখন উঠি। ছবিথান তুলে রাখ তা না হ’লে বাচ্চারা দেখলে এখনি টানাটানি ক’রে নষ্ট করবে।” গৃহিণী বলিলেন,"র্দiড়াও মা, একলা যেও না । ভজুয়া তোমাকে আলো নিয়ে পৌছে দিয়ে আস্থক। পাড়াটা ভাগ না, রাত-বিরাতে মেয়েদের একলা পথে ঘাটে না চলাই ভাল |’ লাবণ্য চলিয়া গেল, গৃহিণীও কাজে গেলেন। ঘরের জানুলা-দরজাগুলি বেশ ভাল করিয়া খুলিয়া দিয়া কৃষ্ণ আসিয়া নিজের বিছানায় বসিল । এতক্ষণ নিজের অতীত জীবনের গল্প করিয়া, এখন সেইসকল স্মৃতিচিত্রই একটার পর একট। তাহার মনে ভাসিয়া উঠিতে লাগিল । অতি শৈশবের কথা তাহার কিছুই মনে পড়ে না। বাল্যকালের স্থতি তাহার এই গিরিধির সঙ্গেই জড়িত। এখানের পথে ঘাটে মাঠে খেলা করিয়াই সে মাচুৰ্য হইয়াছে। তাহার মাগীমাকে বিশেয কাজকৰ্ম্ম করিতে লে দেখে নাই, কালেভত্রে নিতান্ত টানাটানি করিলে তিনি একট-আধটা ‘কলে’ যাইতেন। অথচ তাহাজের দিন বেশ স্বচ্ছলভাবেই কাটিত । বাড়ীট। অবশু তাহার নিজের ছিল, কিন্তু জঙ্কান্ত দিকেও বিশেষ ব্যয়সঙ্কোচ প্রকাশ পাইত না । কোথা হইতে টাকা আসিত সে খবর জানিতে পাড়া প্রতিবেশী সকলেরই কৌতুহল ছিল, কিন্তু কেহই বোধ হয় সেটা জানিয়া উঠিতে পারে নাই । মিসেস মিত্র নিজে খ্ৰীষ্টান ছিলেন । কৃষ্ণাকেও তিনি সেই সমাজের মতে গড়িয়া তুলিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহার নিজের শিক্ষা-দীক্ষা বিশেষ ছিল না। সামান্ত রকম বাংলা লেখাপড় শিখিয়া তাহার অল্পবয়সেই বিবাহ হইয়া যায়। স্বামীর সহিত খুব যে তিনি মুখে ঘর করিয়াছিলেন, তাহা তাহার কথাবাৰ্ত্ত হইতে মনে হইত না । একরকম রাগারগি করিয়াই তাহারা পৃথক হইয়া যান। মিসেস মিত্রকে তাহার বাপের বাড়ীর সকলে জোগাড় করিয়া ধাত্রীবিদ্যা পড়িতে পাঠাইয়া দেন। পাশ করিবার পর তিনি নাকি আর একবার স্বামীর ঘর করিবার ইচ্ছ। প্রকাশ করেন । কিন্তু খোজ করিয়া জানা যায় যে, স্বামীটি ইতিমধ্যেই একটি গান্ধৰ্ব্ব বিবাহ করিয়া মুখে স্বচ্ছন্দে ঘর-করন করিতেছেন। ইহার পর আর তিনি কখনও স্বামীর খোজ করেন নাই। কলিকাতায় তাহার প্র্যাক্টশ ভালই ছিল, পয়সার জন্ত কোনোদিন তাহাকে ঠেকিতে হয় নাই । কৃষ্ণ যখন তাহার নিঃসঙ্গ জীবনে আসিয়া জুটিল, তখন র্তাহার প্রৌঢ়াবস্থা। কাজকৰ্ম্ম হইতে অবসর লইয়া, তিনি গিরিধিতে৯আসিয়া বাস করিতে আরম্ভ করেন। কৃষ্ণাকে অতি যত্বেই তিনি পালন করিয়াছিলেন। মাতার স্নেহ হয়ত তাহার কঠোর স্বভাবে ছিলই না, কাজেই সে দিক দিয়। এই নিজ-নীড়চু্যত শাবকটি কিছু বঞ্চিতাই হইয়। থাকিবে । কিন্তু তাহার আদর-যত্ন, পড়াশোনা, কোনো কিছুরই ক্রট হয় নাই। অবস্থার অতিরিক্ত ব্যয়ই ইহার জন্য তিনি করিতেন। নিজে ভাল লেখাপড়া শেখেন নাই এ দুঃখ তাহার থাকিরাই গিয়াছিল। কৃষ্ণকে তিনি কলিকাতার খুব ভাল মেমের স্কুলে দিয়াছিলেন, যাহাতে তাহার খুব ভাল শিক্ষা হয়। শিক্ষা বলিতে অবশু তিনি মেমসাহেবীই বুঝিতেন । তাহার নাম, তাহার চাল-চলন, সব যাহাতে নিখুং ফিরিঙ্গী ভাবের হয়, সেদিকে তাহাঙ্ক তীয় দৃষ্টি ছিল । কিন্তু মেণের সঙ্গে সৰ্ব্বদ। তিনি আঁটির फे*ि८ङ भांब्रिाउन न । cण शकिच्चा थांकिब्र भूषम वैiकिब्रt