পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b文 প্রবাসী—শ্রাবণ, ১se৪ [ २१* छांभ, sग ९७ জিজ্ঞাসা করিল, “দিদিমণি, তুমি চলে যাচ্ছ ? এবারে জামায় খেলনা দিয়ে গেলে না ?” কৃষ্ণ বলিল, “এবার তোর জন্যে মুন্ধর লিঙ্কের ফ্রক তৈরি করছি। দেখি এখন কাল।” বেলা উৎসুক হইয়া বলিল, “না, এখনি দেখব।” কৃষ্ণ বলিল, “এখন ত এখানে নেই। সেটা লাবণ্য দিদির কাছে আছে, সে শেলাই কবৃছে। কাল শেলাই হ’য়ে গেলে নিয়ে আস্ব।” রাজি হইয়া আসিল । খাওয়া-দাওয়া সারিয়া জিনিষপত্র বেশীর ভাগ গোছাইয়া, কৃষ্ণ আজ কিছু সকাল সকালই শুইয়া পড়িল। ধোপা তাহার শাড়ী ন দেওয়াতে মনটা তাহার একটু বিরক্ত হইয়াই রহিল। সারা রাত প্রায় স্বপ্ন দেখিল যে, হারানিধির অন্বেষণে সে গিরিধিময় ছুটাছুটি করিয়া ফিরিতেছে। পরদিন ভোর হইতে ন হইতেই পঞ্চুদের বাড়ীর চাকর খবর দিয়া গেল যে, কালই গাড়ী রিসার্ভ পাওয়া গিয়াছে, সুতরাং তাহাদের যাত্র স্থির। কৃষ্ণার মহা তাড়াতাড়ি লাগিয়া গেল। চাকরকে আবার ধোপার বাড়ী পাঠাইয়া সে ছুটিল লাবণ্যদের বাড়ী শেলাই শেব করিতে। সারাদিন দুই বন্ধু অবশ্রাম খাটিয়া ফ্রকগুলি শেষ করিয়া ফেলিল। বিকাল হইয়া আসিল দেখিয়া লাবণ্য বলিল, “আর এখন বাড়ী গিয়ে কি কবি ? মুখ হাত এখানেই ধুয়ে নে, কাপড় ছাড়তে চাস তাও দিচ্ছি। একেবারে রাত্রে থেয়ে দেয়ে যাস। আমাদের বাড়ী খেতে বেশী দেরি হয় না, সব বাচ্চ-কাচ্চার দল, ন’টার মধ্যেই খাওয়া চুকতে হয় ।” চুল বাধিয়া, মুগ্ধ হাত ধুইয়া দুই সখীতে বাড়ীর সামনেই একটু বেড়াইতে চলিল। লাবণ্য বলিল, “লীলার ফ্রকটাই বেশী ভাল হয়েছে, তবে মেয়েকে কেমন মানাবে বলতে পারি না। বুরংটা শুiমবর্ণে সব সময় মানায় না।” কৃষ্ণ বলিল, “কেন, লীলা এমন কিছু ত কাল নয়, একরকম মানিয়ে যাবে এখন। কিই বা করি বল । এখানে ত আর ইচ্ছামত জিনিষ সব সময় পাওয়া যায় না । খোকাকে খেলনা কিনে দিলাম, আট দশ টাক{ খরচ করে, তাও কিছু পছন্দ মত জিনিষ হ’ল না।” খাওয়ার ডাক পড়ায় তাহার। ভিতরে চলিল। ফিরিতে রাত হইয়া গেল, কাজেই আসিয়া শুইয়া পড়া ছাড়া কৃষ্ণার আর কিছু করিবার রহিল না। বিদায়ের সময় বাড়ীর সকলের মুখ গম্ভীর হইয়া আসিগ। লীলা, বেগ, দিদিমণির দেওয়া নূতন সিন্ধে । ফ্রক পরিয়ী তাহার সহিত ষ্টেশনে যাইতেছিল, কাজেই তাহদের মুখে তথনও হাসি। কৃষ্ণ অনাত্মীয়া হইলেও, এবাড়ীতে আত্মীয়ার ব্যবহার পাইত এবং করিতও । তাহারও মনট। এই শিশুগুলিকে ছাড়িয়া যাইতে একটু কাতর হইয়া উঠিল। কিন্তু জগতে কিছুরই প্রতি মমতা করিয়া লাভ কি তাহার ? সে ছোট থোকাকে কোলে লইয়া, চুমী খাইয়া গাড়ীতে উঠিয়া পড়িল । গৃহিণী চক্ষু মুছিতে মুছিতে বলিলেন, "এবার গিয়েই একটা তার ক’রে দিও ম। সেবার তোমার চিঠি আসতে ছ’ সাত দিন দেরি হ’ল, আমি ত ভাবনায় মরি। মেয়ে ছেলে হাজার শক্ত সমর্থ হ’লেও তাদের পথে ছেড়ে দিয়ে প্রাণে স্বস্তি থাকে না ।” ট্রেন ছাড়িতে একটু দেরি আছে দেখা গেল। কৃষ্ণ সে সময়টুকু লীলা, বেলাকে লইয়া প্ল্যাটফর্শ্বে ঘুরিয়ঃ বেড়াইল। যখন গাড়ীতে উঠিতে যাইতেছে, তখন লীলt. তাহার হাত চাপিয়া ধরিয়া বলিল, “জান দিদিমণি, মী বলেছেন, এর পরের বছর থেকে আমিও তোমার সঙ্গে কলকাত যাব আর আসব। আমিও স্কুলে ভর্তি হক कि न ?” কৃষ্ণ, বলিল, “পরের বছর আমি হয়ত বিলেত চ’লে যাব, কি ক’রে তুমি যাবে আসবে আমার সঙ্গে " লীলা বলিল, “ই, তুমি বিলেত যাবে কেন । সেখানে ত কেবল মেমরা যায় ।” কৃষ্ণ বলিল, “আমিও ত মেম ? দেখিস না, লাবণ্যদিরা আমায় মেম সাহেব বলে ডাকে ?" বেলা ৰাকড় চুল শুদ্ধ মাথাটা দোলাইয়া বলিল, “ন, তুমি কক্ষনে মেম না। তুমি ত শাড়ী পর। মেমরs