পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ঘরে ও বাইরে Ga\ව শ্রমিকদের দুঃখ, দুর্ভিক্ষের কান্না, ইত্যাদি ত নিত্য লেগে আছে। এগুলির উচ্ছেদসাধনই আমাদের উদ্দেশু। এবছর সব গোড়াগুলো বেঁধে নি, তারপর আসছে বছর থেকে আসল কাজ হবে।” মেয়েটি হাসিয়া বলিল, “শ্রমিক সভার অধিবেশনের সময় দুর্ভিক্ষপীড়িতেরা যদি কাদে তবে কি আপনার তাদের সাহায্য করবেন না ?” প্রভঞ্জন বলিল, “নিশ্চয়ই না । প্রত্যেক ছোট দুঃখের কান্নায় যদি কঁদি তবে বড় দুঃখ মোচন করতে কখনও পারব না।” সরমা বলিল, “কালইত তোমার সভার দিন পড়ছে। দরিদ্র বন্ধুসভার দিন ত আবার চাদ সংগ্রহ আছে । তা’ বাজে তর্ক না করে চাদার পরিমাণটা ঠিক করে নেওয়া যাক এস ; যাতে কাল সবাই শূন্তস্থাতে না আসে।” নীরদ বলিল, “এক টাকার কম চাদা নেই ; তারপর বেশী যে যা পারে দেবে ।” সরমা তাহার সুন্দর হাত ঘুরাইয়া বলিল, “আমি পচিশ টাকা দেব, যদি আপনার সব জড়িয়ে একশ’ তুলে দিতে পারেন ।” ছোট মেয়েটি টিল্পনি কাটিয়া বলিল, “উদ্বোধনে অত টাকা এখন কি হ’বে ?” রাজীব বলিল, “আমাদের স্থায়ী ফণ্ডে জমা থাকৃবে । আপনি কত দেবেন ?” মেয়েটি হাসিয়া বলিল, “আপনি যত দেবেন তত।” তাহার খোপা হইতে একট। ফুল খসিয়া পড়িল। রাজীব তুলিয়া পকেটের ভিতর রাখিল । তাহার বুক ঠেলিয়া একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস উঠিল। কিন্তু সে কিছু বলিল না। সভা ভাঙিতে সন্ধ্য হইয়া গেল। যাইবার সময় ছোট মেয়েটি বলিল, “রাজীব-বাৰু, আসছে-সভায় সব লেখার চেয়ে আপনার গানটা কিন্তু সুন্দর হওয়া চাই ।” রাজীব একটু স্নান হাসি হাসিল। 骼 骼 鬱 রাজীব যখন ঘরে ফিরিল, তখন সন্ধ্যা-প্রদীপ জলিয়াছে। উঠানে পা দিয়াই দেখিল ম রান্নাঘরে ভাতের হাড়িটা তাকে তুলিয়া রাখিতেছেন। তাছাকে দেখিয়৷ মা বলিলেন, “ওম, রাজীব এতক্ষণে এলি ? আমি বলি, আজ বুঝি তুই আর বাড়ীতে খেলি না। তাই এই শেষ বেলায় হাড়িটা তুলে রাখছিলাম।” রাজীব বলিল, “ওম, আমার ত দুপুরে নেমম্বর ছিল, তা তুমি জানতে না ?” মা একটু রাগ করিয়াই বলিলেন,“কই বাছা, আমাকে আর তুমি বললে কোথায় ? আমি আরো আজ ভাইফোটা ব’লে চার আনা দিয়ে ভাল মাছট আল্লাম ; তা তুমি এগারটায় এলে, যেই আমি মাছটা নামালাম অমূনি হট হট করে বেরিয়ে চলে গেলে। মিথ্যে আমি সারাট দিন হাড়ি কোলে ক'রে বসে রইলুম ; বিকেলটায় একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলুম, উঠে দেখি স্বষ্যি ডুবেগেছে, আজ আর ভাত খাওয়া হ’ল না।” রাজীবের মনে কিসের একটা খোচা লাগিল। সে চৰ্ব্ব চোষা গিলিয়া আসিল, আর তাহার মা আজি অনাহারেই রহিয়া গেলেন। কিন্তু আবার পূর্ণিমার উপর রাগ হইল। সে ত নিমন্ত্রণের কথা দুপুরে শুনিয়াছিল ; রায় না হয় হইয়া গিয়াছিল, তবু মাকে খবরটা ত দেওয়া যাইত। রাজীব বলিল, “পূৰ্ণিকে ত আমি ব’লে গিয়েছিলুম। তার কি একটু ঘটে বুদ্ধি ক’রে বলা উচিত ছিল না ?” ম৷ বলিলেন, “তুই তার থাবার খাস্নি ব’লে সে 引梵 ক’রে আজ কারুর সঙ্গে কথাই কইলে না। এই দৰেn উঠে দেখি তারও ভাত খাওয়া হয় নি।” রাজীব লজ্জিত ভাবে বলিল, “তুমি গোট কয়েক মিষ্টি দিয়ে জল খাওনা একটু।” মা বলিলেন, “খোকা সেই ছ’থালা শুদ্ধই এঠে ক’রে দিয়েছে।” রাজীব বলিল, “বাজার থেকে কিছু আনিয়ে নিলে श्छ नां ?” মা বলিলেন, “এই এত পয়সার মাছ তরকারি মিষ্টি একদিনে খরচ হ’য়ে গেল, আবার আজ পয়সা খরচ यद्ब আমার জন্তে । সিকে ছুটে পাটালি গুড় তোলা আছে, ভাইতেই হ’বে এখন।” ब्रांछौब भष्न भएन डांविन, नाश्रिङा क्झर्छब्रग एडे