পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য{ ] রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে রেভারেণ্ড টম্সনের বহি Q>Q ইহারা বাঙালী, বাংলা ভাষাটা জানেন, বাংলাসাহিত্যকে আত্মীয়ের মতো বোঝেন, আপন আপন প্রকৃতি অনুসারে কবির কাব্যকে ইহার কোনো-না-কোনো দিক হইতে উপলব্ধি করিয়াছেন ; সে উপলব্ধির মূল্য আছে। এই প্রত্যক্ষ উপলব্ধির মধ্যে আত্মবিশ্বাসের নিঃসংশয়তা অন্যায় নহে । তা ছাড়া ইহার মধ্যে যদি ঐকদেশিকত, থাকে তবে অন্য পাঠকদের উপলব্ধিগত বিচারের দ্বারা তাহার পূর্ণ ও সংশোধন খটে । সকল দেশের সাহিত্যেই এইরূপ ক্রিয়া চলিতেছে। কিন্তু যে মানুষ বাংলা অত্যন্ত অসম্পূর্ণভাবে জানেন এবং বাঙালীর আস্তরিক জীবনযাত্রা যাহার পক্ষে কেবলমাত্র যে অন্ধকার তাহা নহে, যাহা তাহার সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সংস্কারের দ্বারা বিকৃতভাবে দৃপ্তমান—তিনি যদি নানা তথ্য ও মতের উদ্ধবৃত্তির যোগে কোনো বাঙালী কবির একটা মূৰ্ত্তি ও বাংলাকাব্যের একটা চিত্র অসংশয় আত্মবিশ্বাসের সহিত রচনা করিতে চেষ্টা করেন, তবে তাহাতে একটা বিস্তৃত ব্যাপার না ঘটিয়া থাকিতে পারে না। কবির কাব্য ও র্তাহার জীবনের সমস্ত কাজের উপর তিনি ক্রমাগতই কেবল খাবল মারিয়াছেন । নারিকেলের রস ও শাস কোথায় আছে তাহার সমগ্র ধারণা যাহার নাই, সে উক্ত ফন্স টাকে মেমন অদ্ভুত অনভিজ্ঞতার সহিত কখনো কামড় দিয়া, কখনো মুঠ দিয়া খাবল মারিতে থাকে এও তেমনি । নিজের অক্ষমতার অত্যাচার সে নারিকেলের উপর প্রয়োগ করে । অন্যত্র এই অপরাধের দায়িত্ব তেমন অমার্জনীয় ৷ হইতেও পারিত –কিন্তু যে সভায় অম্লান্ত ভোগার্থী অতিথিদের নারিকেল সম্বন্ধে ধায়ণ আরো অসম্পূর্ণ, সেখানে এই ফলের রসতত্ত্ব বিচারে নিজেকে গুরু বলিয়া প্রচার করা ন্যায়সঙ্গত নয় । কিন্তু কোনো কবির প্রতি নম্রতায় সহিত ন্যায়াচরণ করিবার ইচ্ছাও সেই ক্ষেত্রে অনেকের মনে অলস হুইয়া উঠে যেখানে বিচারের অযোগ্যতা ধরা পড়িবার আশঙ্কা অল্প । এই গ্রন্থ ছাপা হইবার পরে জামাদের কোনো ইংরেজ বন্ধু আমাদিগকে পত্রে লিখিয়াছিলেন যে, এই বই কয়েক পাত। পাঠ করিয়া ইহা শেষ পৰ্য্যস্ত পড়। তাছার পক্ষে একেবারে দুঃসহ হইয়াছিল । তাহার কারণ, এই গ্রন্থে লেখকের যে স্পৰ্দ্ধিত আত্মাভিমান প্রকাশ পাইয়াছে র্তাহার যোগ্যতার সহিত তাহার কিছুমাত্র সঙ্গতি নাই । টমসন তাহার ৩২৫ পৃষ্ঠা বোঝাই করিয়া যে সব ভুল সংবাদ ও ভুল তর্জমা জমা করিয়াছেন, যদি প্রশস্ত স্থান ও দীর্ঘ সময় পাওয়া যায়,তবে তাহার পরিচয় দেওয়া যাইবে । GHs, to err is human, azt বিদেশী সাহিত্য ও কবি সম্বন্ধে তথ্যের ভুল করা গুরুতর অপরাধ নয়। বিস্তু যেখানে তাহার চিরাভ্যস্ত ইস্কুলমাষ্টারের চৌকিতে বসিয়া আন্দাজের উপর সম্পূর্ণ জোর দিয়া তিনি বাঙালী কবির প্রতি যুয়োপীয় লেখকদের প্রভাব কল্পনা করিয়াছেন সেখানে ধৈর্য্য রক্ষা করা কঠিন । “রাজা ও রাণী”র মধ্যে তিনি ইব সনের Dolls Houseল্প আঁচ পাইয়াছেন। তিনি কি হিসাব করিয়া দেখিয়াছেন যে, ইংলণ্ড ইবসনকে যে চিনিয়াছে সে বেশি দিনের কথা নয়। রবীন্দ্রনাথ যখন “রাজা ও রাণী” লিখিয়াছিলেন তখন কয়জন ইংরেজ ইবসন পড়িয়াছিলেন ! হয় তো ভুল বলিতেছি, হয়তো অনেকেই পড়িয়া থাকিবেন—টমসনের মতো আন্দাজে কথা বলিবার ঔদ্ধত্য আমাদের নাই,— কিন্তু এ কথা নিশ্চিত, ইবসনের থ্যাতি তখনো বাংলাদেশে আসিয়া পৌছে নাই। এই জাতের আন্দাজী কথা র্তাহার গ্রন্থে আরো অনেক আছে ; তাহার কারণ যেখানে সঙ্কোচ নাই, ভয় নাই, যেখানে পদবী পাইবার পস্থা অত্যন্ত সহজ, সেই জমিতেই আন্দাঞ্জের আগাছা প্রবল ३द्देब्रl छ८ग्र । এ তে গেল আন্দাজের কথা। তার পর যেখানে তিনি কাব্যগত কোনো তত্ত্ব কথা সম্বন্ধে দুই চক্ষু বুজিয়া গম্ভীর গলায় রায় দিয়াছেন সেখানে তাহার যে অহমিকা সেটা সাহিত্যিক নহে, সেটা সম্প্রদায়িক । কবির কাব্যে জীবনদেবতার যে আইডিয়া নানাস্থানে নানা ভাবে প্রকাশ পাইয়াছে, তাহ যে তিনি বুঝিতে পারেন নাই একথা স্বীকার করিলে ক্ষতি ছিল না। ভারতবর্ষে আমরা ॐाभप्लवङ, कूलटशय७, शृश्यनद७, इंडेtनबज्रांदब भामि । cग মানfetish মান নয়। জামাদের ভক্তিতত্ত্বে সীমাশূন্ততাৰে