পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(; ծե প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ইহাকে অশ্রদ্ধ, এমন কি, অবজ্ঞা করেন, তবে তাহাকে দোষ দিতে পারি না। কিন্তু তবু উক্ত বাঙালী পাঠক অবজ্ঞা করেন না ; বলেন, আমি বুঝিতে পারিলাম না। অবজ্ঞা যে করেন না, তাহার কারণ এ নয় যে, করিলে উপাধিপরীক্ষায় তাহার পাস করা অসাধ্য হইবে । তাহার কারণ এই যে, তিনি জানেন, ইংরেজ এই কবিতার মধ্যে ষে-রল পান, কেবল মাত্র অনভিজ্ঞতাবশতই সেই রস পাইবার অধিকার তাহারও নাই। সে র্তাহার ভাগ্যের দেব, কাব্যের দোষ নয়। টেনিসনের "In the Valley of Cauteretz” নামক কবিতাটিও ইংরেজ সংগ্রহকারদের বরমাল্য পাইয়া থাকে জানিন ফরাসী বা জৰ্ম্মান ভাষায় ইহার তর্জমা হইয়াছে কি না—এবং সেই তর্জমার জোরে ইহা সেই সেই ভাষায় প্রদ্ধেয় সাহিত্যের একটা ক্ষুদ্র কোণও অধিকার করিতে পারিয়াছে কি না । ইহার *in on fo, to “All along the Valley," s *Woice of the Dead” বাক্যের বারবার পুনরাবৰ্ত্তনের মধ্যে কি যে জাদু আছে তাহা অতি অল্প বিদেশীর কাছেই অনুভবগম্য । কিন্তু নিঃসন্দেহই ইহার শব্দযোজনার মধ্যে এমন একটি সঙ্গীত আছে যাহা অধিকারী ব্যক্তির মনে রল জোগাইয় তোলে। voice with the deepening of the night” ext; মধ্যে যদি কোনো মাধুর্য্য থাকে- তাহ শব্দার্থের দ্বারা প্রকাশিত হয় না, ভাষার অনিৰ্ব্বচনীয়তার মধ্যে

  • Living Woice" s

“Deepening thy তাহা অবগুষ্ঠিত, ভাষার দরদ নাই যে বিদেশী বগী সমালোচকের মনে, সে যখন ইহার অবরোধ ভাঙিয়া চৌখ আদায় করিতে আসে তখন হতাশ হইয়। সে কি ক্ষাপ্পা হইয়া উঠিবে না ? টম্সন সাহেব তেমনি মেজাজ লইয়া মাঝে মাৰে যখন ক্ষেপিয়া উঠিয়াছেন তখন সেটাকে তাহার সাহিত্যিক স্বায়পরতা বলিব, না, কথাটা রূঢ় হইলেও, সেটাকে অন্যায়পরতা বলিব ? যথার্থ ভাবে সাহিত্যরসের বিচার করিবার শক্তি যে সকলেরই আছে তাহা বলি না । অতএব তাহার অভাব দেখিলেও সহ করা চলে, কিন্তু উপকরণ ও শিক্ষার অভাবে সাহিত্যের বাহির দ্বারেই যে মানুষ বাধা পায়, সে যদি সেখানেই আপন হাতে উচ্চ মাচা বাধিয়া বিচারকের আসন খাড়া করে সেটা কি মুদৃপ্ত ? কেবল কল্পনাশক্তির অন্থজলতাবশত নয়, অজ্ঞতার অশক্তিবশত যখন সমালোচক নিজের আত্ম-বিশ্বাসকে থৰ্ব্ব না করিয়া কবির কাব্যকে খৰ্ব্ব করিতে প্রবৃত্ত হয়, তখন তাহার ভদ্র কৈফিয়ৎ পাওয়া যায় না। কারণ এই স্পৰ্দ্ধ দ্বার বাঙালী কৰির প্রতি যে অবজ্ঞা প্রকাশ পায়, অমুরূপ ভাষাজ্ঞান লইয়া কোনো যুরোপীয় কবির প্রতি এরূপ অবজ্ঞা প্রকাশ করিতে এই ইংরেজ লেখক সাহস করিতেন না। আমাদের দেশের খ্যাতনামা কবির প্রতি এই অসস্কোচ ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিয়া বাঙালী জাতির প্রতি পদে পদে তিনি অহঙ্কত অসম্মান প্রকাশ করিবার একটা স্বযোগ পাইয়াছেন । রেভারেণ্ড টম্সনের পণ্ডিতন্মন্তত ঐ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ঐযুক্ত বাণীবিনোদ বন্ধ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে রেভারেও টমসনের বহির বিষয়ে যে প্রবন্ধটি লিথিয়াছেন, ভাহা পাঠ করিয়া একটি হাস্তোদ্বীপক কবিতার কথা মনে পড়িয়া গেল। একজন তরবারিচালননিপুণ যক্তি অন্ত এক জমের মাথা কাটিং ফেলিয়ছিলেন। কিন্তু তলোয়ারটা এমন পাতলা ও এমন : তীক্ষ ছিল এবং তলোয়ারী এমন লঘু হন্তে দ্বিতীয় ব্যক্তির মাথা কাটিয়াছিলেন, যে, সে বুঝিতেই পারে নাই, যে, তাহার মাথা কাটা গিয়াছে। দর্শকেরাও বুৰিতে পারে নাই। उष्णशिङ्गौ उ१न नःि श्वद्विन ; निषि ८षु भूयः किटfह्म