পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩৬৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মোহেঞ্জে জড়োতে প্রাপ্ত মণিকারের কার্যকৰ্ম্ম নিদর্শন প্রতি যে আকর্ষণ, তাহা স্বর্ণ, রৌপ্য, বা কাগজের মুদ্রার প্রতিনিধি বলিয়া । কন্যাকৰ্ত্তার গহনায় প্রতি আকর্ষণ সূপের প্রতি পক্ষীশাবকের আকর্ষণের ন্যায়। মহিলাদিগের ও ভারতীয় নৃপতিগণের গহনার প্রতি আকর্ষণ প্রধানত: “লোক দেখান”র জন্য ( to show ofা)। যাহারা উক্ত মহিলা বা রাজন্তবর্গের গহনার সংস্থান যোগায়, স্বাভাবিক অবস্থায় তাহাদের ঐ সকল গনোর প্রষ্টি আকর্ষণ থাকে না। মস্তিষ্কবিকৃতি হইলে আকর্ষণ হইতে পারে। সে যাহাই হউক, ইহা প্রামাণিক সত্য, যে, অতি প্রাচীন কাল হইতে মানব ভূষণ হিসাবে গহনার ব্যবহার করিয়া আসিতেছে। তবে অতি প্রাচীনকালে বে সকল পদার্থ অলঙ্কার রূপে ব্যবহৃত হইত, সে সকলের মধ্যে অনেক কিছুই এখন বিপরীত সংজ্ঞা লাভ করিয়াছে। আদিম মানব যে দেহের শোভা বৃদ্ধির চেষ্টা করিত, 年 .....iڈت তাহার বিস্তর প্রমাণ আছে। প্রমাণ প্রধানত: দুই প্রকার। প্রথম, আদিম মানব-রচিত চিত্র বা মূৰ্ত্তি, দ্বিতীয়, তাহার ব্যবহৃত গহন । এই সকল দেখিলে মনে হয়, যে, প্রাচীনকালের গৃহকৰ্ত্তাকে পরিবার পরিজনের অলঙ্কারের সংস্থান করিতে বিশেষ বেগ পাইতে হইত না। মস্বণ প্রস্তর বা উপলখও, কুকুর বা অন্ত কোন উত্তর ভারতের ঝুমূক্ষ। প্রাচীন পরিকল্পনা স্বাপদের নখ ও দস্তু, ভলুক-আদি হিংস্র জন্তুর চোয়াল ঝিমুক বা শুক্তি ইত্যাদিতে ছিদ্র করিয়া, পণ্ডলোম বা পশুচৰ্ম্ম নিৰ্ম্মিত হুঙার সাহাষ্যে অলঙ্কার-অভিলাষী ব্যক্তির অঙ্গে তাহ সংলগ্ন করিয়া দিলেই কাজ হাসিল হইয়া যাইত। সে গহনার না ছিল যাচাই, না ছিল বানী। দুঃখের বিষয় এই যে, এইরূপ অাদর্শ গহনার ব্যবহার চিরস্থায়ী হইল না। মাছুষের "টক্কর দেওয়া” রোগ অতি প্রাচীন ও অতি সংক্রামক। সুতরাং সহজলভ্য পণ্ডয়-অস্থি বা উপলখণ্ডে লোকের বাসনার তৃপ্তি হইল না। ক্রমেই উজ্জ্বলবর্ণযুক্ত প্রস্তর বা উপল, দুল্লভ হস্তিদন্ত ইত্যাদি, কুকুর দন্ত বা বিহুকের স্থান অধিকার করিল। পরে ধাতু ও জরিপ্রয়োগ দ্বারা ধাতু গলান ইত্যাদির আবিষ্কার হইলে পর ধাতুনিৰ্ম্মিত গহনার ব্যবহারও প্রচলিত হুইল ।