পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

・ 8や দেয়নি বা আর কোনো রকমে এর শোধ নিতে চেষ্ট। করেনি ? ধন্ত সাহস তোমার, বাঘের সঙ্গে লড়তে চাওঁ ৷” বাতাসীর মা হাসিয়া বলিল, “একথ! সবাই বলে, দিদি । সাহস না থাকূলে এসব দেশে বাস করা চলেও না ; তবে আমি একটু বেশী দূর এগিয়ে যাই। সবাই ঘর সামলায়, আমি পর সম্লিয়েণ্ড মরি। ভেবে দেখুন তখন ধfধ আমি ওকে তাড়য়ে না দিতুম, ওই বউটিকে কি অপমানই কবুত সে ” “কি ভয়ানক ! বল বাতাসীর মা,তার পরে কি হ’ল ? "এ কথা তে একেবারে চারদিকেই ছড়িয়ে পড়ল । বাড়ী গিয়ে প্রায় বাবু বাকি সমস্ত দাড়ী টাড়ী ছেটে ফেলে ঘায়ে মলম লাগিয়ে ঘরের কোণে লুকিয়ে পড়লেন । শক্রয় মজা দেখতে ভালো মানুষ সেজে তার বাড়ীতে যেতে লাগল আর র্তার মিত্রের মেয়ে-মানুষের স্পৰ্দ্ধ দেখে চটে মটে আমাদের জমিদার সেজ বাবুর কাছে অামার নামে নালিশ ক’রে এল । 'ফু' fন ৫ম পরে বাইরের ঘরটায় ব’ম্বে, কে এ বাড়াম কৰ্ত্তাকে খুব কড়া কড়া কথা বলছে শুনতে পেয়ে আমি দেরি-গোড়ায় দাড়িয়ে দেখলুম,পেজ বাৰু এসেছেন। তি:ন তখন বলছিলেন, ‘তোমার স্ত্রীর অত্যাচারে দেখছি এ গারে ভদ্রলোক আর বাস করতে পারবে না ! রায় বাধুর কি করেছে সে শুনেছে ? ওকে তোমার আচ্ছ। ক’রে শাসন করা দরকার ; যদি না পার, তবে বল ; আমাকেই তা হ’লে এর বিচার করতে হ’বে ।’ আমি ঘরে গিয়ে বললুম, “ওকে আপনি মিছে আদেশ করছেন বাৰু, ও কিছু করতে পারবে না ; আমার হাতের কাকণের দাগ ওর পিঠেই যে, কত রয়েছে ! আপনি বিচার করতে চাইছেন, তাই করুন ! কিন্তু দেখবেন, বিচারের নামে যেন অবিচার না হয়— রায় বাবু শশীর বউকে যে অপমান করতে গিয়েছিলেন, আগে তার বিচার করুন ত, তার পরে আমায় ষে শাস্তি দেবেন, আমি তা মাথা পেতে নেবো ।” ‘সেজ বাবু চমকে একবার চেয়ে দেখলেন, তার পরে আর কিছু না ব'লে সোজা বাড়ী চলে গেলেন । এ গোল এইখানেই মিটে গেল।’ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, "আচ্ছা বাতাসীর ম৷ তুমি যে বললে, গোবাচাদের পিঠে তোমার 1ಡ কবিধের দাগ কত রযেছে, এ কথাও কি ঠিক ? তুমি স্বামীকে ও এই রকম শাসন-টাগন বর না কি ?” । সলজ হাসিতে মুখখান উজ্জল করিয়া গে বলিল, “একথাও মিছে নয়, দিদি । লুকোব আর কেন ? বঙ্ত ভাল মাদুষ, একেবারে গেtaবs a । কখনো কি প: 55 থাকে না, পচেও থাকে ন! তণু যে কেন ওiম ওপরেও একদিন একদিন আমার রাগ হ'য়ে পড়ে, তা আiম নিজেই বুঝতে পার না! আমার মনে হয় দিদি, এবারে আমি এই করতেই জগতে এসেছিলুম ! আমার স্বভাবই ওইরকম হ’য়ে গেছে ।” আমি হাসিয়া বললাম, " বেশ, ভালো ! তোমার বীরত্বের কথা শুনতে আমার বড় ভালো লাগছে, বাতাসীর মা, আরও কিছু থাকে ত বলে । তবে স্বামী বেচারীকে একটু রেহাই দিওঁ।” আমার কখ। শেষ ন হইতেই পিসীমায় পুত্র মুকুন্দ হারিকেন হাতে লইয়া অ{{স , কাঞ্চামী তাহাকে পাঠাইয়াছেন ; আর এসব আশ্চৰ্য্য কাহিনী শোনা হুইল না ; ডঠিয়া পড়িলাম। বাতাসী; মা আমার সঙ্গে-সঙ্গে বাড়ীর বাহিরে গা, সয়া একট। গাছতলায় দাড়াইল, আর খানক দূর গেলেই আমাদের বাড়া । নিস্তব্ধ জ্যোৎস্নময়ী রাত্র ; নির্জন পল্লীপথ প্রতিধ্বনিত করিয়৷ মুকুন্দ একটা স্বদেশী গান গাiহতে গাহিতে চলিল, তাহ শুনতে-শুনিতে বাড়ীর সম্মুখে আসিয়া আমি ফিরিদা দেখলাম, একটি ছায়ার মত বাতাসীর ম, তখনও সেখানে দ ডুiহয়। আমার দিকে চাহিয়া রহিয়াছে। কে বলিবে গুহ নম্র মুক্টিটি এমন মহিষমদিনীর ! বাড়ী আiধয়া দেখিলাম, ছোট বাড়ীর ঠাকুরম আমার অপেক্ষায় বসিয়া আছেন ; তিনি আমাকে দেখিয়া হাসিয়া বলিলেন, "এত রাত এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারে, আর আমাদের বাড়ী একটি বার যেতে পারলে না ? আমি দেখ তোমার জঙ্কে কখন এসে বসে আছি। কলকাতার ‘সভ্য মাচুষের সেখানে