পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] গ্রামের মেয়ে 8Գ বুঝি শুধু ছোট লোকদের সঙ্গে মিলে-মিশেই মজা পায় ?” এই মুস্থ তিরস্কারে আমি একটু লজ্জিত হইয়া বলিলাম, *আপনাদের বাড়ী যাব বই কি ঠাকুরমা, এখানে ত বেড়াতেই আমি এসেছি । বাতাসীর মার সাহস আমায় অবক্ করেছে কি না, তাই তার কাছে গিয়েছিলুম। আচ্ছা, পূবনে বাড়ীর সেজ বাবুও তাকে ভয় কবুলেন ? ‘ওকে ভয় করে এখানকার সববাষ্ট, এতে আর অবাকৃ হ’বার কি আছে, ভাই। এখন ত এই রকমই হয়েছে, জমিদাররা সব প্রজার ভয়ে শশব্যস্ত। কর্তাদের আমলে প্রঞ্জার বাবুদের সঙ্গে কথাটি কইতে সাহস পেত না ; একটা কিছু অন্যায় কবৃলে হয় ত তার 'জনেই নিয়ে বসতেন ; ভিটে মাটি উচ্ছন্ন, সে ত কথায় কথায় কবৃতেনই। এখনও আঁধি পুকুবের পাড় খুড়লে পরে কত মড়ার মাথা নর-কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ে। সেজ বাবুর বাবার সময় থেকেই সে-সব দিন গিয়েছে । তিনি ছিলেন ভাবী ভগ্নকাতুরে । তারই ছেলে ত সেজ বাবু, তার কত সাহস হ’বে বঙ্গ, বাতাসীর মা ওকে আর তুচ্ছ করবে না ! আমি বলিলাম, ‘কাউকে ভয় পেতে দেখলে ওরাই আবার ঠাট্ট ক'রে বলেন, ওতো মেঘেমাহব ; বা তাসীর ম; এদেশের মেঃেদের এ অপবাদ ঘুচিয়েছে। রায় বাবু শুনেছি একটি ভয়ঙ্কর লোক, সে তাকেও কেমন জব্দ ক'রে দিয়েছে—শুনে আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে। তথন যদি আমি এখানে থাকৃতুম, এসব কাও দেখলে পরে বডড খুশী হতুম, ঠাকুরমা !" ‘বfতামীর মা যে সেজ বাবুর জামাই তাড়িয়েছে, তা বুঝি তুমি এখনো শোননি ? সে তার নন্দাইকেও এমনি শাস্তি দিয়েছে যা সে কথনে ভুলতে পারবে না । পুরুষদের ‘দোষ ঘাট’ সে কক্ষনে। গছ ক’রে যার না। শুধু লেজ বাবু কেন, সব বাবুই সে সুস্ক ওকে মনে মনে ভয় করে ।” ‘বলুন ঠাকুরমা, কেন সে ওসব করেছিল, আমার শুনতে বড় ইচ্ছে করছে, বলিয়া আমি তাহার মুখের পানে চাহিয়া রছিলাম। ইচ্ছে করছে ডে শোনো ! আচ্ছ, ওদের বাড়ীর কথাটাই অাগে বলি। বাঙালীর বড় পিসী অন্নপূর্ণকে কি তোমার মনে পড়ে ? ছেলেবেলায় তার সঙ্গে কত খেলা কবৃন্থ "সে পড়েছে একটা হতভাগার হাতে। নিবারণ কিছু করে না, কাজেই ঘরে নিত্য অভাব। অন্নপূর্ণ ধান ভেনে, পরের বাড়ীতে রান্ন ক’রে কোনো রকমে সংসার চালায় । নিবারণ বাবু সেজে বসে থাকে, নয়তে ছেলে কোলে ক’রে একটু বেড়ায় । কাজ করতে বললে একেবারে মারমুখে। হ'য়ে ওঠে। মেন্ধেটাকে তো মেরে মেরে হাড় কখানা সার করেছে—” ঠাকুরমা বলিয়। যাইতেছিলেন, “ম বাপ મ’cદ્ધ গেলে সে আর এখানে বড় অস্ত প্লী; মৃত কষ্টই হোক, সব স’রে স্বামীর কাছেই থাকৃত ; একদিন বড় অসহ হতে ছেলে মেয়ে নিয়ে সেই অতদূর থেকে হেঁটেই এখানে এসে পড়ল। বাভাসীর মা ওদের দেখে তো খুব খুদা ! “ওলো ছোটবউ বেরিয়ে এসে দেখ, কে এসেছে ; এত দিন পরে আমাদের কথা মনে পড়ল কি, ঠাকুরুঝি ! এদে ভাই, এসো-ব’লে সে আদর ক'রে অন্নপূর্ণাকে ঘর নিয়ে বসাগে, ছেলেদের মুখ মুছিয়ে জল খেতে দিলে। ভাই-ভাঞ্জের কাছে যত্ন পেয়ে অন্নপূর্ণ। সেখানে সুস্থির হয়ে রইল, তার শরীয় ও আস্তে আস্তে বেশ স্বস্থ হ’য়ে ট ঠ ল । 'মাস দুই পরে একদিন বিকেলে শিব ২ণ এসে উপস্থিত ; বাইরের ঘরে গিয়ে সে গোর চাদকে বললে, ‘এদের নিয়ে যেতে এসেছি । বাতাসীর মা তাকেও অযত্ন করলে না, আপনি পাচ রকম রান্না-বান্না ক’রে নন্দাইকে বেশ ক’রে থাইযে, ওপাশের ঘরটায় ওদের শোবার ব্যবস্থা ক’রে দিয়ে তবে সে ঘুমুতে গেল । অনেক রাত্রে অন্নপূর্ণর কান্না শুনে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। এরি মধ্যে ওদের খুব ঝগড়া হ’য়ে গেছে ; এখানে এলেও নিবারণ নিজ মূৰ্ত্তি ধরেছে! বাতাসীর ম৷ তখনি এক গাছ বেণ্ড হাভে ক’রে ওঘরের দোর ঠেলে ডাকূলে, বুড়ী, ওবুড়ী দেণরট। একবার খোলতো !’ বুড়ী মেয়েট বাপের কাও দেখে ভদ্ধে কঁপিছিল, মামীর সাড়া পেয়ে উঠে এসে দোর খুলে দিলে।