পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ե নিবারণ তখন নাকি দাড়িয়ে ছিল। অন্নপূর্ণ বিছানার কোণে ব’লে, বাতাসীর মা ঘরে ঢুকেই আগে সেই ছিপ-ছিপে বেণ্ড গাঁইট। সপাসপ নিবারণের পিঠে বসিয়ে দিলে ঘা কতক ! তার পর বললে, “তোমার আম্পৰ্দ্ধ তো কম নয় ! নিজের বাড়ীতে ঠাকুরবিকে কত কষ্ট দাও, কত অপমান কর ; এখানে এসেও ওর গায়ে হাত তুলতে তোমার সাহস হ’ল ? যার বাড়ীতে, এসেছ, তাকেই অপমান! যত বলছে, বেতগাছটি তত জোরে নিবারণের পিঠে, বুকে, মুখে কেটে কেটে পড়ছে। ব্যথায় অস্থির হয়ে সে তক্ষুনি লাফাতে লাফাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে সোজা ছুট দিলে। বাতাসীর মার মনেও কি ভয়-ডর কিছু নেই! সে সেই নিশুতি রাতে তার পেছন পেছন তাড়া করে বটগাছটার ওখার পর্যন্ত গেল। নিবারণকে তাড়িয়ে দিয়ে বাড়ী আসতেই গোরাচাদ ওকে বকুতে লাগল। বাতাসীর মা আর কথাটিও না ব’লে বাকী রাতটুকু অন্নপূর্ণার পাশে শুয়ে পড়ে রইল।” “তার পরে নিবারণ কি আর ওখানে এসেছিল, ঠাকুরমা ?” “আসবে না তো কি করবে ? যার অকারণ মানুষকে অপমান করে বোন, ওসব সইতেও তো তারাই পারে । চার পাঁচ মাস হয়ে গেল, অন্নপূর্ণ। আর যায় না দেখে নিবারণ আবার এল। কুঁড়ে তো, কাজ করে খেতে পারে না, ছেলেদের ছেড়ে থাকৃতেও চায় না ! কত ব’লে ক’য়ে মাপটাপ চেয়ে তবে এবার তা’কে নিয়ে গেছে। এখন হয় তো অভাগীকে সে একটু যত্ন-আত্তি’ করে, তার পর থেকে আর কিছু গোলমাল শুনতে টুনতে পাইনি। যাই ভাই, রাত হয়ে গেল ; কাল পরশু তুমি একবার ‘ছোট বাড়ীতে যেও ” “এখুনি যাবেন কি, ঠাকুরমা ! সেজ বাবুর জামাই তাড়ানোর কথাটাও ব’লে ধান, আমার শুনতে বড় हेरष्क्र कद्रूह ।।' সে আর কি ক’রে বলি দিদি, সে হ’ল আমাদের খরের কথা ; বিশেয ওবাড়ীর কথা যে আমি তোমাকে বলেছি দেখো দিদি, তা যেন ওরা জানতে ন পারে! প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩৫৪ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ক্ত হবে। তুমি ত হ’লে আমায় বড় মুস্কিলে পড় মি কখনে। আর শুনতে চাইছ—মইলে ওদের কথা আ দু’কাণ করিনি।” ॐशत्र डाय cझशिष्ट्र अभि शनियाँ বলিলাম, ‘ন না, আপনি যা বলবেন, আমি তা কখনও মুখেও আনবোন। এখন নিৰ্ভয়ে বলুন। ঠাকুর-মা সন্তুষ্ট হইয়। বলিলেন, 'তা মুখে আমূলেই বা এমন কি ক্ষতি । তুমি দেশে গীয়ে থাক না তাই, নইলে এসব কথা আর এখানলে মন্দ’ লোকের কার কে ন জানে ? দেশের "ভ তোমায় বলেছি, কাছে গল্প করবে বই কি, আমি যে এইটুকুন শুধু চেপে গেলেই হবে।” এইরূপে ভূমিকা শেষ করিয়া ঠাকুরম বলিতে লাগিলেন, ঐ যে বোশেখে ভয়ঙ্কর বড় হয়েছিল গরীবদের কারু ঘরে আর চাল ছিল না ; কত লোক ঘর চাপা পড়ে মবেও গিয়েছিল সেই ঝড়-বৃষ্টির ভেতরে সেজ বাবু ঘটা করে তার মেয়ে মিকুর বিয়ে দিলেন। স্বধীন ছেলেটি কুলীন, দেখতে মন্দ নয়, পয়সা আছে। আমরা দেখলুম এই! কিন্তু সেঙ্গ বাবু জাক ক’রে বলে বেড়াতে লাগলেন, অমন তিনটে পাশ করা জামাই এ গারে আর আসেনি। তা হবে ? আমরা সব চুপ করে শুল্লু, বড় লোকের কথায় আর কি জবাব দেব ভাই ? তার পর থেকে জামাই তো এখানে বেশ ধাওয়া আসি করে, পাড়ার পাঁচ জনার সঙ্গে কথা-বাৰ্ত্ত বলে, সবাই তাকে ভালোও বাসে । আমি কিন্তু তখুনি টের পেয়েছিলুম, মিম্বর বর বড় ‘মেয়ে-বেশ । মেয়েদের সঙ্গে মিশতে পেলে সে আপ্ন কিছু চন্থি না । ছোট লোকের মেয়েদের সঙ্গেও সেধে মেধে আলাপ করতে যায়। একদিন ঐ বাতাসীকে কি ঠাট্টাটাই কবৃলে। সে তো মুখ ফিরিয়ে চলে গেল, ওর সঙ্গে কথাও কইলে না। আমার এসব দেথে শুনে কি রকম লাগত। তা কেউ যখন কিছু বলে না, তখন আমিই বা বলতে যাই কেন ? একেই ত পেজগিন্ধীর বিষনজরে পড়ে রয়েছি—কিছু বলতে গেলে তখনি তুমুল ঝগড়া করবে। কাজ কি ? চুপ ক’রে থাকাই ভালো মনে ক’রে আমি ত যুখটি বুজে রইলুম। জাগেকার