পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

é१३ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড নেই—আমরা কি সব শালপাতায় গা হাত পা পুছে স্বানের কাজ সারব নাকি ? রাস্তার কল থেকে ৪৷e বান্টি জল তুলে তবে তুমি আফিস যাবে, বুঝলে ?” পিতোমবাবু আতঙ্কে স্বানের জল ছাপাইয় ঘামিয়া উঠিলেন। তিনি বাহিরে আলিয়া অন্যমনস্কতার দোহাই দিয়া পার পাইবার চেষ্টা করিলেন ; কিন্তু নিৰ্দ্দয় নারীহৃদয়ে তাহার সে বেদনাপূর্ণ আবেদন “ন্যাকামো" বলিয়া অভিহিত হইল। অগত্য তিনি বান্টি হস্তে রাস্তায় জল আনিতে বাহির হইলেন । ভাবিয়াছিলেন মেখোকে উৎকোচ-গানে বশ করিয়া উন্মুক্ত রাজপথে বাণ্টি হস্তে বিচরণ করার অপযশ হইতে আত্মসম্মান রক্ষা করিবেন। এমন সময়ে পিছনে কে "হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ” করিয়া অট্টহাস্ত করিয়া উঠিল। পিতোমবাবু মাড় ফিাইরা দেখিলেন নেপেন ভাদুড়ী। & . কিন্তু মেধে তাহাকে পাশ কাটাইয়া সিড়ির পথে “ম! ঠাকরণ ডাকৃতেছেন” বলিয়া উপর তলায় উধাও হইয়া গেল। প্রথম দুই বান্টি জল পিতোমবাৰু লোক-চক্ষুর অন্তরালে রাড়ীর মধ্যে লইয়া আসিলেন। কিন্তু তৃতীয় বাণ্টি লইয়া তিনি সবে দরজার গোড়ায় পা দিয়াছেন এমন সময় পিছনে কে “হাঃ হাঃ, হাঃ, হাঃ,” করিয়া অট্টহাস্ত করিয়া উঠিল। পিতোমবাবু ঘাড় ফিরাইয়। দেখিলেন নেপেন ভাদুড়ীকে। নেপেন ভাদুড়ী তাহার সহিত এক অফিসে কাজ করে-এবং সময় পাইলেই অবাস্তর কথা বলিয়া সকলের চিত্তবিনোদন করে। এই ভাবে ধরা পড়িয়া পিতোমবায়ু লঙ্গায় আতঙ্কে শিহরিয়} উঠিলেন । নেপেনবাবু বলিলেন, “আরে সাণ্ডেল মশায়, দিন দুপুরে জল চুরী ক’রে কোথায় পালাচ্ছেন ?” পিতোমধাবু কোন উপায়ে আত্ম-সম্মান বজায় রাখিবার জন্ত বলিলেন, “আর ভাই, চাকর বেট। পালিয়েছে, দুর্দশার পার নেই-ব’ল কেন ?" উপরের বারান্দ হইতে ঘন কৃষ্ণ দেহখানি অৰ্দ্ধেকের অধিক বাহির করিয়া ঝু কিয় পড়িয়া মেধে চীৎকার করিয়া উঠিল, “বাবু, শিগগির করুন, মা-ঠাকরুণের চানের বেলা হ’য়ে ধাচ্ছে।” "হে ধরণী দ্বিধা হও । এ কি নিদারুণ অপমানের আগুনে আমায় পুড়িতে হইল।” পিতোমবাবু একমিনিটে তিন চার বার রং বদলাইয়া করুণ নেজে নেপেনবাবুর দিকে চাহিয়া কোনো কথা না বলিয়া বাণ্টিটী তুলিয়া লইয়া উপরে চলিয়া গেলেন। নেপেনের অট্টহাস্তে পথ-ঘাট ধ্বনিত হুইয়া উঠিল । সে-ধ্বনি যেখানে পিতোমবাবু স্ত্রীর নিকট এক বাণ্টি জল কম আনার জন্ত জবাবদিহি করিতেছিলেন সেখানেও পৌছিল । পিতোমবাবু ক্ষণেকের জন্ত কি যেন একট। আতঙ্কে শিহরিয়া উঠিলেন । স্ত্রী বলিলেন, “ও আবার কি রকম ঢং কবুছ ?” পিতোমবাবু বলিলেন, “কিছু না, অফিসের বেল। হ’য়ে গেছে ।” স্ত্রী বলিলেন, "ঐখানে ভাত বাড়া আছে নিয়ে খেয়ে আফিসে বেরও ! ফেরবার পথে ঘটে। ডাব কিনে এনে—মেধে বললে, তোমাদের অফিসের কাছে পাওয়৷ श्वांछ ।” দুই হস্তে দুইটি ভাব লইয়া নিজে আফিস হইতে গৃহাভিমূথে যাইতেছেন ও নেপেন ভাদুড়ী তাহার সহকৰ্ম্মীদিগের নিকট উক্ত ঘটনার সরস ব্যাখ্যা করিতেছে, এই