পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পীতাম্বর সাণ্ডেল (tԳն: কচুরী নিয়ে এগে। মেধে খোকাকে খেলা দিচ্ছে । নমু-খুড়ে একটু ব’লে চা-ট। খেয়ে যাওঁ ৷” নস্থ-খুড়া একট, নিকেলের ডি বা বাহির করিয়। তাহ হইতে একটিপ তীব্রগন্ধ নস্ত গ্রহণ করিয়া একটি মাসাধি ককাল রঞ্জকশন-বঞ্চিত রুমালে নাক মুখ মুছিয়া বলিলেন, “বিলক্ষণ, ত৷ তোমরা যদি বলে, তাহ হইলে কি আমি তোমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করিতে পারি ?” পিতোমবাবু ছয়টি পয়স হুস্তে লইয়া খাবারের দোকানে কচুরী আনিতে চলিলেন । মনে হইল কচুরী না হইয়৷ যদি নস্ব খুড়ার জন্ত বিষ আনিবার জন্ত এ যাত্রা হইত তাহ হইলে তাহার অস্তরে অন্তত কিছু মুখের সঞ্চার হইত। যে-ব্যক্তি পুরুষ হইয়া উৎপীড়িত পুরুষের বেন। বুঝে না, বরং তাহার যন্ত্রণ আরও বাড়াইয়া দিবার চেষ্টা করে, তাহার উপযুক্ত পুরস্কার বিষই, কচুরী নহে। হঠাৎ মনে হইল কচুরী ধাইয়াও ত কেহ কেহ কলের হইয়া মারা যায়-নহ-খুড়াকেও বালী দেখিয়া কচুরী খাওয়াইতে । পারিলে তাহারও হয়ত একটা ভালমন খটিতে পারে। দোকানে পৌছাইয়া পিতোমবাৰু বলিলেন, “বেশ ভাল রকম বাসী কচুরী আছে ?” দোকানদার অবাক হইয় তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল ; বলল, “সে কি মশাই—বালী কচুরী কি আবার কেউ বিক্রি করে নাকি ?” যেন কলিকাতার ময়রার অভিধানে বাসী বলিয়া কোন শব্দই নাই। পিতোমবাবু বলিলেন, “আরে বাপু, কুকুরকে খাওরাতে হবে-সন্তা টপ্ত৷ ক'রে দাওনা, থাকে ত ” ময়র। অগত্য, যেন খুবই অনিচ্ছার সহিত, তাহাকে এক ঠোঙা কচুরী বাহির করিয়া দিল। পিতোমবাবু সানন্দে কচুয়া লইয়া গৃহে চলিলেন। মনে মনে বলিলেন, “কলেরা না হোকু অন্তত ছ চার দিনের জষ্ট ঘর থেকে বেয়নে যন্ধ হবে ত।” - একখানা কচুরী মুখে দিয়াই নস্থ-খুড়া বলিলেন, “খুঃ, খুঃ, ছ্যা, ছা, এই কি অন্তকার কচুরী না কি ? বাবাজি, তোমাকে ময়র ঠকাইয়াছে। এ কচুরী নিদেন পক্ষে তিন দিবসের বাসা মাল।” গিৰি বলিলেন, “ধলি, তুমি কি চোখের মাথা খেয়ে দোকানে গিয়েছিলে নাকি ? যাও শিগগির খাবারট। বলে নিয়ে এস। এদিকে চায়ের জল ফুটে উঠ ল ; কোনে। কাজ কি তোমায় দিয়ে হবে না ?” পিতোমবাবু নিজের সধত্বকল্পিত প্রতিহিংসার পথ ७भन कब्रिम्न। इ%ा९ यक श्हेग्न था३८उ cगर्थिम्रो भन्नैौम्ना श्हेप्लो বলিলেন, “না, ন, ও কিছু তেমন বাণী নয় ; হাত-গরম না হ’লেই কি থাবার বাসী হয় ; খান না, খুড়ে মশায় ; কিছু হবে না।” খুড়া শিরঃসঞ্চালন করিয়া বলিলেন, আমার আর বাসী খাইবার বয়স নাই ।” গিন্ধি হাকিলেন, “শি.গু.গি.র যাও বলছি। নইলে তোমায় রাত্রে ভাতের বদলে ঐ কচুী খেয়েই থাকৃতে হবে।” পিতোমবাবু হতাশ হইয়া পুনৰ্ব্বার ঠোঙা হন্তে পথে বাহির হইলেন। মুখখান তাহার হস্তস্থিত বাণী কচুরী অপেক্ষাও শুষ্ক, মান । "না বাবাজি, ( & ) ট্রামের পয়সা না পাওয়াতে আজকাল পিতোমবাবু আফিসে প্রায়ই 'লেট হইতে আরম্ভ করিলেন। বড়বাৰু তাহাকে আড়ালে ডাকিয়া বলিলেন, একথা সাহেবের কাণে গেলে মুস্কিল হইবে । পিতোমবাবু তাহাকে বলিলেন যে, কোন ঘোর বিপদে পড়িয়া তাহার ষপ্তমানে ট্রামে যাতায়াত করিবার সংস্থান নাই—কি করিবেন ? বড়বাবু বলিলেন, যেমন করিয়া হউক আফিসে সময়ে ন} পোছাইলে বিপদ আনিবার্ধ্য। পিতোমবাবু গৃহে ফিরিয়া স্ত্রীকে বলিলেন, “অফিসে ‘লেট পৌছানতে বড়বাবু শাসিয়েছেন রিপোর্ট” করবেন, বুঝলে ?” গিরি বলিলেন, "কেন, পখে কি খেলা ক’র নাকি ? দেরী হয় কেন ?” "সকালে বাজার করে, তোমার ফুট-ফরমাস খেটে, ভাত পেতে দেরী হ’য়ে, তারপর যদি ট্রামের পয়সা নী পাই তা হ’লে পাংচুয়াল হতে হ’লে আফিসে দৌড়ে, cश्एउ झ्छ ।”