পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৭৬ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড স্থ ভাষিণী বিষকণ্ঠে উপদেশ দিলেন, “তবে একটা জিন দৌড়েই ষেও।” হতাশা ও গত্যন্তরবিহীনতা পিতোমবাবুকে পাগলের মত করিয়া তুলিল। তিনি চীৎকার করিয়া উঠিলেন, “ন, ট্রামেই যাব ; আলবৎ যাব ।” গিন্নি আরও জোরে বলিলেন, “অমন ক’রে জানোয়ারের মত চেচাচ্ছ কেন ? মারবে না কি ?” পিতোমবাবু বলিলেন, “হ্যা মার্ব, যদি ফের আমার কথার উপর কথা ব’লত মারই খাবে।” গিন্নি বেঁ। করিয়া ঘুরিয়া ঘরের বাহিরে চলিয়া গিয়া ধড়াম করিয়া দরজাট বন্ধ করিয়া বাহির হইতে শিকল তুলিয়া দিয়া চীৎকার করিয়া বলিলেন, “তুমি আজ নিশ্চয় মঙ্গ খেয়ে এসেছ ! ত৷ নইলে আমায় মাৰ্বতে ওঠ ! থাক জাজ ঐ ঘরে বন্ধ হ’য়ে,আজি তোমার খাওয়া-দাওয়া বাদ ; নেশা ছুটুলে পর আমার কাছে মাপ চাইবে, তবে তোমায় আমি ছাড়ব। ঝাটা মার অমন পুরুষমানুষের মুখে ! চামারের মত কথা শোন একবার ; বলে কি না মারবে ! देऊाॉशि झे उTाशि झेडTाप्ति” পিতোমবাবু চীৎকার করিয়া বলিলেন, “খোল বলছি দরজা, তা নইলে লাথি মেরে ভেঙে ফেলব।” “ভাঙন ক্ষেমতা থাকে ত। তারপর বাড়ীওলাকে গুণকার দিও।' ' পিতোমবাবু দড়াম্ করিয়া দরজায় একটা লাখি মারিলেন । পায়ে লাগিল বটে, তবে দরজার কিছুই হইল না । ডাকিলেন, “cমধ্যে, মেধে ” শুনিলেন গিন্নি বলিতেছেন, “ওদিকে যাস যদি মেধে ত ঝাট। মেরে বিদেয় করব।” পিতোমবাৰু হতাশ হইয়া একটা বেতের চেয়ারের উপর বলিয়া পড়িলেন। আফিস হইতে ফিরিয়া কিছু খাওয়া হয় নাই ; কি করিবেন ? একখানা “প্রবাসী” পড়িয়াছিল তুলিয়া লইলেন। প্রথমে চোখে পড়িল একটি প্রবৃক্ষ, “নরনারীর সমান অধিকার ।" পিতোমবাবু * জ্ঞাধিলেল, “হায়রে, সে-রকম স্বদিন কি আমাদের কথন হবে * তিন চার ঘণ্টা অভিবাহিত হইয়া গেল। কয়েকবার ডাকাডাকি করিয়াও স্বভাষিণীর কোনো সাড়া পাওয়া গেল না। একবার “তোপসে মাছ ভাজার একটা উগ্ৰমধুর গন্ধ দমক হাওয়ার সহিত ঘরের ভিতর ঢুকিয়া পিতোমবাবুর রসনায় বান ডাকাইয়। দিয়া আবার মিলাইয়া গেল । তিনি চীৎকার করিয়া বলিলেন, “ওগে, লক্ষ্মীটি, দরজা খোল, থিদেয় প্রাণ গেল, আমি দৌড়েই আফিস যাব, দরজা থোল ” শুনিলেন ভর্জিতমৎস্তজড়িত জিহবায় নস্থ খুড়া স্বভাষিণীকে বলিতেছেন, “ন, না, খুলিয়া কাজ নাই। মাতাল মানুষ পুনরায় যদি প্রস্থার আরম্ভ করে, আমি এ বয়সে রোধ করিতে পারিব না।” দরজা বন্ধষ্ট রহিল। পিতোমবাৰু “প্রবাসীর" গল্প ও প্রবন্ধ শেষ করিয়৷ বিজ্ঞাপনগুলি পাঠে মনোনিবেশ করিলেন । হঠাৎ দেথিলেন একখানা ছবি। একজন লোক আদেশ করিবার স্থায় ভঙ্কিতে হস্ত প্রসারিত করিয়া দণ্ডায়মান। চক্ষু দিয়া তাহার অপূৰ্ব্ব জ্যোতি নিঃসারিত হইতেছে। তাহার সম্মুখে দলে দলে লোক—কেহ করজোড়ে, কেহ ইটু গাড়িয়া, কেহ বা সাষ্টাঙ্গে প্রণত । এক পার্থে গুটিকয়েক হস্তী ও অশ্ব উক্তরূপে আত্মসমপর্ণ-মুদ্রায় উপস্থিত রহিয়াছে। ছবিটির নীচে বড় অক্ষরে লেখা রহিয়াছে— 始 অদ্ভুত ইচ্ছা-শক্তি পথহারা চলৎশক্তিরহিত প্রায় পথিক মরুভূমির মধ্যে হঠাৎ “ওয়েসিস" দেথিতে পাইলে যেমন নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে পুনর্জন্মেরilআশ্বাস পাইয় পুনৰ্ব্বার চাঙ্গ হইয় উঠে, পিতোমবাবু বিজ্ঞাপনট দেখিয়া তেমনি ক্ষুধাতৃষ্ণ, বন্দিদশা, নস্থ খুড়া, তোপসে মাছ সব ভুলিয়া আtধভাঙা বেতের চেয়ারখানার উপর যতটা পারেন সোঞ্জ হইয়া বসিলেন । র্তাহার অস্তরে যেন কোটি বিহঙ্গম কোনো এক নূতন উধার আশা-স্বর্ধ্যের পানে চাহিয়৷ গাহিয়া উঠিল, “আর ভয় নাই ; দুখ হ’ল অবসান ।” পিতোমবাবু পাঠ করিলেন :– অদ্ভুত ইচ্ছা-শক্তি “ইচ্ছা শক্তির প্রভাবে মাতুব কি না করিতে পারে ? পৃথিবীতে এই যে এত বিফলতার ক্ৰন্দন, এত উৎপীড়িতের