পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] জাতির দেশ জয় করবার কীৰ্ত্তি হয়ত সেকালে অনেকে লাভ ক’রে থাকৃবেন ; কিন্তু ভারতবর্ষ, অস্ত দেশের মতে, ঐতিহাসিক জপমালায় ভক্তির সঙ্গে তাদের নাম স্মরণ করে না । বীৰ্য্যবান দস্থ্যদের নাম ভারতবর্ষের পুরাণে ५Tांउ श्ध्ननि । অহংকেই যে-মাচুর্য পরম ও চরম সত্য ব’লে জানে সেই বিনাশ পায় ; সকল দুঃখ সকল পাপের মূল এই অহমিকায় । বিশ্বের প্রতি মৈন্ত্ৰী-ভাবনাতেই এই অহংভাব লুপ্ত হয়, এই সত্যটি আত্মার আলোক । এই আলোক-দীপ্তি ভারতবর্ষ নিজের মধ্যে বদ্ধ রাখতে পারেনি । এই আলোকের আভাতেই ভারত আপন ভূখণ্ডসীমার বাইরে আপনাকে প্রকাশ করেছিল । সুতরাং এইটিই হচ্ছে ভারতের সত্য পরিচয় । এই পরিচয়ের আলোকেই যদি নিজের পরিচয়কে উজ্জল করতে পারি তাহ’লেই আমরা ধন্ত । আমরা যে ভারতবর্ষে জন্মলাভ করেছি সে এই মুক্ত মন্ত্রের ভারতবর্ষে, সে এই তপস্বীর তারতবর্ষে । এই কথাটি যদি ধ্রুব ক’রে মনে রাখতে পারি তাহলে আমাদের সকল কৰ্ম্ম বিশুদ্ধ হবে, তাহ’লে আমরা নিজেকে বিশেষ ক'রে ভারতবাসী বলতে পারব, সেজন্যে আমাদের নতুন ক’রে ধ্বজ নিৰ্ম্মাণ করতে হবে ক্ষুধা হ’লেই মানুষ অল্পের স্বপ্ন দেখে । আজকাল আমাদের দেশে পোলিটিক্যাল আত্মপরিচয়ের ক্ষুধাটাই নানাকারণে সব-চেয়ে প্রবল হ’য়ে ডঠেচে । এইজন্তে নিরস্তর তারি ভোজটাই স্বপ্নে দেথ,চি। তার চেয়ে বড়ো কথাগুলিকেও অপ্রাসঙ্গিক ব’লে উপেক্ষ করবার তর্জন আজকাল প্রায় শোনা যায় । কিন্তু এই পোলিটিক্যাল আত্মপরিচয়ের ধারা খুজি তে গিয়ে বিদেশী ইতিহাসে গিয়ে পৌছভে হয় । সেই ব্যগ্রতার তাড়নায় আপনাকে স্বপ্নে-গড়া ম্যাট সিনি, স্বপ্নে-গড়া গারিবালডি, কাল্পনিক ওয়াশিংটন ব'লে ভাবন করতে হয়। অর্ণভত্ত্বেও তাই, এখানে আমাদের কারে কারো কল্পনা বলশেভিঙ্গমু, কারে সিণ্ডিক্যালিজম, কারে বা সোস্যালিজমের গোলকধাধায় ঘুরে বেড়াচ্চে। এসমস্তই মৰীচিকার মতে, ভারতবর্ষের চিরকালীন জমির উপরে ۹ -سسات 8 ۹ বৃহত্তর ভারত Qb-Q নেই—আমাদের দুর্ভাগ্য-তাপদগ্ধ হলে আমলের তুষাৰ্ত্ত দৃষ্টির উপরে স্বপ্ন রচনা কবৃচে । এই স্বপ্ন সিনেমার কোণে কোণে মাঝে মাঝে “Made in Europe”-এর মার্ক ঝলক মেরে এর কারখানাঘরের বৃত্তান্তটি জানিয়ে দিয়ে যাচ্চে । অজানা পথে অবাস্তবের পিছনে আমরা যেখানে ঘুরে বেড়াচ্চি সেখানে অভিভূতি-বিহ্বলতার মধ্যে আমাদের নিজের পরিচয় নেই। অথচ, পূর্বেই বলেচি, নিজের ব্যক্তি-স্বরূপের সত্য পরিচয়ের ভিত্তির উপরেই আমরা সিদ্ধিকে গড়ে তুলতে পারি । পলিটিক্স ইকনমিকৃসের বাইরেও আমাদের গৌরব-লোক আছে একথা যদি আমরা জানি তবে সেইখানেই আমাদের ভবিষ্যৎকে আমরা সত্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব । বিশ্বাসীনের মতো নিজের সত্যে অশ্রদ্ধা ক’রে হাওয়ায় হাওয়ায় আকাশ-কুহুম চাষ করবার চেষ্টা করলে ফল পাব না । ভারতবর্য যে কোনখানে সত্য, নিজের লোহার সিন্ধুকের মধ্যে তার দলিল সে রেখে যায়নি । ভারতবর্ষ যা দিতে পেরেছে তার দ্বারাই তার প্রকাশ । নিজের মধ্যে সম্পূর্ণ যা তার কুলোয়নি তাতেই তার পরিচয় । অন্তকে সত্য ক’রে দিতে পারার মূলেই হচ্চে অস্তকে আপন ক’রে উপলব্ধি । আপন সীমার বাধা যে ভাঙতে পেরেচে, বাইরের দুর্গম ভৌগোলিক বাধাও সে লঙ্ঘন করতে পেরেচে। এইজন্তেই ভারতবর্যের সত্যের ঐশ্বর্ধকে জানতে হ’লে সমুদ্রপারে ভারতবর্ষের স্বল্লুর দ্বানের ক্ষেত্রে যেতে হয় । আজ ভারতবর্ষের ভিতরে বসে ধূলি-কলুষিত হাওয়ার ভিতর দিয়ে ভারতবর্ষকে য। দেখি তার চেয়ে স্পষ্ট ও উজ্জল ক’রে ভারতবর্ষের নিত্যকালের রূপ দেখতে পাব ভারতবর্ষের বাইরে থেকে । - চীনে গেলাম, দেখলাম জাত হিসাবে ভারা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। নাকে চোখে ভাষায় ব্যবহারে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো মিলই নেই। কিন্তু তাদের সঙ্গে এমন একটি গভীর আত্মীয়তার যোগ অনুভব করা গেল, যা ভারতবর্ষীয় অনেকের সঙ্গে করা কঠিন হয়ে