পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tఫిషి প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড জম্যান ও ফরাসী বাইবেল রক্ষিত আছে । শ্ৰীযুক্ত রজনীকান্ত দাস ও র্তাহার স্ত্রী হোটেলের অধ্যক্ষকে একজন ভাল ডাক্তার ডাকাষ্টতে বলিলেন। ডাক্তারটি বেশ ভাল চিকিৎসাই করিয়াছিলেন । অথচ তাহার ফী আমাদের মুদ্রায় সাড়ে পাঁচ টাকার সমান। কোন কোন দিন তিনি দু’বার আদিতেন । তা ছাড়া চব্বিশ ঘণ্টা শুশ্ৰুষাকারিণী নাস রাখা হইয়াছিল। কিন্তু নাসের দ্বারা বিশেষ কিছু হইত না, যদি রজনীবাবু ওর্তাহার স্ত্রী খুব যত্ব না করিতেন। রজনীবাবুর স্ত্রী কল্যাণীয়া শ্ৰীমতী সোনিয়া চব্বিশ ঘণ্টা নাসের সহিত পাশের একটি ঘরে থাকিতেন এবং আমার জন্য যাহা কিছু করা দরকার সব করিতেন। তিনি আমার কগুীদের মত আমার সেবা করিয়াছিলেন । র্তাহার ও তাহার স্বামীর ঋণ আমি কখনও শোধ করিতে পারিব না। পীড়ার সময় শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্ৰীযুক্ত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শ্ৰীমান প্রশাস্ত আমার খোজ খবর লইয়া ও অন্যান্য প্রকারে আমার সাহায্য করিয়৷ আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ করিয়াছেন । আমি আরোগ্য লাভ করিবার আগে হইতেই ডাক্তার বলিয়াছিলেন, যে, আরোগ্যলাভ করিবার পরই আমি যেন দেশে ফিরিয়া যাই । আমি পীড়িত হইবার পূৰ্ব্বে একটি জামান জাহাজে দেশে ফিরিবার জন্য তাহাতে যায়গা লইয়াছিলাম ও সিকির অধিক অগ্নিম ভাড়া দিয়ছিলাম । তাহাতে রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতিও কামরা লইয়াছিলেন । কিন্তু উহার-ইউরোপ হইতে রওনা হইবার দেরী ছিল । সুতরাং আমি উহার কামরা ছাড়িয়া দিলাম, তাহাতে আমার অনেক টাকা লোকসান হইল । টেলিগ্রাফ করিয়৷ একটা ফরাসী জাহাজে স্থান লইলাম । ইছ মাসে ঈ হইতে ৫ই নবেম্বর (১৯২৬) কলোম্বে যাত্রা করে। আমি তখনও এক রেলে যাইবার মত বল পাই নাই। এইজন্য শ্ৰীযুক্ত সত্যেন্দ্রচন্দ্র গুহ আমাকে মাসে ঈ পৌছাইয়া দিতে রাজী হইলেন । তাহার নিকট আমি অন্যান্য সাহায্যের জন্যও ঋণী । ৪ঠা জেনীভা হইতে রওয়ান হইলাম । ট্রেনে একজায়গায় সত্যেন্দ্র বলিলেন, “দেখুন ত, আমাদের পাশের কামরায় একটি মহিলা রহিয়াছেন, তিনি নিশ্চয়ই বাঙালী । একজন ভদ্রলোক রহিয়াছেন, তাহাকে ইটালিয়ানের মত দেখাইতেছে।” আমি গিয়া দেখি লাম, স্তার কৃষ্ণগোবিদ গুপ্তের কন্যা এবং তাছার জামাতা মিঃ বি সি সেন । তাহাদের সঙ্গে আগে চাক্ষুষ পরিচয় না থাকিলেও নাম-জানাজানি ছিল। ট্রেনে দেশের নানা কথা হইল— নিজনিজ গৃহে রসগোল্লা প্রস্তুত করা হইতে ১৯২৬ সালের এপ্রিল মে মাসে কলিকাভা ও বঙ্গের অন্যান্ত জায়গার দাঙ্গা হাঙ্গামা পৰ্য্যন্ত । সন্ধ্যার ঘণ্টা দুই পরে মাসেট পৌছিলাম। সেন মহাশয়ের জেনীভ হইতেই হোটেল ঠিক করিয়া আসিয়াছিলেন । আমরা তাহা করি নাই বলিয়া এবং পরদিন ৫ই ভিন্ন ভিন্ন লাইনের অনেক জাহাজ বন্দর ছাড়িবে বলিয়া হোটেলগুলিতে অনেক আগন্তুকের আমদানী হওয়ায় আমাদের কোন হোটেলে জায়গা পাইতে দেরী হয়। শেষে আমরা ব্রিষ্টল হোটেলে গেলাম । পর দিন আমি আমাজোন নামক ফ্রেঞ্চ জাহাজে উঠিলাম। সত্যেন্দ্র পৌছাইয়া দিলেন । জাহাজ ছাড়িবার আগে তিনি ডেকে দণ্ডায়মান আমার একটা ফোটোগ্রাফ জেট হইতে লইলেন। একটি ফরাসী স্ত্রীলোক জেটতে গান করিতে ও একজন ফরাসী পুরুষ বেহালার মত একটা বাজনা বাজাইতে লাগিল । জাহাজের যাত্রীরা তাহদিগকে কিছু কিছু বকৃশিশ ছুড়িয়া দিতে লাগিল । জাহাজ ছাড়িল । ডেকে দাড়াইয়া দেখিতে লাগিলাম, যতক্ষণ অামাকে দেথা যায় সত্যেন্দ্র ততক্ষণ জাহাজের দিকে তাকাইয়া আছেন । তাহার পর তিনিও অদৃশু হইলেন, আমিও অদৃপ্ত হইলাম! তাহার সহিত আমার কোন সম্পর্ক নাই—বাঙালী বলিয়া এত টান। আগেই জানিয়াছিলাম, জাহাজে আমি ছাড়া আর দ্বিতীয় उाब्रडोग्र cशtद्र. ८कश् माहें । उांशंद्र छछ ७ष९ चाभि ফরাসী না জানায়, দেহের দুৰ্ব্বল অবস্থায় মনটা বড় বিষন্ন ছিল। পরে জানিতে পারি তৃতীয় শ্রেণীতে বলসার নামক একটি পাসী যুবক ও কৃষ্ণ নামক একটি অক্সফোর্ডের পাশকরা মাম্রাজী যুবক আছেন । তাহাজের সঙ্গে দু একবার দেখা কথাবাৰ্ত্তাও হইয়াছিল ; কিন্তু জাহাজের কণ্টেলার তাহাদিগকে প্রথম শ্রেণীর ত্রিসীমায় আসিতে