পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ভারতীয় ও পাশ্চাত্য সভ্যতা Woe O জেলি-মাছের শোভা করা হইতে, তৈলদীপ, কোরোসিন আলো, চৰ্ব্বির অলে৷ ইত্যাদিই ক্রমবিবর্তনে গ্যাসের আলোক ও বৈদুতিক আলোক দাড়াইয়াছে। ইহাতে আলে ভাল হইতেছে বটে কিন্তু জ্বালানি বস্তুর অধিকাংশ শক্তি উত্তীপরূপে নষ্ট হওয়াতে বৈজ্ঞানিকেঃ সত্ত্বষ্ট নহেন। সকল ক্ষেত্রেই আমরা দেখিতেছি উত্তাপ যত বেশী আলোe তত । উজ্জ্বল, অর্থাৎ উত্তাপরুপে যত শক্তি নষ্ট হইবে অলোও তত বেণী হইবে। অলােেকর জঙ্ক উত্তীপরূপে শক্তি নষ্ট হইতে দিতে বৈজ্ঞানিকগণ নারাজ, তাহারা উত্তাপহীন আলোর আবিষ্কারে চেষ্টিত আছেন । বিজ্ঞান একাজে এখনও সফলতা লাভ করে নাই বটে কিন্তু প্রকৃতি যে এই ধরণের আলোক বিতরণ করে তাহার বহু দৃষ্টাত্ত BBBSS SBBSS SBBBB BKK DD DBK DB BBBB BBB বিন্দুমাত্র নাই, অর্থাৎ সমস্ত শক্তিই এখানে আলোকে রূপান্তরিত হয়। বিখ্যাত প্রজ্বলও জেলি মৎস্যের আবিষ্কারে বৈজ্ঞানিকদিগের উত্তাপহীন আলো আবিষ্কার করিবার প্রবৃত্তি বাড়িয়া গিয়াছে। আমরা এখানে সেইরূপ একটি জেলিমাছের ছবি ছিলাম। সাৰগ্যাসো সমুয়ে ইহার হাজারে হাজারে বাস করে এবং ইহানের গায়ের আলোকে সমুদ্র উদ্ভাঙি থাকে। ছবিতে দেখুন মাছের গারের আলো জলকণার উপর পতিত হইয়া কি অপূর্ব 'শোভা বিস্তার করিয়াছে । এক একটি জেলিগাছ এত অধিক পরিমাণ আলো দেয় যে দেখিলে বিন্মিত হইতে হয়, অথচ ইহাজের দেহ ঠিক সাধারণ মাছের মতই ঠাও। জোলাকিপোক বা মাছের দেহের এই আলোকের কারণ যথাযথ নিৰ্দ্ধারিত হইলেই উত্তাপহীন আলোকও স্বষ্টি করা দস্তব হইবে, বৈজ্ঞানিকগণ এইরূপ বিবেচনা করেন। বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ডাক্তার কবলেঞ্জ এ সম্বন্ধে যথেষ্ট গবেষণা করিতেছেন। ভারতীয় ও পাশ্চাত্য সভ্যতা শ্ৰী রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় নামক ইংরেজ লেখকের কয়েক রকমের বহি আছে। একখানা ভারতবর্ষে বেড়াইয়া ভারতবর্ষ সম্বন্ধে লেখা ; নাম "ইণ্ডিয়া এণ্ড দি ফিউচার,” অর্থাৎ ভারতবর্ষ ও ভবিষ্যৎ । লেখকের মৃত্যু হইয়াছে। র্তাহার তিনখানা নাটক সম্প্রতি প্রকাশিত श्ब्रांtश् । उांशंद्र गौर्घ छूभिक लि१ि६itइन नाभखांम ইংরেজ লেখক জর্জ বার্নাড শ। আর্চার তাহার ভারত বিষয়ক বহিঙে ভারতীয় সভ্যতা, ধৰ্ম্ম, ললিতকলা প্রভূতির নিন্দ করিয়া ভারতীয় সভ্যতা অপেক্ষ পাশ্চাত্য সভ্যতাকে শ্রেষ্ঠ বলিয়ছিলেন। শ তাহার ভূমিকায় আর্চারের এই মনোভাব ও মতের সমর্থন ও প্রশংসা করিয়াছেন। তিনি তাহার ভূমিকায় এক জায়গায় *ft ouga, “If western civilization is not more উইলিয়ম আর্চার enlightened than Eastern we have clearly no right to be in India”; “of osses Hero go 8 নীতি বিষয়ে প্রাচ্য সভ্যতা অপেক্ষা উন্নততর না হয়, তাহা হইলে স্পষ্টই আমাদের ভারতবর্ষে থাকিবার কোন অধিকার নাই।” এইরূপ ধরণের কথা ভিনি আরও বলিয়াছেন । র্তাহার উক্তিগুলির আলোচনা করিবার পূৰ্ব্বে বলা দরকার, যে, পাশ্চাত্য সভ্যতা ও ইংলওঁীয় সভ্যতা সব বিষয়ে এক জিনিব নয় ; ইংলও কোন কোন বিষয়ে অন্তান্ত পাশ্চাত্য দেশ অপেক্ষা কম সভ্য ; ভারতীয় সভ্যতারও অন্যান্ত প্রাচ্য সভ্যতা হইতে কোন কোন বিষয়ে পার্থক্য আছে। শ ও আর্চার ধরিয়া লইয়াছেন, যে, ইংরেজরা ভারতবর্ষে আসিয়াছিল ভারতীয় লোকদিগকে স্বীয় উৎকৃষ্টতর