পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ভারতীয় ও পাশ্চাত্য সভ্যতা ৬e৫ মানিয়া লন নাই ; বরং প্রাচ্যের নিন্দার দৃঢ় প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। যে সামান্ত কয়জন ইংরেজ ও অন্ত পাশ্চাত্য লোকেরা ভারতীয় সভ্যতায় কিছু ভাল দেখিয়া তাহার প্রশংসা করিয়াছেন, শ তাহাদিগকে বলিয়াছেন, "the occidental renegades who swell the heads of our Indian students by assuring them that we are crude “পাশ্চাত্য স্বদলত্যাগী অধম লোকগুলা যাহারা ভারতীয় ছাত্রদিগকে এই বলিয়া অহঙ্কত করিয়া তুলে যে আমরা তাহাদের তুলনায় অসভ্য।” ভারতীয় সভ্যতা সম্বন্ধে এরকম “স্বদলত্যাগী” কোন লোকের মত উদ্ধত করিব না। করিব স্যার টমাস মনরোর মত, যিনি একজন প্রধান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যসংস্থাপক ও সাম্রাজ্যগঠক ছিলেন। আজকালকার শাসনকৰ্ত্তাদের মত তিনি প্রজাদের হইতে দূরে থাকিতেন না, তাহদের সহিত খুব মিশিতেন এবং সেই জন্য তাহাদের দোষগুণ ভাল করিয়া জানিতেন । ১৮১৩ খৃষ্টাব্দে একটি পালেমেণ্টারী কমিটির সম্মুখে সাক্ষ্য দিবার সময় তিনি হিন্দু সভ্যতা সম্বন্ধীয় একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন :– barbarians compared to .them” I do not exactly understand what is meant by the ‘civilization of the Hindus. In , the higher branches of science, in the knowledge of the theory and practice of good government, and in an education which, by banishing prejudice and superstition, opens the mind to receive instruction of every kind from every, quarter, they are much inferior to Europeans. But if a good system of agriculture, unrivalled manufacturing skill, capacity to produce whatever cam contribute to either convenience or luxury, schools established in every village for teaching reading, writing and arithmetic, the general practice of hospitality and charity among each other, and, above all, a treatment of the female Sex, full of confidence, respect and delicacy, are among the signs which denote a civilized people—then the Hindus are not... inferior to the nations of Europe, and if civilization is to become an article of trade between . the two countries, I... am confident that this country (England) will gain by the import cargo. তাৎপর্ঘ্য । হিন্দুদের সভ্যতার (বা হিন্দুদিগকে সভ্য করার) মানে ৰুি, আমি ঠিক বুঝি না। বিজ্ঞামের উচ্চতর শাখাসমূহে, দেশস্বশাসনের তত্ত্ব ও তাছার জমুসরণ, এবং স্বাহ পূৰ্ব্বসংস্কার ও কুসংস্কার দূর করিয়া সৰল কি হইতে সৰ্ব্বপ্রকার উপদেশ লাভ করিবার জঙ্ক মনকে মুক্তার रूरब ४ङ्गन निच-4ई नकल विशtग्न ठांशब्र हेtg:ब्रांनौग्नदमब्र cध्रब्र अtनक निकृडे । किरू कृषिब s९ङ्गडे म*ाजी, न+निरब्रह काप्य अवठिभ নৈপুণ্য, হুবিধা ও বিলাসের সকল সামগ্র উৎপাদনের ক্ষমতা, পড়া লেখt ও হিসাৰ শিখাইবার জঙ্ক প্রত্যেক গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়, পরস্পরের মধ্যে আতিথেয়তা ও ঐতির সাৰ্ব্বজনিক অনুসরণ, এবং সৰ্ব্বোপরি, নারীজাতির প্রতি বিশ্বাস শ্রদ্ধা ও কোমলতাপূর্ণ ব্যবহার, যদি জাতির সভ্যতাব্যঞ্জক লক্ষণের মধ্যে গণিত হয়, তাহ হইলে হিন্দুর ইউরোপীয় জাতিদের চেয়ে নিকৃষ্ট নহে, এবং যদি সভ্যতা ইংলণ্ড ও ভারতবর্ষের মধ্যে বাণিজ্যের সামগ্ৰী হয়, তাই। হইলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইংলণ্ড আমদানী মাল দ্বারা লীতবান হইবে । মনরো যখন এই কথা বলিয়াছিলেন, তাহার পর এক শতাব্দীর উপর সময় অতীত হইয়াছে। ইতিমধ্যে কোন কোন বিষয়ে ভারতবর্ষেয় ও ইংলণ্ডের উন্নতি অবনতি দুই-ই হইয়া থাকিতে পারে। কিন্তু মোটের উপর ভারতবর্ষ সম্ভবতঃ অসভ্য হইয়া যায় নাই । পাশ্চাত্যেরা আমাদিগকে সভ্য বলিলেই আমরা সভ্য, অসভ্য বলিলে অসভ্য হইয়া যাইব, এমন নয় ; আমাদের সভ্যতা বা অসভ্যতা তাহাজের মত-নিরপেক্ষ । তবে, যে, আমি মনুরোর মত উদ্ধৃত করিলাম, তাহার কারণ এই, যে, বার্নার্ড শ বলিতেছেন,পাশ্চাত্যেরা ভারতীয়দের চেয়ে সভ্য ন হইলে তাহদের ভারতে থাকিবার কোন অধিকার নাই। কিন্তু মনরো বুঝিয়াছিলেন, যে, কোন কোন বিষয়ে হিন্দুরা ইংরেজদের চেয়ে সভ্যতর,অথচ তিনি তল্পিতল্পা বাধিয়া অবিলম্বে বিলাত চলিয়া আন নাই। তিনি তিন দিন, তিন সপ্তাহ বা তিন মাস ভারতবর্ষে থাকিয়া ভারত সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ বনিয়া যান নাই। ১৭৮০ সালে ভারতবর্ষে আসিয়া ১৮০৭ পর্য্যন্ত এদেশে থাকিয়া বিলাত যান। ১৮১৫ পৰ্য্যস্ত তথায় থাকিয়া আবার ভারতে আসেন । ১৮১৯ সালে মান্দ্রাজের গবর্ণর মনোনীত হন। ১৮২৭ সালে তাহার মৃত্যু হয়। হায়দার আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ, মহীশূরের নূতন বন্দোবস্ত, কানাড়া শাসন, রায়তওয়ারী জমীর বন্দোবস্ত, ইংলণ্ডে ভারতীয় আইন প্রণয়নে সাহায্য ইত্যাদি নানা কাজ তিনি করিয়াছিলেন। এই জন্য ভারতে শীতকালে পরিব্রাজকদের চেয়ে এবং ভারতবর্ষ সম্বন্ধে সাক্ষাৎজানহীন বারনার্ড শ অপেক্ষ উাহার মতের মূল্য আছে। যে যে বিষয়ে তিনি ভারতীয়দিগকে ইউরোপীয়দের চেয়ে নিকৃষ্ট মনে করিরাছিলেন, সেই সব বিষয়ে তিনি ও তৎকালীন ইংরেজরা ভারতবর্ষকে নিজেদের সমান শ্রেষ্ঠ করিবার চেষ্টা করেন নাই, অথচ