পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ভারতীয় ও পাশ্চাত্য সভ্যতা جي هونا জয়ের পর গির্জাম্ব গড কে ধন্যবাদ দেওয়া হয় ; যুদ্ধে জিত বা যুদ্ধজয়ে ব্যবহৃত পতাকা গির্জায় রক্ষিত হয়। কেন তাহা করা হয় ? কার্যতঃ এই বিশ্বাসে নহে কি, যে, যুদ্ধে যাইবার আগে গড় কে স্তুতি করায় তিনি খুসি হইয়। তাহার পুজকদিগকে শত্রু পক্ষীয় মামুষেরহত্যায় কৃতিত্বের পুরস্কার দিয়াছেন ? সেই পুরস্কারের জন্যই ত তাহাকে ধন্যবাদও দেওয়া হয় । অথচ শত্রু পক্ষীয় লোকেরাও মাচুধ, এবং প্রাচ্যদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যদের সব বা অধিকাংশ অভিযান ধৰ্ম্মসংগত কারণে অতুষ্ঠিত হয় নাই । যে-সব গির্জায় যুদ্ধের পূৰ্ব্বে যুদ্ধজয়ের জন্ত প্রার্থনা হয়, এবং যুদ্ধ য়ের পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশিত হয়, যুদ্ধপতাকা রক্ষিত ও প্রদর্শিত হয়, যুদ্ধে হত ‘বীর”দের নাম মৰ্ম্মরফলকে খোদিত থাকে, তাহাতে রক্তের কোন দাগ পড়ে না, বীভৎস রক্তগঙ্গ। বহে না বটে ; কিন্তু দেবতার সহিত হত্যার সম্পর্ক রূপ যে কারণে পশু বলির নিন্দ। পাশ্চাত্যের করিতেছেন, তদ পক্ষ গুরুতর নরহত্যারূপ কাৰ্য্যের যোগ গডের সহিত ঐসব গির্জায় স্বীকৃত হয় না কি ? নরহত্যার সহিত গড়ের সম্বন্ধ স্থাপন fক পশু হত্যার সহিত দেবতার সম্বন্ধ স্থাপন অপেক্ষ উৎকৃষ্ট ভর সভ্যতার পরিচায়ক ? ভারতবর্ষের সব হিন্দু ( পুরুষ ও স্ত্রীলোক ) নাকে নথনোলকবেশল্প-পরা পৌত্তলিক, এটাও একটা আবিষ্কার বটে । পুরুষদের মধ্যে কেহই নথ ও বেশর পরে না । পুরুষ জাতীয় শিশুদের এক আধ জনকে নোলক পরিতে দেখা যায় বটে। মেয়েদের নাকের গয়ন পর এখনও কতকটা চলিত অাছে, কিন্তু কমিয়া আসিতেছে । এবং শ নিজেই যাহ। বলিয়াছেন, toleration of noserings is not justified by the “the eastern western toleration of earrings,” “•If*5RJ crc* ইয়ারিং বরদাস্ত করা হয় বলিয়া প্রাচ্যের নখবেশরনোলক বরদাস্ত করা যাইতে পারে না,” তাহার অঙ্কু করণে আমরা কি বলিতে পারি না, “পাশ্চাত্য মেয়ের ইয়ারিং দুল আদি ব্যবহার করে বলিয়া প্রাচ্য মেয়েদের নখবেশর প্রভূতিকে অসভ্যতর মনে করা যাইতে পারে না ?” নাকের গয়না সম্বন্ধে আরো একটা কথা বলা দরকার । “গহনা" প্রবন্ধে ঐআন কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায় দেখাইয়া ছেন, যে, প্রাচীন ভারতে, অস্তুতঃ খৃষ্টীয় জুয়োদশ চতুর্দশ ], শতাব্দী পর্যন্ত, নথ বেশর নোলক বা অন্ত কোন নাকের গয়না প্রচলিত ছিল না। স্বতরাং ইহা মনে করা যাইতে পারে, যে, উহা ভারতীয় আর্য্যদের উদ্ভাবিত বা ব্যবহৃত অলঙ্কার নহে, অন্য কোথাও হইতে আমদানী। পৌত্তলিকতা সম্বন্ধেও দু-একটা কথা বলি। আমি মূৰ্ত্তিপূজা বিস্ব মূৰ্ত্তির সাহায্যে পূজা করি না। কিন্তু সেই কারণে, যাহারা তাহ করেন, উগ্ৰহণদের চেয়ে নিজেকে শ্ৰেষ্ঠ মনে করি না। মৃত ও জীবিত অনেক মূৰ্ত্তিপূজক বা মূৰ্ত্তির সাহায্যে পুঞ্জকের বিবয় অবগত আছি, ধাহীদের সাধুত ও ভক্তি শ্রদ্ধার উদ্রেক করে । মূর্তিপূজৰম্বের কোন পুজামুষ্ঠানে বীভৎস বা নীতিবিগর্হিত কিছু থাৰিলে তাহ অবহুই সাতিশয় নিমনীয় । তান্ত্রিকদের, কাপালিকদের কোন কোন ক্রিয়াকলাপ, দক্ষিণ ভারতের দেব দাসী উৎসর্গ প্রথা এই শ্রেণীভুক্ত। কিন্তু সে সব অহুষ্ঠান বাদ দিলে হিন্দুদের মূৰ্ত্তিপূজা, রোমান ক্যাথলিক দের মূৰ্ত্তিপূজার সদৃশ। ক্যাথলিকদের মধ্যে পাদরীর কাছে পাপ স্বীকার, আগেকার সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের মঠ, প্রভৃতি সম্পর্কে কুৎসার কথা ইতিহাসে লেখা আছে। কিন্তু এই সকলের জন্য পাশ্চাত্য জাতিদিগকে শ বা আর্চার অসভ্য বলেন নাই। পাশ্চাত্য বলিতে প্রধানতঃ ইউরোপ ও আমেরিকার লোকদিগকে বুঝায় । খৃষ্টিয়ান বলিয়৷ পরিচিত লোকদের সংখ্যা ইউরোপে ২৭,৪৭,৬•,• • • । তাহার মধ্যে ১৮.১৭,৬০,• ০০ অর্থাৎ দুই তৃতীয়াংশ" ক্যাথলিক স্বতরাং মুর্তিপূজক । উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় খৃষ্টিয়ান বলিয়া পরিচিত লোকদের সংথ্যা ১৩,৯৬,••,••• তাহার মধ্যে অর্থাৎ অৰ্দ্ধেকের উপর ক্যাথলিক অর্থাৎ মূর্তিপূজক স্বতরাং দেখা যাইতেছে, পাশ্চাত্য জাতিদের অধিকাংশ লোক মূর্তিপূজক। তাহ। সত্ত্বেও যদি পাশ্চাত্যের অসভ্য বলিয়। পরিগণিত না হয়, তাহা হইলে হিন্দুরাই বা পৌত্তলিক বলিয়া অসভ্য: বিবেচিত কেন হইবে ? মূৰ্ত্তির পূজা অপেক্ষা জঘন্ত পৌত্তলিকতা টাকার পূজা ও সাম্রাজ্যবাদের পূজা । তাহ পাশ্চাত্য জাতিদের খুৰ अॉ८६ ॥ గి, రిమో, •,• * *