পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ)1.] , কেবল মন খুজিয়া বেড়াইলে তাহ সব দেশেই খুব বেশী পাওয়া যাইতে পারে। দেখিতে হইবে, কোন দেশের সভ্যতার আদর্শ ও লক্ষ্য কি। তাকুসারে বিচার করিলে মানব-জাতির মধ্যে হিন্দুদের স্থান নীচে হইবে না। পাশ্চাত্য জাতির পরের দেশ দখল ও তাহাদের ধন প্রাণ মান স্বাধীনতা হরণ করিয়া সাম্রাজ্যের ও ঐশ্বর্ঘ্যের অহঙ্কার করা গৌরবের বিষয় মনে করে। হিন্দুরা কখন পরদেশ জয়, লুণ্ঠন, উপনিবেশ স্থাপন প্রভৃতি করে নাই, বলিতেছি না । কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ ও ধন পুঞ্জীভূত করা তাহাদের সভ্যতার আদর্শ ছিল না, এখনও নাই। সত্যের উপলব্ধি, জ্ঞান আহরণ, আত্মার উৎকর্ষ সাধন, তাহাদের সভ্যতার লক্ষ্য। যে-শ্রেণীর লোকদের জীবনের ইহাই প্রধান সাধনা, হিন্দু জৈন ও বৌদ্ধদের সমাজে তাহাঁদেরই প্রধান স্থান, অন্য কাহারও নহে। এই আদর্শের বিকৃতি খুব হইয়াছে, হইতেছে, কিন্তু অমুসরণও খুব হইয়াছিল, এখনও কিছু হইতেছে। পাশ্চাত্য সমাজে এরূপ আদর্শের কোন লোক নাই, বলিতেছি না। কিন্তু সেরূপ আদর্শ পাশ্চাত্য সমাজব্যবস্থার অস্থিমজ্জাগত নহে। পাশ্চাত্য ৪ ভারতীয় সভ্যস্থার তুলনা করা আমার উদ্বেগু নয় ; তাহা করিবার মত যোগ্যতার দাবী আমি করি না । এখানে কেবল এই কথা বলিতে চাই, বঙ্গের প্রতি গবন্মেন্টের অবিচার Jes যে, আমাদের আদর্শ পাশ্চাত্যদের আদর্শের চেয়ে থাট নয়। কোন জাতি বিজাতির বিদেশীর সহিত কিরূপ ব্যবহার করে, তাহ] তাহার সভ্যতা পরখ করিবার একটা কষ্টপাথর। পাশ্চাত্য জাতির বিস্কেশের বিজাতিকে পরাজিত করিয়া হয় তাহদের উচ্ছেদ করিয়াছে, নয় তাহাদিগকে অধীন রাখিয় তাহাদের শ্রম ও ধল অক্সিসাং করিয়াছে এবং শোধিত বা অপহৃত ধন স্বদেশে আনিয়াছে। হিন্দুরা চম্পা, কাম্বোজ, জাভা, স্থমাত্রাদিতে উপনিবেশ ও সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছিল, কিন্তু তথাকার আমি নিবাসীদিগের উচ্ছেদসাধন করে নাই, তাহদের ধন ভারতবর্ষে লইয়া আসিয়। তাহদিগকে বৰ্ব্বর দরিদ্র অবস্থায় রাখে নাই। তাহাদিগকে সভ্য করিয়া,তাহাদের শক্তির বিকাশ করিয়া তাহাদিগকে এরূপ স্থাপত্যভাস্কার্য্যাদি কান্তি স্থাপন করিতে হিন্দুর সমর্থ করিয়াছিল, যাহা দেখিয়া এখনও পাশ্চাত্যের বিস্থিত হয়, এবং যাহার তুলন। হিন্দুদের মাতৃভূমি ভারতবর্ষেও নাই। শ্বেত পাশ্চাত্য জাতিরা ত অনেক অশ্বেত অসভ্য জাতিকে অধীন করিয়াছে, কিন্তু তাহারা তাহদের অধীন এমন একটিও অশ্বেত জাতি দেখাইতে পরিবে কি যাহার তাহাদের প্রভাবে সভ্য হইয় এমন কিছু করিয়াছে যাহাতে জগৎ বিক্ষিত হয় এবং যাহার তুলনা শ্বেতর্জাতিদের নিজের দেশে মিলে না ? বঙ্গের প্রতি গবন্মেণ্টের অবিচার স্ত্রী রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সমগ্র ভারতের কংগ্রেস কমিটি গত বোম্বাইয়ের জধিবেশনে কতকগুলি প্রস্তাব ধাৰ্য্য করেন । তাইরি একটি এই, যে, প্রত্যেক প্রদেশের হিন্দুদের ও মুসলমানদের সংখ্যা যত, আবশ্বক বোধ হইলে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় তাহাদের প্রতিনিধির সংখ্যা তাহদের সেই (লোক ) সংখ্যার অনুপাতে নির্দিষ্ট থাকিবে । অর্থাৎ, দৃষ্টাৰশ্বরপ, যদি কোন প্রদেশে মুসলমানদের সংখ্য স্থি ब लड़खन इय़, उाश इहे८गभूगणमान ॐडिनि*ि** সংখ্যা হিন্দু প্রতিনিধিদের সংখ্যার দেড়ও হইবে, हेश হইতে দেখা যাইতেছে, যে, ভারতবর্ষের প্রধান দুটি_° সম্প্রদায়ের লোকসংখ্যা অনুসারে তাহণের প্রতিনিধির সংখ্যা:নির্ধারিত হওয়া উচিত, ৰংগ্রেস কমিটি এই নীতির • هس-۹۹ সমর্থন করেন। যদি এক এক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির সংখ্যা তাহাদের লোকসংখ্যার অনুপাতে নির্দিষ্ট হয়, তাহ। হইলে এক এক প্রদেশের সকল সম্প্রদায়ের লোকসংখ্যার সমষ্টি অনুসারে, অর্থাৎ এক এক প্রদেশের মোট লোকসংখ্যা অনুসারে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রাদেশিক প্রতিনিধিদের সংখ্যা নির্দিষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু - বর্তমানে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রাদেশিক প্রতিনিধি দের অর্থাৎ নির্বাচিত সভ্যদের সংখ্য বেরূপ আছে, তাহা, প্রাদেশিক লোকসংখ্য অনুসারে নির্দিষ্ট হয় নাই। নীচে ১৯২১ সালের সেন্সল অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের লোকসংখ্যা এবং ভারতীয়দের প্রতিনিধির গণ্য দেশান হইতেছে।