পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] আমরা যদি বঁffচতে চাই, তাহা হইলে মাটির সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন একান্ত আবর্তম্বু মফঃস্বলের দুইচারি কথা আমি কলিকাতার মানুষ নহি, মফঃস্বলেই আমার বাড়ী; কিন্তু প্রথম : ছাত্ররূপে, এবং তাহার পর বিষয়কৰ্ম্ম উপলক্ষ্যে আমাকে জীবনের অধিকাংশ সময় কলিকাতাতেই কাটাইতে হইতেছে। এইজন্য যদিও আমার অবসর অত্যস্ত কম, যেীবনস্থলভ শক্তিও নাই, তথাপি ৰtংtয়৷ আমাকে বঙ্গের নান স্থান দেখিবার সুযোগ দিয়াছেন, তাহাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা অচুভব করি এবং জানাইতেছি । রেঙ্গুন হইতে ফিরিয়া আসিবার পর আমি মেদিনীপুর জেলার বঙ্গসাহিত্য-সন্মিলনীর অধিবেশন উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর গিয়াছিলাম। এই সম্মিলনীর কাজ অনেক বৎসর ধরিয়া নিয়মিতরূপে চলিয়। আসিতেছে, এবং ইহার একটি মাসিক কাগজ ও আছে। সম্মিলনীর কৰ্ম্মীর প্রশংসাভাঞ্জন। উহার অধিবেশন উপলক্ষ্যে কোন কোন কৰ্ম্মী যাহা বলিলেন, তাহাতে মনে হইল, র্তাহার কাজ চালাইবার জন্য যথেষ্ট টাকা পান না । অথচ মেদিনীপুরে অল্প অল্প টাকা দিবার লোক যথেষ্ট আছেন। সম্মিলনীর মাসিক পত্রটির ৪ অনেক গ্রাহক হওয়া উচিত । কেন ন}, মেদিনীপুর বেশ বড় জেলা। যে-জেলায় প্রাতঃস্মরণীয় বিদ্যাসাগর মহাশয় জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন, যাহা ভক্তিভাঞ্জন রাজনারায়ণ বস্ব মহাশয়ের কার্য্যক্ষেত্র ছিল, তথায় সাহিত্যাকুরাগী লোকের অভাব হওয়া উচিত নয়। অধিবেশন উপলক্ষ্যে দেখিলাম, জেলার ইংরেজ ম্যাজিষ্ট্রেট নিমন্ত্রত হইয়া উপস্থিত ছিলেন। তাহার বসিবার জায়গ। অন্য সকল শ্লোতাদের মধ্যে ন হইয়া সভাপতি, সম্পাদক প্রভৃতির জন্য নির্দিষ্ট মঞ্চে হইয়াছিল। তিনি বেশ সৌজন্যের সহিত কয়েক ঘণ্ট। ধরিয়া বক্তৃত এবং প্রবন্ধ কবিতাদি পাঠের শেষ পৰ্য্যস্ত বলিয়াছিলেন। আমি তাহাকে বলিয়াছিলাম, তাহার ধৈর্ধ্য প্রশংসনীয়। র্তাহার ব্যবহার ভদ্রলোকের যেমন হওয়া উচিত, তেমনই হইয়াছিল । সে বিষয়ে আমার কিছু বলিবার নাই। প্রকাশু সব রকম সভাতে সকল লোকেরই নিমন্ত্রণ হইতে পারে, হওয়াও উচিত। যে-সম্ভার যাহা কাজ, সে বিষয়ে উৎসাহী লোকের জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে বিশেষ সূক্ষ্মীনও আৰিধেয় নহে। কোন हे९८ब्रहछद्र यांशलां गांश्छिI अष्ट्रब्रांशं uय६ ऊविश्ब्रक खांम ও কৃতিত্ব থাকিলে বাংলাসাহিত্যবিষয়ক সভাতেও র্তাহার বিশেষ স্থান থাকা যুক্তিযুক্ত হইতে পারে। কিন্তু ج جة مسيو বিবিধ প্রসঙ্গ—মফঃস্বলের দুইচারি কথা ♥ጏግ এই মজিষ্ট্রেটির তাহা আছে কি না, জানি না। শুধু ম্যাজিষ্ট্রেট বলিয়া বাংলাসাহিত্যসভায় কাহারও বিশেষ নিমন্ত্রণ বা সম্মানের কারণ নাই। একজন বক্ত নিমন্ত্রিত ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রভৃতির অনুপস্থিতি এবং ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি লক্ষ্য করিয়৷ এই মর্শ্বের কথা বলিয়াছিলেন, যে, *দেশী হাকিমরা দেখুন, এই সভা সিডিগুস্ িনহে, স্বয়ং ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত আছেন।” তাহাতে আমার মনে झ्हेब्रश्ञि, उत्रु कि शाबिहे गभूत कार्याक्जाश्र বক্তৃতাদি নির্দেবি হইতেছে কি না তাহ! সাক্ষাৎ তাবে জানিবার জন্য কিম্বা স্বীয় উপস্থিতির প্রভাব দ্বারা নির্দোষ রাথিবীর জন্য সভাস্থলে উপস্থিত আছেন ? ইহাও মনে হইয়াছিল, যেমন গোবর জল ছড়া দিয়া অশুদ্ধ স্থানকে শুদ্ধ করা হয়, তেমনি আমাদের মত লোকদের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক হিসাবে অশুদ্ধ স্থানকে ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি দ্বারা শুদ্ধ করা হইয়া থাকিবে । আমি মৌখিক যাহা বলিয়াছিলাম, স্থানীয় কলেজের একজন অধ্যাপক তাহা সঙ্গে সঙ্গে লিখিয়া লইয়াছিলেন । মোটের উপর ঠিকৃই লিখিয়াছিলেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক মহাশয়ের বেশ ক্ষমতা আছে। মেদিনীপুর ইষ্টতে ফিরিয়া আসিবার কিছু পরে পাণ্ডুয়ার নিকটবৰ্ত্তী ইলসোব-মোগুলাই ইংরেজী বিদ্যালয়ের পারিতোষিক বিতরণ উপলক্ষ্যে সেখানে গিয়াছিলাম। গ্রাম দুটি দেখিয়া কষ্ট বোধ হইয়াছিল। আগে তথাকার লোকদের অবস্থা ভাল ছিল বোধ হয়। এখন পুরাতন বেমেরামত বাড়ী ও অংসস্থত, পানায় আচ্ছাদিত ছোট বড় পুকুর যিস্তর। তা ছাড়া, আগাছা ও জঙ্গল সৰ্ব্বত্র। দুটি নলকূপ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় গ্রামের লোকদের ভাল পানীয় জল পাইবার স্ববিধা হইয়াছে। গ্রাম ফুটির এইরূপ অবস্থা সত্ত্বেও, বাঙালী জাতির শিক্ষামুরাগ প্রবল বলিয়া এখানে গ্রামবাসীরা একটি উচ্চশ্রেণীর ইংরাজী বিদ্যালয় চালাইতেছেন। তাহার ছাত্রসংখ্যা একশতের কিছু বেশী। ছাত্ৰবেতন বেশী নয়। বিদ্যালয় সরকারী সাহায্যও অধিক পান না। তথাপি যে স্থানীয় লোকেরা ইহা চালাইতেছেন, ইহা তাহাজের পক্ষে ও শিক্ষকদের পক্ষে বিশেষ প্রশংসার কথা। বিদ্যালয়ের পাকা বাড়ীও নিৰ্ম্মিত হুইয়াছে। শিক্ষাডিরেক্টর ওটেন সাহেবের মত এই, যে, ছোট ছোট আর্থিক অসচ্ছলতাগ্রস্তু অনেক ইস্কুল থাক। অপেক্ষ সেন্ধপ অনেকগুলা উঠাইয়। দিয়া বড় বড় কতকগুলি ইস্কুল রাখা উচিত। আমাদের মত সেরূপ নয়। ষে সব ইস্কুলে ছাত্র অনেক বেশী, আমাদের দেশে সেসব ইস্কুলে ছাত্রের ব্যক্তিগত ভাবে শিক্ষকদের নিকট আবশ্যকমত - উপদেশ, পরামর্শ श्रृंोच्च मा १ cशंक्ने हेब्रुण उश्। जसरु । अङगझै cइझै