পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f \రి$ প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩৪ { ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাদের মনঃশরীর আছে এই মনঃশরীরের প্রকৃতিতে সাধারণতঃ যে একটি প্রভেদ আছে, তার সত্তা নির্ণয় না ক'রেও তাকে বুঝতে বাধে না। স্ত্রীপুরুষ পরস্পরকে যে প্রার্থনা করে তার মধ্যে মনঃশরীরের এই গভীর আহবানটি বড় কম নয়। এখানে তাদের মধ্যে যে মিলন হয় সে মিলনেও স্বই-শক্তিকে জাগরুক করে। সমাজ-ব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা ধৰ্ম্মতন্ত্র গঠন,অৰ্থ অর্জন, তত্ত্বাম্বেষণ, জ্ঞান ও কৰ্ম্মের যোগসাধন, ভাবকে রসকে রূপদান প্রভৃতি নানা উদ্যোগ নিয়ে মানব-সভ্যতাকে স্বষ্টি ক’রে তোলা মুখ্য ভাবে পুরুষের দ্বারা ঘটেচে। এই স্বষ্টি কাৰ্য্যে মেয়েদের ব্যক্তিরূপের যে প্রভাব সে হচ্চে পুরুষের চিত্তকে গৌণ ভাবে সক্রিয় ক’রে তোলা। আমাদের দেশের জ্ঞানীর গ্রী-পুরুবের মনোমিলনের এই রহস্তকে স্বীকার করছেন তাই মেয়েদের বলেচেন শক্তি অর্থাৎ জৈব-স্বষ্টিতে পুরুষের যে স্থান মানসসৃষ্টিতে সেই স্থান মেয়েদের । “য়ুরোপের মতো দেশে যেখানে মেয়েরা সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকে সেখানে পুরুষদের কৰ্ম্মোদ্যমের মধ্যে মেয়েদের এই প্রাণ-সঞ্চারিণী শক্তি ব্যাপকভাবে কাজ করে। যেখানে সমাজে সেই ব্যবস্থা নেই সেখানে মেয়েদের দুই ভাগ করেচে-গৃহধৰ্ম্মচারিণী ও শক্তিসঞ্চারিণী। তারা পৃথক হ’য়ে আছে। " “পুরুষ নারীর কাছে থেকে কেবল যে সেবার আনন্দ চায় তা নয়, তার কাছ থেকে প্রেরণ। চায়। গৃহ-ব্যবস্থার মধ্যে যে শাস্তিময় স্বশোভন স্থিতি, পুরুষের আরামের জন্তে তার যতই দরকার হোক, পুরুবের কৰ্ম্ম-সাধনার পক্ষে -এ . যথেষ্ট নয়, যে আন্দোলনে তার সমস্ত প্রকৃতিকে উদ্যত ক’রে তোলে, বিচিত্ৰ কৰ্ম্ম-চেষ্টার পৌরুষ প্রকাশের জুহু সেটা তার অত্যাবস্তক " আমি বল্লাম, “কিন্তু এ প্রেরণা দেওয়াটা কি কেবল অসাধারণ নারীর পক্ষেই সম্ভব নয় ?” —“না তা নয়। একথাটার আলোচনা প্রথমেই হ’য়ে •গেছে। মেয়েরা যে রহস্যময় আকর্ষণে পুরুষদের চিত্তকে টানে তাকে ইংরেজিতে বলে charm, বাংলায় তাকে বলা যেতে পারে হলদিনী শক্তি। বস্তুত এ নামের স্বায়। অর্থ ব্যাখ্যা করা হ’ল না। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রাষ্ট্ৰীশক্তিকে সেইরকম ঝু যেমন ধ্বনিতে গদ্ধে উত্তাপে আলোতে স্পন্দনে কম্পনে বর্ণচ্ছুটায় মিলিত হ’য়ে একটা অপরূপ অতি সূক্ষ্ম জাল নিরস্তর বিস্তারিত ক’রে রেখেচে, যা আমাদের দেহ মন প্রাণকে অহরহ নানারকম ক’রে শিউরে দিচ্ছে, বাজিয়ে তুলচে, জাগিয়ে রাখচে, মেয়েদের হলাদিনী শক্তিও তেমনি, তাকে স্থূলরকম ক’রে নির্দেশ করা সহজ নয়। অনির্দিষ্ট হ’লেও তার প্রভাব প্রবল । স্ত্রী পুরুষের এই বিভাগের ভিতর দিয়ে জীবজগতের যে একট। প্রকাগু বেগের স্বষ্টি হয়েচে যে-সমাজ তাকে নানা প্রকার বাধীর দ্বারা প্রতিহত ক’বে দেয়, তার অপরিসীম প্রভাবের অধিকাংশকেই তুচ্ছতার বেড়ার মধ্যে পুধে রাখে, তারা থাকে আধমরা ত’য়ে পুরুষের জীবন-ক্ষেত্রে তারা মজুরী ক’রে কাটায়, স্বষ্টি করতে পারে না ।” আমি বললাম—“সমাজের অবস্থা যেমনই হোক ভারতবর্ষে গ্রীসে রোমে পুরুষের কৰ্ম্ম বে দুৰ্ব্বল ছিল এমন কথা তো বলা যায় না।” । কবি বললেন,"আমি সেই কথাটাই বলতে যাচ্ছিলাম। এই সকল দেশে সমাজে ব্যাপকভাবে স্ত্রী-প্রকৃতি আপন প্রশস্ত স্থান পায়নি ব’লেই পুরুষ আপন স্বভাবের অস্তনিহিত প্রয়োজনেই এমন একদল মেয়ের জন্তে একটি বিশেষ স্থান প্রস্তুত করেছিল যারা নহে মাতা, নহে কস্তা, নহে বধূ। খাদ্যের ভিতর দিয়ে আমাদের দেহ সহজ প্রকরণে নিজের প্রয়োজনীয় যে তাপ-পদার্থ আত্মসাৎ করে তার যদি অভাব ঘটে তাহ’লে দেহ আপনিই বিশেষভাবে কম্বল খুজে মরে। ঘরের স্বকীয় প্রয়োজনে প্রদীপ জেলে উকুন জেলে কাজ চলে, কিন্তু কেবলমাত্র প্রাণের আনন্দ সাধনের জন্য আকাশৰ্যাপী স্বৰ্য্যালোকের প্রয়োজন আছে। সেটা ব্যক্তিবিশেষের শিলমোহর করা আপন সম্পত্তি নয় ; সেটা সৰ্ব্বসাধারণের,এই জন্যেই প্রত্যেক ব্যক্তির। পাশ্চাত্য সমাজে সাধারণ পুরুষ-প্রকৃতির বিকাশের অকুকুল সেই নারীশক্তি সৰ্ব্বজ দণ্ড স্কাৰেই জাছে, সেখানকার পুরুষকে किछर्के फेलायकैण क'tग्न ८ब्रहर्षद्वक नििक्ष८5.८णश्iग्न श्रृङ्गिम् ।ेशiरं श्रेयः *ांश्* श् tव्tषtछ । ५षन्क्राब करनद्र १शब्लौनव्र कह*