পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やり鳥b" জিনিষ। তার কারণ এ নয় যে তাতে তোমার হৃদয়ের তৃপ্তিসাধন হয়, তার কারণ এই যে তাতে তোমার বুদ্ধিতে, তোমার কৰ্ম্মশক্তিতে তোমার প্রকৃতির সকল অংশেই পূর্ণতা সাধন হয় ।” আমি বললাম—“যখন কথা আপনি তুললেনই তখন এ বিষয়ে আমার মনে যে, দু-একটা প্রশ্ন প্রায়ই জাগে সেগুলি আপনার কাছে একটু খোলাখুলি ভাবেই বলি । “এই যে স্ত্রীর ভালবাসা বলছেন,সেটা কি বিবাহের পর প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায় না ?--বিশেষতঃ আমাদের দেশের বিবাহে পুরুষ যেখানে স্ত্রীর ভালবাসা পাবার চাইতে তাকে নিশ্চিন্ত ভাবে অধীনে রাখবার গৌরবটাই বেশী কাম্য মনে করে ? আমি ত আমার আত্মীয় বন্ধুয় ক্ষেত্রে অধিকাংশ বিবাহেরই য। শুষ্ক পরিণাম লক্ষ্য করেছি তাতে আমার মনে হয়েছে বিবাহের মধ্যে যে সম্পত্তি-ভোগের ভাবটা গ্রথিত আছে সেটা সত্যিকার ভালবাসার মস্ত অস্তুরায় না হ’য়েই পারে না। যাদের আমরা স্বামী হিসাবে সচরাচর উদারপন্থী বলে প্রশংসা ক’রে থাকি তঁদের মধ্যেও এই সম্পত্তি-ভোগের ভাবট। যে কি দৃঢ়মূল সে সম্বন্ধে একটি উদাহরণ দেব।

  • আমার এমনি একটি বন্ধু একদিন তার স্ত্রীকে আমার সাম্নেই বলেছিলেন, ‘তুমি অমুক যে জায়গায় যাবে ব’লে আজ বেরিয়েছিলে সেখানে গিয়েছিলে কি ?’ স্ত্রী বললেন যে, সেখানে তার যাওয়া হয়নি, অন্ত এক জায়গায় আগে যাওয়ার দরুণ। তাতে স্বামী বললেন, কিন্তু এ দ্বিতীয় জায়গায় যাওয়ার জন্তে তোমার আমার কাছে অল্পমতি নিয়ে বেরুনো উচিত ছিল ?

“এখন দেখুন, একথাটায় অধিকাংশ পুরুষই হয় ত সায় দেবেন যে স্ত্রীর কাছে এই অনুমতি চাওয়ার দাবী স্বামীর পক্ষে খুবই স্কায়সঙ্গত। কিন্তু তিনি স্ত্রীকে এই যে মৃদু খোচাটি দিয়ে জানিয়ে গেলেন যে, ‘স্ত্রীর ব্যক্তিचांउच्चा छिद्रकांलहें चाभौञ्च भग्नांब्र मॉन भॉछ, छद्मश्वश् नग्न'বিবাহের মধ্যে এই মনোভাবটি আমাকে বড় আঘাত করে । জানি না বিবাহের ক্ষেত্রে আমাদের এই দাবীদাওয়াকে আপনি অকিঞ্চিৎকর মনে করবেন কি না।” কবি বললেন,"ন্ত্রীর প্রতি আপন কর্তৃৎগৌরব সপ্রমাণ প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৪ AMMAeeeeAMMMAeAAASAASAASAASAAAS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড করবার স্বধটাকে পুরুষ যে আপন প্রাপ্য বলে মনে করে এটা আমাদের দেশে কেবল নয়, মূনাধিক সকল দেশেই । শরীর-তত্ব, বা মনস্তত্বঘটিত যে কোনো কারণেই হোক স্ত্রীলোককে জীবন-যাত্রা নিৰ্ব্বাহের জন্যে পুরুষের উপর নির্ভর করতে হয় । সেই কারণটাকে অবলম্বন ক’রে পুরুষ যথেচ্ছা তার দাম আদায় ক’রে নিতে চায়। পেটের দায়ে যে পুরুষ অন্য পুরুষের মুখ তাকাতে বাধ্য তাকেও সেই নির্ভরের পরিমাণে আপন স্বাতন্ত্র্য বিকিয়ে দিতে হয় —এমন কি তার চেয়েও অনেক বেশী। এই নিয়েই ত যুরোপে আজকাল ধনিকে শ্রমিকে হাতাহাতি চলচে । এবং সেই একই লড়াই আজকের দিনে সেখানে মেয়ে পুরুষে । অন্ত্রের দিক থেকে মেয়ের পুরুষদের কাছ থেকে যা পায়, মানস-ক্ষুধার দিক থেকে তারা যে পুরুষকে তার চেয়ে অনেক বেশী জুগিয়ে থাকে এই সূক্ষ্ম কথাটি বোঝবার শক্তি অল্প লোকেরই আছে,কেন না এটা চোখে দেখ বার জিনিষ নয়। প্রভুত্ব নিয়ে মাচুর্য বড়াই করে কেন না প্রভুত্ব বর্বরতার অঙ্গ, প্রভাব নিয়ে বড়াই করে না, সেটা গায়ের জোরের উপরের কথা ।” আমি বললাম, ”কিন্তু তাহলে কি বলা চলে না, যে, আমাদের দেশেই হোক বা অস্ত দেশেই হোকৃ সকল ক্ষেত্রেই নারীকে একান্তভাবে পাওয়াট। প্রেমের মস্ত चरुब्रांध्र ट्'cऊ दांशा ?” কবি বললেন, “বাইরের দিক থেকে পাওয়ার একটা বিপদ নিশ্চয় আছে, তা গভীরতর পাওয়াকে অনেক সমর স্নান করে। ইংরেজ ভারতবর্ষকে হস্তগত করেচে ব’লেই সেই বাহ শক্তির অহঙ্কারে ভারতবর্ষকে সৰ্ব্বতেভাবে জানা তার পক্ষে এত দুরূহ। নিজের অধিকারের দলিলে প্রমাণিত স্বত্বগুলির ফর্দ ধ’রে যে পুরুষ স্ত্রীর মূল্য যাচাই করে তার মধ্যে মানব-ইতিহাসের আদিম যুগের স্কুল বর্বরতা প্রবল হ’য়েই আছে ; সেই মানব মানসপৃথিবীর আফ্রিকাবাসী। কিন্তু, তাই বলেই বাইরের পাওয়াটাকে বাদ দিয়ে চলাই স্ত্রী-পুরুষের প্রেমের পরিপূর্ণত, এ কথাটা মিথ্যে । মানুষের আধ্যাত্মিক মাছুষের আধিভৌতিকের উপরের জিনিষ ব’লেই যে সে অধিভৌতিকের বাইরে তা নয়। আধিভৌতিককে যুখনি