পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] নিকটবর্তী সময়ে হইয়াছিল। ইহার পর অন্ততঃ একশত বৎসর অতীত হইলে তাহার জীবন চরিতে ধমের মাহাত্ম্য প্রচারিত হইয়াছিল। অতএব অনুমান হয়, লাউসেনী দ্বাড়া খ্ৰীষ্টের দশম এবং শকের নবম শতাব্দীর পূর্বে রচিত हम्न नाहे । বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষং হইতে প্রকাশিত এবং শ্ৰীযুত নগেন্দ্রনাথ বস্থর সম্পাদিত “শূন্ত পুরাণ" ধে বস্তুতঃ ধর্মের গান, একখানি বই নয়, ছয়খানি পুর্থীর সমষ্টি, তাহা পরিবৎ পত্রিকার ষোড়শ ভাগে ( ১৩১৬ সালের ) দেখাইয়াছি । কোন কালের কোন কোন গায়নের টুকুর টুকরা পালা একত্রে হইয়া গিয়াছে, কে জানে। কৃত্তিবাসের নামে বেমন অনেক গায়ন পাল বাধিয়াছিলেন, এখানেও তেমন রামাই পণ্ডিতের নামে অনেক গায়নে পাল বাধিয়াছিলেন । অপুত্ৰক হরিচন্দ্র রাজা ও মদন রাণী ( বোধ হয় ) পুত্র লাভের পর ধমের দেউল ও ঘটায় পূজা দিয়াছিলেন, ইহা এই গানের মুখ্য বিষয় ছিল, একাধিক গায়নের একাধিক পালায় তাহা সংক্ষেপে বর্ণিত হইয়াছে । এই পূজার সময় রামাই পণ্ডিত ছিলেন মনে হয়। কিন্তু তাহার এতকাল পরে গানের উৎপত্তি যে লোকে পুবের ইতিহাস ভুলিয়া গিয়াছিল, গায়নে কখনও রামাইকে দিয়া পূজা এবং কখনও গান করাইতেন। কবিকথা কখনও ইতিহাস নয়। ইহা গীতবদ্ধ শ্রুতি-পরম্পরা। ইহার ধম ই এই, ইহাতে দেশ কাল পাত্রের প্রকৃত সম্বন্ধ মিশ্রিত হইয়া যায়। মূল “শুন্ত পুরাণের সময়ে পাচ পণ্ডিত বিখ্যাত হইয়াছিলেন। শ্বেতাই, নীলাই, কংসাই, রামাই, গোসাঞি । এই পাচজনের মধ্যে রামাই ও গোসাঞি পরে লাউসেনী দাড়ায় স্থান পাইয়াছেন, অন্ত তিন পণ্ডিত পান নাই। ইষ্ঠার রামাইর বহু পূববর্তী, সত্য ত্রেতা দ্বাপর যুগের বিবেচিত হইতেন । শ্বেত, নীল, কংস বা কাংস্ত নাম দেখিয়া শ্বেত নীল পীতবর্ণ মনে করিবার হেতু নাই। মনঃকল্পিত হইলে শ্বেত, রক্ত বা তাম্র, পীত, নীল এই পৰ্য্যায় হুইত, পঞ্চমেরও স্থান হইত না। ধর্মমঙ্গলের কবিকুলে কত রাম নামের গায়ন জন্মিয়াছিলেন। খেলরাম, সাঁতারাম, ঘনরাম, রপরাম, মাণিকরাম ইত্যাদি ধমের গঢ় কতকালের ". ৬৪৩ м.................................... ч পাইয়া মনে করা যেমন, রামাইকে রাঙ্গাই মনে করাও তেমন। রামাই তাম্ৰ দিয়া “পণ্ডিত” করিতেন, সে বিধি এখনও চলিয়া আসিতেছে। কে छाप्न नौलोहे cजोश् निम्नां, cशङांझे ८ब्रोभा निघ्ना, ४ाद६ ংসাই কাংস্ত দিয়া দীক্ষা দিতেন না, কিংবা তাই দেৱ প্রকৃত নাম এই ছিল না। কাসার ও লোহার তাগা ও বালা ‘লোকে পরিত। সে যাহা হউক, তাইরি। এই এই নামেই রামাই ও গোসাঞির পূবে প্রসিদ্ধ হইয়াছিলেন । লাউসেনের সময়ে রামাই ও গোসাঞি ছিলেন কি ? ঘনরামের মতে ছিলেন। কিন্তু এট। যে ভুল, তাহ সহজেই বুঝিতে পারা যায়। তখন গোসাঞি পণ্ডিতও ছিলেন না ; তাইrর পুজা-পদ্ধতি কিন্তু চলিতেছিল, এবং তাহার প্রমাণে সামুল প্রথমে রঞ্জাবতীকে এবং পরে লাউসেনকে ধমের ব্রত শিখাইয়াছিলেন। অতএব খ্রষ্টের নবম শতাব্দীর পূবে গোসাঞি এবং গোসাঞির পূবে রামাইর আবির্ভাব হইয়াছিল। গৌড়েশ্বর ধমপালের সহিত রামাইর কাল-সম্বন্ধ কল্পনার হেতু নাই । রামাই ও গোসাঞির নিবাস কোথায় ছিল, কোথায় হরিচন্দ্র রাজা ধমের দেউল তুলিয়াছিলেন, এবং কোথায় রঞ্জাবতী পুত্র-লাভের আশায় লৌহ কণ্টকের উপর শূইয়াছিলেন । রামাই পণ্ডিতের জন্ম ও দীক্ষা সম্বন্ধে এক আখ্যায়িকা আছে, "শুপ্ত পুরাণের ভূমিকায় প্রযুত বস্ব জ। মহাশয় উদ্ধত করিয়াছেন । তাহাতে দেখি, তিনি ব্রাহ্মণ-সস্তান ছিলেন। সে ব্রাহ্মণ শ্রোত্রির, কি স্বাত কি শাকদ্বীপী ছিলেন, তাহা জানা নাই। কিন্তু ব্রাহ্মণ ছিলেন, নইলে গানের ভণিতায় দ্বিজ রামাই বলিতে পারিতেন না। তাইার পৈত্রিক বাস ভাব্লিকপুরীতে। পাঁচ বৎসর বয়সে তাহার পিতৃবিয়োগ হয় ; তাইকে ধর্মঠাকুর পালন করেন, এবং যথা বয়সে তাম্রদীক্ষা দেন। তখন তিনি ধমের পণ্ডিত হইয়া ধর্মপূজা প্রচার করিতে থাকেন। বংশ না থাকিলে কে তাইার পর পণ্ডিত হইবেন, এই চিস্তায় তিনি বৃদ্ধ বয়সে এক কঙ্কা বিবাহ করেন। এই কন্যার জাতিকুল লেখা নাই।