পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] প্রকাশিত হইয়াছিল, পূর্বকালের লোকেরা জানিত । ঘনামের সময়ে, কিংবা ভাইর গর, ময়ূরভটের সময়ে সেসব কাহিনী ক্ষীণ পড়িয়াছিল,কেহ গানে বাধিয়া রাখে নাই, কিংবা রাখিয়াছিল আমরা পাই নাই। ধর্মঠাকুর ব্রাহ্মণের পূজ্য হইগে সে-সব কাহিনী সংস্কৃত পুরাণে প্রবিষ্ট হইত, কিংবা উপপুরাণের সংখ্যা বৃদ্ধি করিত। তথাপি পরম্পরায় ভোজ মহারাজা, ধমের আদ্য পূজা, মহারাজার যোগ্য ঘটায় দিয়াছিলেন । ধূপদত্ত মাণিক দ্বীপের মাঝে ধমের দেউল দিয়াছিলেন ; হরিচন্দ্র রাজা জ্যেষ্ঠ পুত্র বলি দিয়াছিলেন ; সদা ডোমের ঘরে ব্রাহ্মণ অতিথি-র পে ধম। দেখা দিয়াছিলেন, আসাই চণ্ডালের সিঙ্গান ধানের অঙ্কুর জন্মিধাছিল ; ইত্যাদি । অকিঞ্চনের ভক্তি ও তাহার প্রতি ভগবানের কুপ। যতই হউক, রাজা মহারাজার ডক্তি, বিশেষত: তাহার বাহ ৰহ মূল্য নিদর্শনলোকের চোখেওকানে শীঘ্ৰ পইছে ; এই হেতু হরিচন্দ্র ও লাউসেন স্মরণীয় হইয়া রহিয়াছেন । ভোজরাজা এত পুরাতন যে লোকে তাহার কীতি ভুলিয়া গিয়াছিল । হয়ত বা “শূন্ত পুরাণের” “আদ্য ভূপতির”ধমের দেহারা নিমাণে তিনি লক্ষ্য হইয়াছিলেন। তিনি নিশ্চয় রাঢ় অঞ্চলের রাজা ছিলেন। মাণিক দ্বীপই বা কোথায় দ্বীপ অর্থে জল-পরিবেষ্টিত ভূ-থও নয় । নিম্ন ভূমির মধ্যে উচ্চ ভূ-খণ্ডের নামও দ্বীপ ছিল। এখন তাহা ডিস্থ । হরিচন্দ্র রাজার সময়ে রামাই ছিলেন বলিয়। বোধ হয় । তিনি কখন কোন ভূখণ্ডের রাজা ছিলেন ? ভবঘুর্যের চিঠি ○8む ময়না শব্দ যাহাতেই যুক্ত থাকুক, ‘মদন ভিন্ন আর কিছু নয়। ময়নাপুর কি মদন রাণীর স্থাপিত ? ময়ুনাগড় কি হরিচন্দ্র রাজার নিজ গড় ? আশ্চর্য, ময়নামতী গানের ময়নামতী, মদনাবতী ; আবার, শূন্ত পুরাণে মদনাযুবতী। সে-গানের ওড়িয়া সংস্করণে হরিচন্দ্র রাজা আছেন ; আর ধাড়িচন্দ্র যে হরিচন্দ্র নহেন, তাহাও নির্ভয়ে বলিবার জো নাই। শূন্য পুরাণেও দেখিতেছি, ধমপূজার যজ্ঞে মীননাথ, (হাড়ী) সিদ্ধা, চৌরঙ্গিনাথ ভোজন করিয়াছিলেন। আরও আশ্চর্য, ইতিহাসে লেখে, ধমপালের রাণীর নাম রঃ| দেবী। তিনি সাধুভাষায় রঞ্জ হইয়া পড়েন । এই রপ, কার স্কন্ধে করি মুণ্ড যোজিত হইয়াছে, কে জানে। তবে বুঝি, ভাগ্যে, সেকালের লোকে গায়নের গান শুনিত, ঠাকুর-দেবতায় ভক্তি করিত, তাই আমরা একালে প্রাচীন মন্দিরের ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত দুই এক টুকৃরা ভাঙ্গা ইটদেখিতে পাইতেছি । নিরঞ্জন-করতারের ভক্ত রামাই ধন্ত, যিনি ছত্রিশ জাতিকে তাম্ৰ দিয়া, ব্রহ্মণের অবজ্ঞাত অস্পৃশু পরিত্যক্ত জাতিকে হাতে ধরিয়া তুলিয়া লইয়াছিলেন । আমরা তাইার মহত্ত্ব এখনও বুঝিতে পারি নাই ; তিনি ব্রাহ্মণ কি বাইতি ছিলেন, সে বিচারে বসিয়া গিয়াছি। তিনিও হঠাৎ আবির্ভত হন নাই। তাহার পূর্বে অন্তত: তিনজন পণ্ডিত জন্মিয় পতিতের কানে নিরঞ্জনের নাম শোনাইয়াছিলেন। তাইদের সম্বন্ধে কিছুই জানি না, কেবল এইটুকু বুঝতেছি, ধমের গান বহু, বং, কালের। ভবঘুর্যের চিঠি মার্কিনে ভারতবাসীদের পেীর অধিকার রক্ষার জন্ম যতদূর করা সম্ভব, তাহা করিয়া আমার স্ত্রী ও আমি ২২শে ফেব্রুয়ারী ( ১৯২৭) তারিখে নিউইয়র্ক হইতে নর্থ জাৰ্ম্মান লয়েড কোম্পানীর "বালিন” নামক জাহাজে ইউরোপ যাত্রা করিলাম। ইতিপূৰ্ব্বে আমরা বালিন জাহাজে একবার ফ্রান্সের সেরবুর্গ বন্দর হইতে নিউ ইয়র্কে わア&ー→\う গিয়াছিলাম ; জাহাজের কাপ্তেন, প্রধান ষ্টুয়াড ও ডাক্তার আমাদের বিশেষভাবে জানিতেন। কাজেই আমাদের বিশেষ খাতির করিয়া যাহাতে কোন প্রকারের কষ্ট না হয় তাহার জন্য যত্ন করিয়াছিলেন। নিউইয়র্ক হইতে ইউরোপ ধাত্রা করিবার সময় আমার স্ত্রীর ব্ৰঙ্কাইটিস অস্বথ ছিল, সমুদ্রের হাওয়ায় ২৩ দিনের মধ্যে অনেক উপকার হইল।