পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ব-সৃষ্টির রূপ• ঐ নিখিলরঞ্জন সেন অঞ্জকার রাত্রিতে আকাশ পরিষ্কার থাকিলে তাহার গায়ে অসংখ্য জ্যোতিঃকণার সমষ্টি দেখিয়া মনে হয় ব্ৰহ্মাও কি প্রকাও ! পৃথিবীর উপর কয়েক হাত জমি আমাদের বাসের পক্ষে যথেষ্ট। দুই তিন ক্রোশ পথকে ; দূর বলিয়াই মনে হয় এবং তাহার বেশী হইলে রেলগাড়ী, মোটরগাড়ী ন হইলে স্থান পরিবর্তন দুঃসম্ভব হইয়া উঠে। এখনও একদেশ হইতে অন্যদেশ আমাদের নিকট বহুদূর বলিয়াই বোধ হয়, এবং যাতায়াতে মাসাধিক কালও লাগিয়া থাকে ক্ষুদ্র কয়েক হাতই দূরত্বের পরিমাণকালে আমাদের মাপকাঠি। ইহার সাহায্যে পৃথিবীর গা মাপিয়া বলি তাহার পরিধি বা বেড় ২৪••• মাইল । তখন ভারি চার পয়সার পোষ্টকার্ড যে এক মাসের মধ্যে ইহার অৰ্দ্ধেক পথ চলিয়া মানুষের পরম্পরের মনের ভাব পরস্পরকে জানাইয়া দেয় তাহ মানুষের অসীম বুদ্ধিশক্তি ও কাৰ্য্যতৎপরতার পরিচায়ক । আজকাল রেডিওর প্রেসাদে একদেশের বাৰ্ত্ত মুহূর্ভে অন্যদেশে চলিয়া যায়। ইহা অপেক্ষা দ্রুতগামী বাহন আর কিছু আছে বলিয়া আমরা বিশ্বাস করি না। তাই জ্যোতিৰ্ব্বিদ যখন বলেন যে, এই দ্রুত-বাহন ও নিকটবর্তী কোন তারার খবর আমাদের নিকট পৌছাইয়া দিতে অনেক বৎসর লাগাইয়া দেয় তখন ব্ৰহ্মাও যে প্রকাও তাহাতে সন্দেহের কারণ আর কি আছে ? কিন্তু মানুষ বড়কে বড় এবং ছোটকে ছোট বলিয়াই ক্ষাস্ত হয় না। বড় হইলেও কত বড়, এবং দুইটি বড় বস্তুর তুলনা করিয়া একটি অপরটির কত গুণ বড়, তাহ। না বলিলে উহাদের সম্বন্ধে কোন স্পষ্ট ধারণ আমরা

  • জাতীয় শিক্ষাপরিবদের ছাত্রসঙ্গে, বদৰপুর বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটে গঠিত।

---.. ه. ش. تعدم هم به همینیم. همه করিতে পারি না। অনেক বড় বস্তুর ক্ষেত্রেও উহাদের মধ্যে তুলনায় কোনটি সৰ্ব্বাপেক্ষ ছোট, কোনটি ইহার চেয়ে বড়, এইরূপ শ্রেণী-বিভাগের সাহায্যে পরস্পরের সম্বন্ধকে স্বম্পষ্ট করিয়া তোলাই আমাদের উদ্বেগু। আকাশের দিকে তাকাইয়৷ যে-সকল জ্যোতিষ্ক আমরা দেখিতে পাই তাহদেরও, তারতম্য অনুসারে, নানা শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়া অধিকতর স্পষ্টভাবে জানিবার প্রয়াস আমাদের মধ্যে প্রবল। যদিও চক্ষে দেখিতে সবগুলি একই জিনিষ বলিয়া মনে হয়, কিন্তু নানাপ্রকার পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করা যায় যে, ইহাদের মধ্যেও তারতম্য যথেষ্ট আছে। ইহারা সকলে একই জাতীয় নহে। ইহাদের কতকগুলি একই আদিম অবস্থা হইতে আরম্ভ করিয়া ক্রমবিকাশের বিভিন্ন স্তরের ভিতর দিয়া চলিতেছে; আবার কতকগুলি ক্রমবিকাশের শেয অবস্থায় আসিয়া শক্তির অপচয়ে মৃতপ্রায় হইয়া পড়িয়াছে। অসীম শূন্তে ইহারা নানাভাবে অবস্থিত। আকাশে তাহদের বেশ একটা জিওগ্রাফিও আছে। এইসব বিষয়ে গত বিশ বৎসরের আলোচনার ফলে বৈজ্ঞানিকগণ যে-সিদ্ধাস্তে আসিয়া পৌঁছিয়াছেন, আপনাদের নিকট তাহার কিছু আভাস দেওয়াই আজ আমার উদ্বেগু । মানব-সভ্যস্ত-বিকাশের সঙ্গে সঙ্গেই, পূৰ্ব্ব ও পশ্চিমে, জ্যোতিষ-শাস্ত্রের আলোচনা আরম্ভ হয় এবং সৌরজগৎ সম্বন্ধে অনেক তথ্যই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বৈজ্ঞানিকগণ আবিষ্কার করেন। আমাদের পক্ষে স্বর্ধ্যই সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রতাপাধিত জ্যোতিষ্ক। চতুদিকে আকাশে ইং আলো ও তাপ বিকিরণ করে। এই আলো ও তাপশক্তি স্বর্ষের ভিতর কি প্রকারে উৎপন্ন হইতেছে, সে-সম্বন্ধে সম্পূর্ণ জ্ঞান আমাদের এখনও নাই । বিজ্ঞানের আলোচনা ও নানা অভিজ্ঞতার ফলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছে যে, যাহাকে আমন্ত্রা শক্তি