পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sు: প্রবাসী—ভান্দ্র, ১৩৩৪ [ २१* छांग, »त्र थe টেপীর কান কটকট, গিল্লির মাথা-ধরা, বাড়ীওয়ালার দরোয়ান তাগিদ দিতে এসেছিল, ইত্যাদি ।” স্থবীর বলিল, “আরে, এখনি হাল ছাড়লে কি চলে ? এখন অস্তুতঃ কল্পনা ক’রেও একটু thrilled হও। আমি ত সারাক্ষণ যত রকম আজগুবী আর অসম্ভব কল্পনা করা যায়, তাই নিয়েই থাকি। তারপর realityতে যা হ’বার তাত হ’বেই । তাই ব’লে, সেই ভাষনা ভেবে এখন থেকে আধমরা হয়ে থেকে লাভ কি ?” চন্দ্রনাথ বলিল, “তোর পক্ষে তবু কিছু সম্ভাবনা থাকলেও থাকৃতে পারে। আর কিছু না হোক, টাকার ছালার ওপর ত বসে আছিস্ ! এদেশে romance না জোটে, ত ওদেশে গিয়ে দিব্যি ফুৰ্ত্তি মেরে আসতে পারষি, যতদিন খুলি। তোর বিলাত যাওয়ার প্ল্যান কি একেবারেই ভেস্তে গেল ?” স্থবীর বলিল, “একরকম তাইই, যে-সব conditionএ মা আমাকে ছেড়ে দিতে রাজী, তাতে আমি যেতে রাজী নই। কাজেই এখনকার মত কথাটা ধাম-চাপ রয়েছে ।” চন্দ্র বলিল, “তুই জোর ক’রে চলে যা না! এখন ত আর নাবালক নেই। মা না হয় রাগই করবেন, কিন্তু একমাত্র ছেলের উপর রাগ ক’রেই বা কতদিন থাকৃবেন ?” কথা বলিতে বলিতে ট্রাম এসপ্লানেডে তাহাদের নামিবার জায়গায় আসিয়া পড়িল। বই খাতা গুছাইয়া এক হাতে ধরিয়া নমিতে নামিতে স্থবীর বলিল, “ন হে, তা করা চলে না। চল বাড়ী গিয়ে সব শুনবে । এঃ, এখনও বেজায় রোদ রয়েছে। দেখ, আর ট্রামে উঠবি না হেঁটে যাধি বাকিটুকু ? বেশী দূর না ।” ট্রামের রাস্ত হইতে তাহদের বাড়ী অতি অল্পই দূরে। চন্দ্র ইটিতে আপত্তি করিল না। সেইটুকু পথ দ্রুতপদে অতিক্রম করিয়া দুই বন্ধু একটি লাল ইটের গাখনী গেটের ভিতর ঢুকিয়া পড়িল। বাড়ীটি খুব বেশী বড় নয়, তবে দেখিতে স্বন্দর। চারি পাশে খানিকট। জমি। গেট হইতে লাল স্বরক ঢালা পখ বাড়ীর সিড়ির পদতলে গিয়া থামিয়াছে। পথটির দুই ধারে ফুলের বাগান –ডান পাশে বিলাতী মরশুমী او به تهیه : مردان: ফুল তাহদের নীল নয়ন খুলিয়া অভ্যাগতের দিকে চাহিয়া আছে । শ্বেত গোলাপের ঝাড় বায়ু ভরে কঁপিয়া উঠিতেছে, মাৰ্ব্বেল পাথরের মূৰ্ত্তি বিচিত্র লীলায় দাড়াইয়া, ফোয়ারা হইতে গলানো হীরকের স্রোতের ন্যায় জল সবেগে উৰ্দ্ধে উৎক্ষিপ্ত হইতেছে । একটি উড়ে মালী এইসকলের পরিচর্ধ্যায় নিযুক্ত। কোথাও ঘাস একটু বড় হইয়া গিয়াছে, সে ছোট একটি ‘লন-মোয়ার লইয়া সব কাটিয়া ছটিয়া সমতল করিতেছে । বাম পাশ্বেও ফুলের বাগান, কিন্তু সেদিকে আধুনিক রুচির প্রভাব বিশেষ লক্ষিত হয় না। বেলা, জুই, রজনীগন্ধ, শ্বেত করবী, কাঞ্চনের সেখানে রাজত্ব । মাৰ্ব্বেঙ্গ পাথরের মূৰ্ত্তি, ফোয়ার বা রঙীন মাছ কিছুই সেখানে নাই। একটি শাদা কাবুলী মার্জারী আপনার স্কুল দেহ লইয়৷ ঘাসের উপর বসিয়া ঝিমাইতেছে, ক্রীড়াপরায়ণ দুইটি শাবক, তাহার পাশে পশমের বলের মত এদিক ওদিক গড়াগড়ি দিয়া থেলিতেছে, মাঝে মাঝে মায়ের কাছে দুই একটা চড়চাপড়ও লাভ করিতেছে । বাড়ীর পিছনে ফলের বাগান এবং ছোট একটি পুষ্করিণী আছে বলিয়া শোনা যায়, কিন্তু এসকল বাহির হইতে চোখে পড়ে না । সিড়ি বাহিয়া উপরে উঠিয়াই সম্মুখে পড়ে মস্ত হল’ । ইহা খুষ দামী আসবাব দিয়া সাজানো, তবে সবগুলি আধুনিক রুচি-সঙ্গত নয়। বড় বড় গিণ্টি করা ফ্রেমে বাধানে ছবির ভারে ঘরের ছাদ শুদ্ধ যেন নামিয়া পড়িয়াছে মনে হয় । চারিদিকের দেয়ালে চারখানা বৃহৎ আয়না ; ঘরে ঢুকিবামাত্র চারিপাশেই নিজেকে দেখিয়৷ হঠাৎ অবাক হইয়া যাইতে হয়। পিতলের কাজকরা জয়পুরী টেবল, লাল মখমলে মোড়া ভারী ভারী চেয়ার এবং সোফা, উপরে সারি সারি বাতির আধার প্রকাও ঝাড় লণ্ঠন, নীচে বহুমূল্য তুর্কী কার্পেট, কিছুরই অভাব নাই। ঘরখানিতে ঢুকিয়া মনে হয়, ই এষাড়ীর লোকেরা বড় লোক বটে, তবে এখানে বসিয়া দু’দও হাত প। ছড়াইয়া আরাম করিবার কথা কাহারও মাথায় আসে - नl । - চন্দ্রনাথ বলিল, “বাপারে, এ ঘরে কেউ বসে নাকি "