পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | পরভৃতিক V୯୬ଳ চোখ মুখ আর পোষাকে বর্তমান। ঘরে ঢুকিয়াই মায়ের পিঠে মুদু একটা ঝাকানি দিয়া বলিল, “কি মা, কালত খুব মস্ত এক বস্তা পুণ্য সঞ্চয় ক’রে এসেছ শুনলাম । এখন ডাঃ ভৌমিককে ভক্েিত হবে নাকি তাই ব’ল । তোমার পুণ্যে সবচেয়ে লাভবান হ’ন তিনিই, বেশ callএর উপর call জুটুতে থাকে।” ভানুমতী হাসিয়া বলিল, “বোস বোস, এখনি ডাক্তার ডাকৃতে হবে না, শরীর ত কিছু খারাপ করছে না । চা-ট। খেয়েছিস ?” স্থবীর বলিল, “হ্যা, লাল সরবৎ থেয়েছি। তোমার চাকরটি য। চমৎকার চা করে তার সঙ্গে কুল্‌ফী মালাইয়ের তফাৎ বোঝা শক্ত। রোজ বলি আমাকে'চ',চিনি দুধ আর গরম জল দিয়ে যেতে, তা ভক্তির আতিশয্যে কোনো দিনই সে সেটা ক’রে উঠতে পারে না । ওর জালায় .ك عيـ আমার এত দিনের বন্ধুকে না ত্যাগ করতে হয় ।” ভকুমন্ত্ৰী বলিল, “তা, চা না খেলেই বা ক্ষতি কি ? ওতে স্বাস্থ্য নষ্ট হয় ডাক্তারে বলে। আমরা যে চা থাই না, তাতে আমাদের ত কোনো অনুবিধা হয় না ?” স্থবীর বলিল, “সুবিধ যে কি হয়, তাও ত দেখি না । ডাঃ ভৌমিক তোমার কল্যাণে মাসে এক শ’ টাকা অন্তত: পান, আমার এই যে তেইশ বছর বয়স হ'তে চলল, আমার জন্তে ,তেইশ টাকাও ডাক্তারকে দিতে হয়েছে কিনা সন্দেহ ।” ভানুমতী স্নেহের হাসি হাসিয়া বলিল, “যা যা, আর বড়াই করতে হ’বে না। ভারি ন! ভাল স্বাস্থ্য, তালপাতার সেপাই কোথাকার | কাল কে এসেছিল রে তোর সঙ্গে ?” 邻 স্থবীর বলিল, “ও, আমার সঙ্গে পড়ে, চন্দ্রনাথ ব’লে একটি ছেলে । নিয়ে এসেছিলাম, তোমার সঙ্গে জালাপ করিয়ে দেব ব’লে, তা তুমি ত রাত দশটায় ফিরলে। আজ আর কোথাও বেkছ না ত ? গাড়ীখানা আমার bjझे !” ভানুমতী বলিল, “আমি কোথাও যাব না। তবে মেজদিদিকে সদ্ধ্যের সময় একবার আনতে পাঠাবার s بي بجسمه gمن কথা আছে। তা সে আর কতক্ষণ লাগবে ? অাধ ঘণ্ট। বড় জোর। তারপর তুই গাড়ী নিস এখন " স্ববীর বলিল, “কাঙ্গ নেই বাপু, তুমি গাড়ী রাখ, আমি ট্যাক্সি ক’রে যাব এখন । মেজ মাসীমা আসবার আগেই আমি চম্পট দেব । তার সঙ্গে দেখা করতে আমি বিন্দুমাত্রও ব্যস্ত নেই।” ভাঙ্গুমতী বলিল, “পাগলের কথা শোন ! কেন রে ? মেজ মাসী তোকে কামড়ার নাকি ? সে আসবার আগে পালাবি কেন ?” “তিনি ত এসেই কোন দুগ্ধপোষ্যা খুকীর রূপ-গুণ বর্ণনা করতে বসবেন, সে শুনতে আমি আর রাজী নই। দুই কাণ প’চে গেছে !” ভানুমতী বলিল, “তবে তুই কি বিয়ে কবুবিই না একেবারে ঠিক করেছিস ? একমাত্র ছেলে তুই এ বংশের, তুই এ রকম ক’রে জেদ ধরলে চলে ? আমাকে নাতির মুখ দেখে মরুতে দিবি না ?” স্থবীর বলিল, “বুড়ী হওনি, তবু বুড়ী-গিরি না ফলালে তোমার চলে না। এখনি না মরলে তুমি কিছুতেই চলবে না ?” . . ভাতুমতী বলিল, “আর বুড়ী হ’তে বাকিই বা কি ? বাঙ্গালীর মেয়ে কুড়ি পার হ’লেই বুড়ী আর আমার ত দুকুড়ি কোন কালে পার হয়ে গিয়েছে। জানিস, কাল কালীঘাটে মিত্তিরের জ্যেঠীর সঙ্গে দেখা হ’ল ।” স্ববীর বলিল, “তবে ত আমি কৃতাৰ্থ হলাম। কি তার বক্তব্য ?” ভানুমতী হাসিয়৷ বলিল, “কবে আমাদের দিক থেকে মেয়ে দেখতে যাবে তাই খোজ নিচ্ছিল । মেয়ে নাকি খুব স্বন্দর রে ।” স্ববার বলিল, “মৃদ্ধর হ'লেই তাকে গিয়ে দেখতে হবে ? আচ্ছা শুধু দেখলে যদি তুমি খুসি হওত গিয়ে দেখে অস্ব ।” ভানুমতী বলিল, “আচ্ছ, দেখেও যদি তোর পছন্দ না হয়, তবে আমি আর কথা কইব না । তা হ’লে একটা দিন ঠিক ক’রে মেজদিদিকে আজ ব’লে দেৰ ।” . . . *: