পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] যবদ্বীপের পথে ছোটটর boss বা কৰ্ত্তী হ’য়ে, ওইটির দ্বারা নিজের বিছানা পাতানে প্রভৃতি কাজ করিয়ে নিতে লাগল। আমাদের খাবার থেকে কিছু কিছু ভাগ দিতে ধন্যবাদের সঙ্গে নিয়ে তার সদ্ব্যবহার করলে। পথে বিশেষ ক’রে অন্ধ দেশ থেকে আরম্ভ ক’রে প্রায় প্রতি বড় ষ্টেশনে কবিকে দেখতেআসা লোকের ভীড় দেখে, তার সম্বন্ধে এদের সন্ত্রমপূর্ণ কৌতুহল হ’ল –তার নামটার সঙ্গে এদের আবছা-আবছ। পরিচয় ছিল। বড়ট ব’লগে, “আমার এক uncle (খুড়ে কি মামা ষ হোক একটা কিছু ) ছিলেন, তিনি বেশ পণ্ডিত লোক ছিলেন, ইংরেজী সাহিত্যে । তিনি থাকুলে কবির কদর বুঝতেন, তার নাম ছিল মিষ্টার শেপাড়।-- আপনার কি তাকে চেনেন । —আমরা মুক্‌ধু স্বকৃথু মানুষ, আমরা যে কিছুই জানি না।” মাদ্রাজের কাছে একট। ষ্টেশনে বৃহস্পতিবার ভোরে যখন গাড়ী থামূল, দেখি প্লটফৰ্ম্মে হিন্দু রিফ্রেশ মেণ্ট রুমের সামনে এক টেবিলের উপর গরম গরম ডালের বড়, চালের গুড়োর পিঠে আর একটা তরকারীর পূসার খুলে, মস্ত এক হাড়ীতে চিনি দেওয়া গরম কফি আর তার পাশে বড় এক আলুমিনিয়মের খোলা পাত্রে দুধ রেখে কুট-বধা তামিল ব্রাহ্মণ হোটেলওয়াল টুল খাড়া ক’রে বসেছে। যত তামিল তেলুগু যাত্রী আলুমিনিয়াম আর পিতলের বাট ঘটা নিয়ে কফি আর বড় আর পিঠে কিনতে ভীড় ক’রেছে। আমাদের ফিরিঙ্গি দুটি ব’ল্লে—“এর চমৎকার কফি করে, আর ডালের বড়াও এদের চমৎকার । কিন্তু আমরা খ্ৰীষ্টান ব’লে কাছে গেলে আমাদের পাত্রে কফি দেবে না, হয় তো খাবারও বেচ বে না-আপনার দয়া ক’রে আমাদের কিছু খাবার আর কফি এনে দেবেন ?” বুধ বার দিন ১৩ই তারিখে সকালট বেশ ঠাও। ছিল। কিন্তু ছুপুরে এখন অসহ গরম হ’ল । অন্ধ, দেশে কবির অঙ্কু রাগী অার ভক্তের সংখ্যা দেখ লুম অনেক। দেখে মন যে খুলী হ’ল না এ কথা বলতে পারি না, যদিও এইসব কবি-দর্শনকামী লোকেদের ভীড় অনেক সময়ে তার পক্ষে খুব আরামদায়ক *son all The penalties of greatness—o তাকে মেনে নিতেই হয়, উপায় নেই। প্রায় প্রত্যেক ૭૧૭ ষ্টেশনে লোকে তাকে দেখতে পেয়ে উদ্দেশে প্রণাম করছে। আর যেখানে যেখানে গাড়ী বেশীক্ষণ থেমেছে সেখানে র্তার কামরার দরজা খুলে দিতে হয়েছে—লোকে ঢুকে প্রণাম করেছে, প্রশংসাবাণী তাকে শুনিয়েছে, তার লেখ} প’ড়ে তাদের আনন্দ আর মনে উৎসাহ লাভের জন্ত তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। শ্রদ্ধা আর ভক্তির আতিশয্যে র্তার গাড়ীর সামনে বহুস্থলে আগত লোকেদের মধ্যে ঠেলাঠেলি হ’য়েছে ; জায়গায় জায়গায় আশঙ্ক। হ’চ্ছিল যে, লোকে হুড়মুড় ক'রে তার গাড়ীতে ঢুকে না পড়ে। তাই স্বরেন-বাবু আর আমি পাল ক'রে করে তার গাড়ীতে গিয়ে দরজ। আটকে দাড়াতে লাগলুম । তেলুগুদের মধ্যে দুচার জন পরিচিত , লোকও এলেন । এক ষ্টেশনে কোঞ্চনদ কলেজের ইংরেজির প্রফেসার একটি ভদ্রলোক এলেন ; ক’লকাতায় ইনি কিছুকাল ছিলেন,—ক’লকাতায় থাকৃবার কালে বাঙলা শিখেছেন ; একটি তেলুগু-মহিল৷ এসে বাঙলায় কবির সঙ্গে কথা কইলেন—এইরকম সব লোক এলেন । অন্য অপরিচিত লোকেদের মধ্যে সকলেই বেশ সন্ত্রমপূর্ণ। একট ষ্টেশনে এক ভদ্রলোক গাড়ীর ভিতরে লা-পরওয়া ভাবে ঢুকূলেন--আর একজন পিছু পিছু এসে তার পরিচয় দিলেন যে, ইনি স্থানীয় এক ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট । কবির খবর যে ঠিক রাখেন তা মনে হ’ল ন৷ ; কিন্তু উঠেই পরিচিতের মতন জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি না কো কনদের কংগ্রেসে এসেছিলেন *ি প্লাটফর্শ্বের ইত্তরঞ্জনের প্রতি সগৰ্ব্ব দৃষ্টিনিক্ষেপ ক’রে ম্যাজিষ্টুেটগারু গাড়ী থেকে নেমে গেলেন। আর-একটি ষ্টেশনে একজন বৃদ্ধ তেলুগু ভদ্রলোক গাড়ীতে উঠে হাত জোড় ক’রে কবির সামনে দাড়িয়ে তেলুগু ভাবায় কি বলতে লাগলেন। শুনলুম ইনি স্থানীয় উকিল একজন, নামটি বায়ান্নাপত্তলু না কি, তেলুগু ভাবার একজন কবি। ইনি ভারতের কবিগুরুকে নিজের ভাবায়ু শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ক’রতে এসেছেন। আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টা, দেড় ঘণ্ট। জন্তু র সষ জায়গায় এইরকম লোকেদের সঙ্গে শিষ্টাচার করতে করতে যাওয়া আর তার উপর একেবারে ভাদরে গুমট—এট। যে কি অস্বস্তিকর তা জামরাও হাড়ে शब्द