পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8سو!رات٢ প্রবাসী—ভাদ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ; ১ম খণ্ড প্রজ্জ্বলিত অগ্নিডে ইন্ধন যোগাইবার লোক অনেক আছে, রাজার বয়স্যদিগের ত কথাই নাই । কেহ বলিল, উদয়নকে বর্মী করা হউক, কেহ বলিল তাহাকে শূলে দেওয়া হউক। সঙ্গীদিগের মধ্যে একজনের একটু বিবেচনা ছিল । সে বলিল, “যদি উদয়নকে এখন শাস্তি দেওয়া হয় তাহা হইলে প্রজারা জানিতে পারিবে যে, সে একজন প্রধান সন্ন্যাসীকে বিদ্রুপ করা হইতেছে দেখিয়া অfপত্তি করিয়াছিল । প্রজাদের মনের ভাব জান ত, সাধু-সন্ন্যাসীকে অপমান করিলে তাহার ক্রোধে উন্মত্ত হইয়া উঠে। কিছু একট। কৌশল করিয়া উদয়নকে শিক্ষা দিতে হইবে।” একজন ব্যঙ্গ করিয়া কহিল, ‘মন্ত্রী মহাশয় ত উপস্থিত রহিয়াছেন, তবে আর ভাবনা কি ! মহাশয়, পরামর্শ দিন ।’ রাজা রাগিয়া কহিলেন, ‘পরামর্শে কি প্রয়োজন ? আমার আজ্ঞ যথেষ্ট । কোন প্রজা আপত্তি করিলে তাহাকেও চগুলের হস্তে সমর্পণ করিব।” এমন সময় প্রতিহারী আসিয়া অভিবাদন করিল,

  • छ्च भश्ोद्रiख !'

রাজা ভ্ৰভঙ্গে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি ? ‘মহারাজ, রাজমাত। মহারাণী আপনাকে স্মরণ করিয়াছেন।” ‘এমন সময় ? এখন আমি যাইতে পারিব না।’ ‘মহারাজ, বিশেষ কোন প্রয়োজন হইবে । পুরোহিত অপেক্ষা করিতেছেন।” পুরোহিত ? আর কোন লোক ছিল না ? উত্তম, ডাক তাহাকে ৷” পুরোহিত আসিলেন, উন্নত, শীর্ণ দেহ, উজ্জল, আয়ত চক্ষু, বাৰ্দ্ধক্যের স্থবিরতা এখনও দেখা দেয় নাই। রাজা ও তাহার সঙ্গিগণ উঠিয়া দাড়াইলেন । রাজা প্রণাম করিলেন । পুরোহিত আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, বসিলেন না। কহিলেন, 'মগধরাজের প্রধান দূত সশস্ত্র অনুচর-বর্গ লইয়। রাজপ্রাসাদে উপনীত হইয়াছেন। অবিলম্বে মহারাজের দর্শনকামনা করেন।' আকাশে বাজপক্ষীর কণ্ঠ শুনিলে ও তাহার প্রসারিত পক্ষ দেখিলে পারাবতকুল যেমন চঞ্চল, হ্রস্ত ও শঙ্কিত হয় রাজা ও র্তাহার সখাগণ সেইরূপ বিচলিত হইলেন । মহাপ্রতাপান্বিত মগধরাজের এখানে কি প্রয়োজন ? শুষ্ক মুখে বিরূপাক্ষ কহিলেন, 'মগধরাজ কেন দূত পাঠাইয়াছেন ? ‘যাইলেই জানিতে পরিবেন। কোন অমঙ্গলের আশঙ্ক। নাই, তবে কালবিলম্ব করিবেন না। রাজবাটীতে আপনাকে দেখিতে না পাইয়া দূত কিছু বিস্মিত হইয়াছেন ।” রাজা বিলম্ব করিলেন না, বেশ পরিবর্তন করিয়া তখনই পুরোহিতের সঙ্গে গমন করিলেন। র্তাহার বয়স্যগণ কোন কথা না কহিয়া আপন আপন গৃহে গমন করিলেন । রাজবাটতে স্থসজ্জিত প্রকোষ্ঠে বসিয়া মগধ-রাজদূত রাজা বিরূপাক্ষের অপেক্ষা করিতেছিলেন । রাজাকে দেখিয়া দাড়াইয়া উঠিয় তাহাকে অভিবাদন করিলেন। পুরোহিত এক পার্থে দাড়াইয়া রহিলেন । সম্ভাষণাদির পর রাজা বিরূপাক্ষ কহিলেন, “আমার পরম সৌভাগ্য যে, মগধরাজ আমাকে স্মরণ করিয়াছেন। র্তাহার আদেশ শুনিতে পাই ? দূত মধ্যবয়স্ক, তীক্ষ্ণদৃষ্টি পুরুষ। কহিলেন, ‘রাজাধিরাজ আপনার সহিত পারিবারিক সম্বন্ধু কামনা করেন । তাহার কক্ষ নাই, কিন্তু তাহার ভ্রাতুপুত্রী পরম স্বম্বী। মহারাজের ইচ্ছ। আপনি সেই কন্যার পাণিগ্রহণ করেন।” বিরূপাক্ষ পুরোহিতের দিকে চাহিয়া দেখিলেন, তিনি চক্ষু নত করিয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছেন, মুখ তুলিলেন না। চিস্তা করিয়া বিরূপাক্ষ কহিলেন, ‘মাত-ঠাকুরাণী রহিয়াছেন, এ প্রস্তাব তাহাকে জানাইব । র্তাহাকে লঙ্ঘন করিয়া আমি কিরূপে উত্তর দিব ? দূত কহিলেন, ‘সাধু, আপনি মাতৃবংসল পুত্রের উপযুক্ত উত্তর দিয়াছেন। রাজমাতার আপত্তির কোন কারণ দেখি না । পুরোহিত মহাশয় কি বলেন ? রাজা এবং দূত উভয়ে পুরোহিতের অভিমুখে দৃষ্টপাত